মানসিক চাপ কমানোর জন্য উপকারী কিছু ভেষজ
প্রেসকার্ড নিউজ,লাইফস্টাইল ডেস্ক,৮ ফেব্রুয়ারি: কখনও কখনও জীবনে এমন পরিস্থিতি দেখা দেয় যার কারণে আমাদের মানসিক চাপ এবং উদ্বেগের সম্মুখীন হতে হয়। যখন আমরা অনেক উদ্বেগজনক চিন্তা দ্বারা পরিবেষ্টিত থাকি, তখন এটি আমাদের শরীরের উপর খারাপ প্রভাব ফেলতে পারে,মানসিক চাপ সৃষ্টি করে।অনেক ভেষজ শরীর এবং মনের উপর শান্ত প্রভাব ফেলে এবং স্ট্রেস পরিচালনা করতে সহায়তা করে বলে প্রমাণিত হয়েছে।আসুন তাদের সম্পর্কে বিস্তারিত জানি।
স্ট্রেস বা চাপ কি?
স্ট্রেস হল এক ধরনের মানসিক ব্যাধি।যেকোনও একটি নেতিবাচক চিন্তা আমাদের মনকে প্রভাবিত করে এবং আমাদের মানসিক অবস্থার উপর খারাপ প্রভাব ফেলে।যার কারণে আমাদের মস্তিষ্ক সঠিকভাবে কাজ করে না এবং আমরা কোন সুখ অনুভব করি না।এই ধরনের পরিস্থিতিকে স্ট্রেস বলা যেতে পারে।তবে কিছু লোক কিছু বিষয়ে চিন্তিত এবং কিছু লোক কেবল স্বাভাবিক চাপে ভোগেন।
চাপের লক্ষণ -
মাথাব্যথা,
বিষণ্ণতা,
কোনও কাজে আগ্রহের অভাব,
কম বা বেশি ঘুমানো,
কম বা বেশি খাওয়া,
আত্মবিশ্বাসের অভাব,
আত্মঘাতী অনুভূতি,
ছোট ছোট বিষয়ে রাগ করা।
মানসিক চাপের কারণ কী?
অনেক চাপের মধ্যে থাকা,
কিছু নিয়ে চিন্তা,
বিষণ্নতায় থাকা।
ভেষজ যা মানসিক চাপ নিয়ন্ত্রণ করে:
লেমন বাম -
লেমন বাম মানসিক চাপ কমাতে এবং শরীরকে শিথিল করতে সাহায্য করে।লেমন বাম পুদিনা পরিবারের একটি অংশ এবং লেবুর মতো গন্ধ।আপনি চায়ের আকারে লেবু বাম পান করতে পারেন,এতে আপনার মানসিক চাপ কমবে।
ক্যামোমাইল -
ক্যামোমাইল শরীরের উপর একটি শান্ত প্রভাব ফেলে এবং উদ্বেগের উপসর্গের পাশাপাশি চাপ কমাতে সাহায্য করে। আপনি ক্যামোমাইল ফুল শুকিয়ে চা বানিয়ে খেতে পারেন।
তুলসী -
তুলসী,যাকে প্রতিটি কাজে প্রথমেই রাখা হয়,কারণ একে পবিত্র বলে মনে করা হয়।এটিতে একটি অ্যাডাপ্টোজেন রয়েছে,যা কর্টিসলের মাত্রা কমিয়ে শরীরকে চাপের সাথে খাপ খাইয়ে নিতে সাহায্য করে।তুলসীর জল বা চা পান মানসিক চাপ কমাতে সাহায্য করে।
অশ্বগন্ধা -
অশ্বগন্ধা একটি অ্যাডাপ্টোজেন হিসাবেও পরিচিত,যা শরীরকে চাপের পরিস্থিতি এবং উদ্বেগজনক চিন্তাভাবনার সাথে মোকাবিলা করতে সহায়তা করতে পারে।আপনি অশ্বগন্ধা গুঁড়ো ব্যবহার করতে পারেন।ঘুমানোর আগে দুধের সাথে অশ্বগন্ধা মিশিয়ে পান করুন,এটি মানসিক চাপ কমাতে সাহায্য করবে এবং শরীরে শক্তি জোগাবে।
বি.দ্র: এখানে দেওয়া তথ্য সাধারণ জ্ঞান ও ঘরোয়া প্রতিকার হিসেবে দেওয়া। প্রেসকার্ড নিউজ এটি নিশ্চিত করে না। কোনও নতুন কিছু শুরুর আগে সংশ্লিষ্ট বিশেষজ্ঞর পরামর্শ অবশ্যই নিন।
No comments:
Post a Comment