খরচের দ্বিগুণ লাভ! পাহাড়ি লঙ্কা চাষে দিশা দেখাচ্ছেন কৃষক দম্পতি - press card news

Breaking

Post Top Ad

Post Top Ad

Friday 9 February 2024

খরচের দ্বিগুণ লাভ! পাহাড়ি লঙ্কা চাষে দিশা দেখাচ্ছেন কৃষক দম্পতি


খরচের দ্বিগুণ লাভ! পাহাড়ি লঙ্কা চাষে দিশা দেখাচ্ছেন কৃষক দম্পতি




নিজস্ব সংবাদদাতা, মালদা, ০৯ ফেব্রুয়ারি: সমতলে, পাহাড়ি জাতের লঙ্কা চাষ করে লাভের পাশাপাশি স্বনির্ভর হওয়ার পথ দেখাচ্ছে পুরাতন মালদার এক কৃষক দম্পতি। এই প্রথম পুরাতন মালদা ব্লকের মহিষবাথানি গ্রাম পঞ্চায়েতের সাঞ্জইল গ্রামে শুরু হয়েছে পাহাড়ি জাতের লঙ্কা চাষ, যাকে শিমলা মির্চ অথবা প্রচলিত ভাষায় আঁচলের লঙ্কা বলা হয়ে থাকে। এই লঙ্কা চাষে খানিকটা পরিশ্রম বেশি হলেও লাভ রয়েছে দ্বিগুণ। ফলে অন্যান্য ফসল সবজি চাষের পাশাপাশি এখন এই শিমলা মির্চ চাষ করেই মূলত ভালো রোজগার করছেন কৃষক দম্পতি উপেন রাজবংশী ও সুমিত্রা রাজবংশী। 


ওই কৃষক দম্পতিরা জানিয়েছেন, এক বিঘা জমিতে পাহাড়ি জাতের লঙ্কা যাকে সিমলা মির্চ বলা হয়, তা চাষ করতে খরচ হয় ৪০ হাজার টাকা। এই বছর তারা তিন বিঘা জমিতে এই লঙ্কার চাষ শুরু করেছেন। গত সেপ্টেম্বর মাসে এই প্রজাতির লঙ্কা গাছ লাগিয়েছেন তাঁরা। ফেব্রুয়ারি মাস পড়তেই গাছ থেকে লঙ্কা তোলার কাজ শুরু হয়েছে। পরিশ্রমের তুলনায় লাভ রয়েছে দ্বিগুণ। 


মালদা জেলায় মূলত এই মহিষবাথানি গ্রাম পঞ্চায়েতেই সিমলা মির্চের চাষ শুরু হয়েছে। লঙ্কা চাষী ওপেন রাজবংশী জানান, তাদের দেখে আরও কয়েকজন চাষী এবছর এই জাতের লঙ্কা চাষ শুরু করেছেন। যেহেতু এই লঙ্কা চাষ শুরু করতে প্রথমেই মোটা টাকা খরচ হয়, তাই অনেকেই এই জাতের লঙ্কা চাষ করার আগ্রহ দেখাচ্ছে না। কিন্তু এই শিমলা মির্চ উৎপাদনের পর তা সঠিকভাবে পাইকারদের কাছে রপ্তানি করলে দাম ভালো পাওয়া যাচ্ছে। এমনকি মালদার পাশাপাশি অন্য জেলা থেকেও পাইকারিরা আসছেন এই জাতের লঙ্কা কেনার জন্য। বর্তমান বাজারে পাঁচ থেকে ছয় হাজার টাকা ক্যুইন্টাল দরে বিক্রি হচ্ছে এই পাহাড়ি জাতের লঙ্কা। শুধু আচার নয়, যে কোনও ধরনের মুখরোচক খাবারেও এই জাতের লঙ্কা ব্যবহার হয়ে থাকে। 


ওই কৃষক দম্পতির কথায়, প্রশাসনের পক্ষ থেকে আর্থিকভাবে এই চাষের জন্য সহযোগিতা করা হলে অনেকের আগ্রহ বাড়বে। পাশাপাশি এই লঙ্কা চাষ করে খুব কম সময়ের মধ্যে স্বনির্ভর হতে পারবেন বহু কৃষকেরা।

No comments:

Post a Comment

Post Top Ad