তপ্ত গরমে হিট স্ট্রোক থেকে বাঁচাবে যে ৪ পানীয়
প্রেসকার্ড নিউজ লাইফস্টাইল ডেস্ক, ১৫ মার্চ: শীত শেষ হতে না হতেই গরম আবহাওয়ায় চারদিক তপ্ত হয়ে উঠছে। এমন সময় হিট স্ট্রোক হওয়ার ঝুঁকি বাড়ে। এক্ষেত্রে দেহের তাপমাত্রা বেড়ে যায়, ফলে দেখা শারীরিক জটিলতা। এক্ষেত্রে শরীর একবারেই জলশূন্য হয়ে পড়ে। রোদে যারা দীর্ঘক্ষণ পরিশ্রম করেন তাদের যেমন হিট স্ট্রোক হতে পারে, আবার বয়ষ্ক ও শিশুদের ক্ষেত্রেও এমনটি হতে পারে। এছাড়া শরীরে জলশূন্যতা ও বিভিন্ন ওষুধের পার্শ্ব-প্রতিক্রিয়ার জন্যও গরমে হিট স্ট্রোক হতে পারে।
হিট স্ট্রোকের লক্ষণ কী কী?
প্রথমেই হতে পারে হিট ক্র্যাম্প। এর ফলে মাংসপেশিতে ব্যথা হয়, শরীর দুর্বল লাগে ও সব সময় পিপাসা পায়। পরবর্তী সময়ে দ্রুত শ্বাস-প্রশ্বাস, মাথাব্যথা, ঝিমঝিম করা, বমিভাব, অসংলগ্ন আচরণ ইত্যাদি দেখা দেয়। এছাড়া শরীরের তাপ বেড়ে যায় ও প্রচুর ঘাম হয়।
হিট স্ট্রোক হলে শরীরের তাপমাত্রা দ্রুত ১০৫ ডিগ্রি ফারেনহাইট ছাড়িয়ে যায়। ঘাম বন্ধ হয়ে যায়। ত্বক শুষ্ক ও লালচে হয়ে যায়। এমনকি নিঃশ্বাস দ্রুত হয় ও নাড়ির স্পন্দন কমে আসে বা দ্রুত হয়, রক্তচাপ কমে যায়, খিঁচুনি, মাথা ঝিমঝিম করা, অস্বাভাবিক আচরণ, হ্যালুসিনেশন ইত্যাদিও হয়। এমনকি রোগী অজ্ঞান হয়েও যেতে পারে।
তাই হিট স্ট্রোক হওয়ার আগেই তা প্রতিরোধ করা উচিৎ। ঘরোয়া উপায়েই হিট স্ট্রোকের ঝুঁকি এড়ানো সম্ভব। এজন্য পুষ্টিকর কিছু খাবার খেতে পারেন। বিশেষ করে কিছু পানীয় আছে, যেগুলো পান করলে গরমে শরীর ঠাণ্ডা থাকবে ও হিট স্ট্রোকের ঝুঁকিও কমবে। যেমন -
মধুর সঙ্গে পেঁয়াজের রস
আয়ুর্বেদ অনুসারে বাইরে থেকে ঘরে ফেরার পর সামান্য মধুর সঙ্গে পেঁয়াজের রস মিশিয়ে পান করার উপকারিতা অনেক। এতে দেহের তাপমাত্রা ও হিট স্ট্রোকের ঝুঁকি কমবে।
বাটার মিল্ক
বাটার মিল্কে থাকে প্রোবায়োটিক, প্রোটিন ও ভিটামিন, যা আপনার দেহের তাপমাত্রাকে স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরিয়ে আনতে সাহায্য করে। তাই গরমে বাইরে থেকে ঘরে ফিরেই বাটার মিল্ক পান করতে পারেন।
তেঁতুল জল
গরম কাটানোর জন্য তেঁতুলও অনেক উপকারী। তেঁতুল দেহে প্রয়োজনীয় পুষ্টি সরবরাহ করে ও জলশূন্যতা রোধ করে। এজন্য জলে কয়েকটি তেঁতুল সেদ্ধ করে সঙ্গে গুড় মিশিয়ে পান করুন। এতে হিট স্ট্রোকের ঝুঁকি কমবে আবার শরীরও থাকবে ঠাণ্ডা।
ছাতু
হিট স্ট্রোক প্রতিরোধে ও পেটের স্বাস্থ্যের ভালো রাখে ছাতু। গরমে ছাতু খেলে শরীর ঠাণ্ডা হয় ও জলশূন্যতাও দূর হয়। এছাড়াও ছাতু খেলে পটাসিয়াম, ক্যালসিয়াম, ম্যাঙ্গানিজ, জিংক ইত্যাদি খনিজ চাহিদা পূরণ হয়। ডায়াবেটিস রোগীদের জন্যও ভালো ছাতু। এর গ্লাইসেমিক ইনডেক্স কম হওয়ায় রক্তে গ্লুকোজের পরিমাণও থাকে নিয়ন্ত্রণে।
No comments:
Post a Comment