"আমাকে জেলে রাখলেও আমি জেল ভেঙে বেরিয়ে আসব", সোরেনের গ্রেফতারে ক্ষুব্ধ মমতা
নিজস্ব প্রতিবেদন, ০১ ফেব্রুয়ারি, কলকাতা : বুধবার ঝাড়খণ্ডের মুখ্যমন্ত্রীর পদ থেকে ইস্তফা দেওয়ার সঙ্গে সঙ্গে হেমন্ত সোরেনকে এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট (ইডি) গ্রেপ্তার করেছিল। এরইমধ্যে বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সতর্কতার সুরে বলেন যে তাকে জেলে রাখলেও তিনি বিজেপি-বিরোধী লড়াই থেকে এক ইঞ্চিও পিছিয়ে থাকবেন না। বৃহস্পতিবার নদিয়া জেলার শান্তিপুরে সরকারি চাকরির কর্মসূচি থেকে তৃণমূলের বিভিন্ন নেতাদের গ্রেফতারের কথা উল্লেখ করে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, "আমাকে জেলে রাখলেও আমি জেল ভেঙে বেরিয়ে আসব।" তবে হেমন্ত সোরেনের প্রসঙ্গ তোলেননি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বুধবার জমি দুর্নীতি মামলায় ঝাড়খণ্ডের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রীকে গ্রেফতার করেছে ইডি।
তবে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বক্তব্য প্রত্যাশিতভাবে প্রত্যাখ্যান করেছেন রাজ্য বিজেপির মুখপাত্র শমীক ভট্টাচার্য। তিনি বলেন, “মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নিজের দল এবং সরকার ছেড়ে যাওয়া থেকে নিজেকে আর আটকাতে পারবেন না। সময় এসেছে। সে কারণেই হয়তো এমনটা বলেছেন।"
নাম না নিয়ে বিজেপিকে উদ্দেশ্য করে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় আরও বলেন, 'আমরা সবাই কি চোর? আর তোমরা ঋষি, জমিদার, সব চোরের মালিক? একটা খালি কলসি আরও জোরে বেজে উঠছে। পাঁচটি আঙুল সমান নয়। তা বলে হাত কাটতে হবে?" দলের পক্ষ থেকে তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থাও নেওয়া হয়েছে। কিন্তু তাতে বলা হয়েছে যে গোটা তৃণমূলই 'চোরের দল', তা নয়।
এদিকে, কয়লা ও গরু চোরাচালান নিয়ে বিএসএফ ও বিজেপিকে পাল্টা আক্রমণ করলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি বলেন, “গরু চোরাচালান, কয়লা চোরাচালান—যাই হচ্ছে তৃণমূলের নামেই হচ্ছে। সীমান্তের ওপার থেকে গরু পাচার হচ্ছে। সেখানে একজন বিএসএফ গার্ড। কয়লা কে দেখে? সিআইএসএফ। কার এজেন্সি? কোল ইন্ডিয়া কার কেন্দ্র? কেন্দ্র সব আপনার!"
প্রসঙ্গত, গরু পাচার মামলায় এখনও সংশোধনাগারে রয়েছেন তৃণমূল নেতা অনুব্রত মণ্ডল। গ্রেফতার করা হয়েছে তার মেয়ে সুকন্যাকেও। কয়লা চোরাচালান মামলায় তৃণমূলের সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে একাধিকবার জেরা করেছে ইডি। অভিষেকের স্ত্রী রুজিরাকেও জেরা করেছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা।
No comments:
Post a Comment