শুকনো কলাপাতার সরস্বতী বানিয়ে চমক দিলেন শিক্ষক - press card news

Breaking

Post Top Ad

Post Top Ad

Tuesday 13 February 2024

শুকনো কলাপাতার সরস্বতী বানিয়ে চমক দিলেন শিক্ষক


 শুকনো কলাপাতার সরস্বতী বানিয়ে চমক দিলেন শিক্ষক



নিজস্ব সংবাদদাতা, পূর্ব বর্ধমান, ১৩ ফেব্রুয়ারি: আর মাত্র কিছু সময়ের অপেক্ষা, এরপরেই আপামর বাঙালি মেতে উঠবেন বাগদেবীর আরাধনায়। তার আগে প্রতিমা তৈরির শেষ মুহূর্তের প্রস্তুতি তুঙ্গে। এই আবহে শুকনো কলাপাতার মা সরস্বতী বানিয়ে চমক দিলেন এক শিক্ষক। প্রতিমার উচ্চতা ৫ ফুট ৫ ইঞ্চি। ওই শিক্ষকের নাম তপন দাস, বাড়ি পূর্ব বর্ধমান জেলার অন্তর্গত গুসকরায়। তপন দাস, আউশগ্রাম দুই ব্লকের রামচন্দ্রপুর এন বি বিদ্যাপীঠ-এর শিক্ষক।


শিক্ষক তপন দাস বলেন, 'শিক্ষকতার সঙ্গে সঙ্গে আমার সাহিত্য, সৃজনী, শিল্প, খেলাধুলা, নৃত্য এই সমস্ত বিষয়গুলির ওপর একটুখানি আগ্রহ রয়েছে। সবসময় চেষ্টা করেছি এমন কিছু একটা শিল্পের আঙ্গিকে নিয়ে আসতে এবং সেক্ষেত্রে উপকরণ যদি কোনও বাতিল সামগ্রী হয়, যেটাতে মানুষকে আকর্ষিত করা যাবে। এই যেমন এখনকার দিনে প্লাস্টিক, থার্মোকল চারিদিকে রমরমা, এর ফলে কি হচ্ছে, আমাদের যে সেই অতীত দিনে কলাপাতায় খাওয়া। এখনকার  বিয়ে বাড়ীতে কলাপাতা, শালপাতার ব্যবহার অনেক কমে যাচ্ছে।প্লাস্টিক, থার্মোকল ব্যবহারের ফলে সেগুলো চাষের জমি, পুকুর, নদী, নর্দমায় জমছে। আমাদের উন্নতি হচ্ছে ঠিকই কিন্তু কোথাও যেন পিছন থেকে টেনে ধরা হচ্ছে উন্নয়নটাকে।' 


তিনি আরও জানান, স্কুলের পড়ুয়া ও সহকর্মীরা আবদারের সাথে তপন বাবুকে বলেন, 'স্যার স্কুলের ঠাকুর এবার আপনার হাতের চাই', এর থেকেই ভাবনা কলাপাতার ঠাকুর। ৬৩ দিনের প্রচেষ্টায় কাজটা শেষ হয় বলে জানান তিনি। শিক্ষক তপন দাস বলেন, 'আমার তৈরী মা সরস্বতী দেখে আমার পরিবার, ছাত্রছাত্রী, সহকর্মীরা ও বন্ধুরা খুবই আনন্দিত।'

No comments:

Post a Comment

Post Top Ad