ঘুমের শত্রু যে ৪ অভ্যাস!
প্রেসকার্ড নিউজ লাইফস্টাইল ডেস্ক, ০২ ফেব্রুয়ারি: বিশ্বজুড়ে স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা পর্যাপ্ত ও ভালো ঘুমকে স্বাস্থ্যের জন্য অপরিহার্য বলে মনে করেন। সম্ভবত এই কারণেই প্রাপ্তবয়স্কদের সারাদিনে সাত থেকে আট ঘন্টা গভীর ঘুমের পরামর্শ দেওয়া হয়। এই সময়টা আমাদের পুরো দিনের প্রায় এক চতুর্থাংশ। অতএব বুঝতেই পারছেন যে ঘুম শুধুমাত্র আমাদের সুস্থ রাখতে নয়, আমাদের বাঁচিয়ে রাখতেও খুব গুরুত্বপূর্ণ। অনিদ্রার অভিযোগ অনেক রোগের মূলে পরিণত হতে পারে। অনেক খারাপ অভ্যাস আছে যা আমাদের ঘুমের শত্রু। সময়মত এগুলো সংশোধন করা জরুরি। এই খারাপ অভ্যাসগুলো হল-
খুব বেশি স্ক্রিন টাইম
স্মার্ট ফোন, ল্যাপটপ, ট্যাবলেট, কম্পিউটার ইত্যাদি এখন জীবনের একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ হয়ে উঠেছে। এগুলি থেকে দূরে থাকা কঠিন, তবে কোনও কারণ ছাড়াই এগুলোর ব্যবহারও এড়ানো উচিৎ। ঘুমানোর কয়েক ঘন্টা আগে সোশ্যাল মিডিয়ায় ভিডিও এবং রিল দেখা এড়িয়ে চলুন। এর কারণে আপনি অনিদ্রায় ভুগতে পারেন।
জাঙ্ক ফুড খাওয়া
বিশ্বাস করুন বা না করুন, খাবার এবং ঘুমের মধ্যে গভীর সম্পর্ক রয়েছে। গবেষণা দেখায় যে যারা বেশি জাঙ্ক ফুড যেমন বার্গার, ফ্রাই, চিপস, কোল্ড ড্রিঙ্কস খান তাদের মস্তিষ্কের শেখার, স্মৃতিশক্তি এবং মানসিক স্বাস্থ্যের সাথে সম্পর্কিত অংশ ছোট হয়। যেখানে যারা গোটা শস্য, শুকনো ফল এবং সবুজ শাক-সবজি খান, তাদের কর্মক্ষমতা ভালো থাকে। এমন পরিস্থিতিতে জাঙ্ক ফুড থেকে দূরে থাকুন।
হেডফোনের অতিরিক্ত ব্যবহার
হেডফোন এবং ইয়ারবাড ব্যবহার করা আজকাল খুব সাধারণ, তবে এটি আপনার কানের পাশাপাশি ঘুমের জন্যও বিপজ্জনক। বিশেষজ্ঞরা বলছেন যে, যদি ইয়ারবাড বা হেডফোনে ৩০ মিনিটের জন্য ফুল ভলিউমে কিছু শোনেন তবে আপনার শ্রবণ ক্ষমতা প্রভাবিত হয়। এটি অ্যালঝাইমারের মতো রোগের পাশাপাশি মস্তিষ্কের টিস্যুগুলির ক্ষতি করতে পারে। অতএব, এই জাতীয় ডিভাইসগুলির ব্যবহার হ্রাস করুন এবং তাদের সর্বাধিক ভলিউম ৬০ শতাংশ অতিক্রম করবেন না।
অতিরিক্ত খাওয়া
খাদ্য এবং মস্তিষ্কের মধ্যে গভীর সম্পর্ক রয়েছে। আপনি যা খান এবং আপনি যে পরিমাণ খান তা আপনার মস্তিষ্ককে প্রভাবিত করে। তাই অতিরিক্ত খাওয়া এড়িয়ে চলা আপনাকে অনেক সমস্যা থেকে রক্ষা করবে। বিশেষ করে ঘুমানোর আগে খাওয়া এড়িয়ে চলুন। অতিরিক্ত খাবেন না। ধূমপান ইত্যাদি পরিহার করুন।
No comments:
Post a Comment