না আছে পুলিশ বাহিনী, না জেল! কীভাবে নিরাপত্তা বজায় থাকে এসব দেশে?
প্রদীপ ভট্টাচার্য, ২৪শে ফেব্রুয়ারি, কোলকাতা: জানেন পৃথিবীতে এমন অনেক দেশ আছে যাদের কোনও পুলিশ বাহিনী নেই। নেই কোনও জেল। কি শুনতে অবাক লাগছে? ভাবছেন তো তাহলে এইসব দেশের নিরাপত্তা কিভাবে রক্ষিত হয়? অপরাধীদের শাস্তিই বা হয় কিভাবে? তাহলে চলুন সীমান্তে পুলিশবিহীন দেশগুলি সম্পর্কে একটু খোঁজ নেওয়া যাক।
নেদারল্যান্ড, দেশের জনগণ জেলখানায় বসে থাকুক তা নেদারল্যান্ড সরকার চায়না। এতে নাকি অর্থনীতির উপর খারাপ প্রভাব পড়ে। তাই অপরাধীদের শাস্তি দেওয়ার পরিবর্তে তাদের উন্নত জীবনযাপনের সহায়তা করার জন্য তাদের পুনর্বাসনের ব্যবস্থা করে। নেদারল্যান্ডস অপরাধীদের কার্যক্রম নিয়ন্ত্রণ করতে ইলেকট্রনিক ট্যাগিং ব্যবহার করে। এ যন্ত্রটি ব্যক্তির গোড়ালিতে আটকানো থাকে। যা ব্যক্তির প্রতিটি কার্যকলাপ রেকর্ড করে। অনেক অপরাধীর শরীরে এই ডিভাইসটি লাগিয়ে ছেড়ে দেওয়া হয়।।
আইসল্যান্ড, ইউরোপের দ্বিতীয় বৃহত্তম দ্বীপ আইসল্যান্ড। এর কোনও স্থায়ী সামরিক বাহিনী নেই। সৌন্দর্যের দিক থেকেও আইসল্যান্ডের কোনও তুলনা হয় না। এই দ্বীপ রাষ্ট্রের দায়িত্ব রয়েছে স্বয়ং ন্যাটো। ১৮৬৯ সাল থেকে এই দেশের সীমান্তে কোনও সেনাবাহিনী নেই। ন্যাটোর সদস্য হওয়ায় এই দেশের যাবতীয় সুরক্ষার দায়িত্ব মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের।
নওরু, প্রশান্ত মহাসাগরে অবস্থিত এই দ্বীপ রাষ্ট্রটির আয়তন ২১ বর্গ কিলোমিটারের সামান্য বেশি। দেশের জনসংখ্যা মাত্র দশ হাজার। এটি মাইক্রোনেশিয়ার অংশ। এদেরও কোনোও নিজস্ব পুলিশ বাহিনী বা নিরাপত্তা বাহিনী নেই।
ভ্যাটিকান সিটি, বিশ্বের ক্ষুদ্রতম রাষ্ট্র ভ্যাটিকান সিটি হল ইটালির রাজধানী রোমের একটি অংশ। পোপ এবং দেশের নিরাপত্তার জন্য এখানে সশস্ত্র বাহিনী ছিল। কিন্তু পোপ পল ষষ্ঠ ১৯৭০ সালে সমস্ত বাহিনী বাতিল করে দেন। ভ্যাটিকান সিটির সুরক্ষার দায়িত্ব ইটালির।
No comments:
Post a Comment