আপনার এই অভ্যাসগুলো হতে পারে অ্যাসিডিটির কারণ - press card news

Breaking

Post Top Ad

Post Top Ad

Wednesday 7 February 2024

আপনার এই অভ্যাসগুলো হতে পারে অ্যাসিডিটির কারণ


আপনার এই অভ্যাসগুলো হতে পারে অ্যাসিডিটির কারণ

প্রেসকার্ড নিউজ,লাইফস্টাইল ডেস্ক,৭ ফেব্রুয়ারি: বর্তমান লাইফস্টাইলে অনেক সময় পেটের সমস্যায় পড়তে হয়।আজকাল দেখা যায়,সামান্য অসাবধানতাও স্বাস্থ্যের উপর, বিশেষ করে পেটের উপর বিরূপ প্রভাব ফেলে।অনেকেই অ্যাসিডিটির সমস্যায় আক্রান্ত হন,যার কারণে তাদের বুকে ও গলায় জ্বালাপোড়া হয়।বুক জ্বালাপোড়ার কারণে কেউ কিছু খেতে বা পান করতে চায় না।পেটের গ্যাস উপেক্ষা করলে তা আপনাকে অনেকক্ষণ বিরক্ত করতে পারে।আপনিও যদি এই সমস্যায় ভুগছেন,তাহলে এখানে উল্লেখিত বিষয়গুলো বিবেচনা করে আপনার কিছু অভ্যাস পরিবর্তন করতে হবে।এসব অভ্যাসের কারণে অ্যাসিডিটির সমস্যা আমাদের কষ্ট দেয়।আসুন এগুলো সম্পর্কে জেনে নিন।

অনিয়মিত খাবার সময় -

খাদ্যকে ছোট ছোট কণাতে ভাঙতে পাকস্থলীতে হাইড্রোক্লোরিক অ্যাসিডের প্রয়োজন হয়।অনিয়মিত খাওয়া পেটে অ্যাসিড তৈরি করতে পারে এবং সম্ভাব্য অ্যাসিড রিফ্লাক্স এবং বমি-বমি ভাব হতে পারে।

এক জায়গায় বসে থাকা -

বেশিক্ষণ বসে থাকার ফলে পেটে গ্যাস তৈরি হয়।যাদের সিটিং জব রয়েছে তাদের এই বিষয়ে আরও যত্ন নেওয়া দরকার।  এক জায়গায় বসে খাবার হজম হয় না এবং বদহজম ও গ্যাসের মতো সমস্যা দেখা দেয়।আপনার এই অভ্যাসটি আজই পরিবর্তন করুন এবং মাঝে মাঝে হাঁটার জন্য চেয়ার থেকে উঠুন।

কার্বনেটেড পানীয় পান করা -

আপনি যদি অ্যাসিডিটির শিকার হন,তবে আপনার কার্বনেটেড পানীয় পান করা এড়িয়ে চলা উচিৎ।কারণ কার্বনেটেড পানীয় পান করলে পেটে গ্যাস এবং ফুলে যাওয়ার মতো সমস্যা হতে পারে,তাই এটি এড়িয়ে চলুন।

উচ্চ চর্বিযুক্ত খাবার গ্রহণ -

উচ্চ চর্বিযুক্ত খাবার শরীরের উপর সবচেয়ে খারাপ প্রভাব ফেলে।উচ্চ চর্বিযুক্ত খাবার অনিয়মিতভাবে হার্টবিট বাড়িয়ে দেয়,যা শরীরে উপস্থিত খাদ্যনালীকে প্রভাবিত করে।এছাড়া এই ধরনের খাবার খেলে পেটে অ্যাসিডিটির সমস্যা হতে পারে।

ঘুমের ধরন পরিবর্তন করুন -

ঘুমানোর সময়,আপনার শরীরের উপরের অংশটি উঁচু করে রাখুন এবং আপনার পা কিছুটা নীচে রাখুন।কারণ পর্যাপ্ত ঘুম আপনার মানসিক স্বাস্থ্য ভালো রাখে এবং পেট সংক্রান্ত রোগও কমায়।ঘুমানোর সময় আপনি আপনার বাম পাশে শুয়ে থাকবেন।

খাওয়ার পরপরই ঘুমিয়ে পড়া -

ঘুমানোর আগে খাবার খেলেও অ্যাসিডিটির সমস্যা হতে পারে।কারণ শুয়ে থাকার ফলে পাকস্থলীর হজম প্রক্রিয়ায় অসুবিধা হয়।এর কারণেও অ্যাসিডিটির সমস্যা শুরু হতে পারে।খাওয়ার পর কমপক্ষে ৩ ঘন্টা অপেক্ষা করে তারপর শোবেন।

সকালের খাবার না খাওয়ার অভ্যাস বদলান -

গ্যাসের অন্যতম প্রধান কারণ হল খালি পেট।অনেকেই সকালের খাবার খান না,যার কারণে খালি পেটে গ্যাস তৈরি হয়।তাই পেট সুস্থ রাখতে এবং গ্যাসের সমস্যা এড়াতে সকালের খাবার সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ।এটি কখনই এড়িয়ে যাবেন না। এতে আপনি গ্যাসের সমস্যায় পড়বেন না।

রাতে অপর্যাপ্ত ঘুম -

ঘুমের অভাব পেটে অতিরিক্ত অ্যাসিড উৎপাদনের কারণ হতে পারে,যা এলইএসকে জ্বালাতন করে,অ্যাসিডকে খাদ্যনালীতে পৌঁছাতে দেয় এবং অম্বল ও অ্যাসিড রিফ্লাক্স/জিইআরডি উপসর্গ সৃষ্টি করে।

ভাজা খাবার এড়িয়ে চলুন -

আপনি যদি প্রচুর পরিমাণে বা প্রতিদিন ভাজা খাবার খান তবে আপনার গ্যাসের সমস্যা হতে বাধ্য।পেটের গ্যাস এড়াতে ভাজা খাবার খাওয়া থেকে বিরত থাকতে হবে।যদিও ভাজা খাবার শীতে আপনাকে প্রলুব্ধ করতে পারে,তবে আপনাকে আপনার খাদ্য নিয়ন্ত্রণ করতে হবে।বেশি পরিমাণে ভাজা খাবার খেলে শুধু গ্যাসের সমস্যাই হয় না,কোষ্ঠকাঠিন্য এবং বদহজমও হয়।

বি.দ্র: এখানে দেওয়া তথ্য সাধারণ জ্ঞান ও ঘরোয়া প্রতিকার হিসেবে দেওয়া। প্রেসকার্ড নিউজ এটি নিশ্চিত করে না। কোনও নতুন কিছু শুরুর আগে সংশ্লিষ্ট বিশেষজ্ঞর পরামর্শ অবশ্যই নিন।

No comments:

Post a Comment

Post Top Ad