পথশ্রী প্রকল্পে দুর্নীতির ছায়া! নিম্নমানের সামগ্রী ব্যবহারে বিক্ষোভ এলাকাবাসীর
নিজস্ব সংবাদদাতা, মালদা, ০৪ ফেব্রুয়ারি: মুখ্যমন্ত্রীর পথশ্রী প্রকল্পে দীর্ঘদিনের রাস্তার দাবী পূরণ হলেও দেড় কোটির রাস্তা নির্মাণে ব্যাপক দুর্নীতির ছায়া। দুর্নীতির অভিযোগ তুলে বিক্ষোভ এলাকাবাসীর, 'তৃণমূল নেতাদের কাটমানি দিতে গিয়ে দুর্নীতি হচ্ছে', খোঁচা বিজেপির। 'দুর্নীতি হলে প্রশাসন পদক্ষেপ করবে',পাল্টা তৃণমূল, তুঙ্গে রাজনৈতিক তরজা।
দীর্ঘদিন ধরেই রাস্তা নিয়ে সমস্যা ছিল। লালমাটির রাস্তার অবস্থা এতটাই খারাপ ছিল প্রবেশ করতে পারত না অ্যাম্বুলেন্স। বর্ষাকালে জলকাদায় ভরা রাস্তায় যানবাহন তো দূরের কথা মানুষ পায়ে হেঁটেও চলাচল করতে পারতেন না। দীর্ঘদিন ধরে রাস্তা নির্মাণের দাবী ছিল এলাকাবাসীর। মুখ্যমন্ত্রীর পথশ্রী প্রকল্পে সেই দাবী পূরণ হয়। প্রায় দেড় কোটি টাকা বরাদ্দে শুরু হয় রাস্তা নির্মাণের কাজ। কিন্তু এলাকাবাসীর নতুন রাস্তার স্বপ্ন পূরণের মাঝে বাঁধ সেধেছে দুর্নীতি। ঠিকাদারি সংস্থার বিরুদ্ধে রাস্তা নির্মাণে দুর্নীতির অভিযোগ তুলে বিক্ষোভ এলাকাবাসীর।
এদিকে দুর্নীতির এই অভিযোগ সামনে আসতেই শুরু হয়েছে রাজনৈতিক তরজা। তৃণমূল নেতাদের কাটমানি জন্য ঠিকাদাররা দুর্নীতি করতে বাধ্য অভিযোগ বিজেপির। কোনও রকম দুর্নীতি বরদাস্ত হবে না পাল্টা সাফাই তৃণমূলের।
মালদা জেলার হরিশ্চন্দ্রপুর ১ নম্বর ব্লকের বরুই গ্রাম পঞ্চায়েতের সালমান হাউস থেকে কোতোল পর্যন্ত প্রায় দুই কিলোমিটার রাস্তা প্রথশ্রী প্রকল্পের অধীনে ১ কোটি ৫১ লক্ষ টাকা বরাদ্দকৃত অর্থে নির্মাণের কাজ চলছে। কিন্তু এলাকাবাসীর অভিযোগ, সঠিক শিডিউল মেনে হচ্ছে না রাস্তার কাজ। ব্যবহার করা হচ্ছে নিম্নমানের সামগ্রী। রাস্তার দুই ধারে ছয় ইঞ্চির ঢালাই হলেও মাঝখানে হচ্ছে তিন থেকে চার ইঞ্চি। বহু জায়গায় নির্মাণের কাজ শেষ হতেই ফেটে যাচ্ছে রাস্তা। তাই সঠিক ভাবে রাস্তার কাজের দাবীতে এদিন বিক্ষোভ দেখায় এলাকার মানুষেরা।
এলাকার মানুষের মতে, এতদিন রাস্তা নিয়ে সমস্যা ছিল। এখন যখন নতুন রাস্তা হচ্ছে তবে ভালো ভাবে কাজ করতে হবে। যদিও ঠিকাদারি সংস্থার প্রতিনিধির দাবী, এলাকাবাসী এখানে নিজেরা কাজ দেখভাল করেন। অন্যদিকে বিজেপির অভিযোগ ঠিকাদারকে কাটমানি দিতে হয় তৃণমূল নেতাদের। তাই ঠিকাদার সঠিক ভাবে কাজ করতে পারে না। পাল্টা তৃণমূলের দাবী, মুখ্যমন্ত্রীর প্রকল্পের জন্যই ওই এলাকার মানুষ রাস্তা পাচ্ছে। দুর্নীতি হলে প্রশাসন ব্যবস্থা নেবে।
No comments:
Post a Comment