চিংড়ি মাছের রোগ-প্রতিরোধের উপায়
রিয়া ঘোষ, ১৩ মার্চ : পুকুরে চিংড়ির অস্বাভাবিক আচরণকে রোগাক্রান্ত বলে বিবেচনা করা উচিৎ। এসব রোগের প্রাদুর্ভাব অসহনীয় পরিবেশ যেমন ছানাদের অত্যধিক সংরক্ষণ, অতিরিক্ত খাদ্য ও সার ব্যবহার, নিম্ন গভীরতা, উচ্চতা, হঠাৎ করে লবণাক্ততা বৃদ্ধি বা হ্রাস ইত্যাদির কারণে ঘটে। তাহলে জেনে নিন এসব রোগের লক্ষণ ও প্রতিরোধ ব্যবস্থা-
চিংড়ি রোগের লক্ষণ
১. যখন চিংড়ি নির্জনতা এবং অলসতায় পুকুরের পাড়ে ঘুরে বেড়ায়।
২. যদি খাবার খাওয়া কমে যায় বা পুরোপুরি বন্ধ হয়ে যায়, তাহলে খাদ্যনালী খালি হয়ে যায়।
৩. ফুলকার উপর কালো বা হলুদ দাগ বা অস্বাভাবিক রঙ।
৪. চিংড়ির ফুলকা পচে গেলে।
৫. মাছের পেশী সাদা বা হলুদ হয়ে গেলে।
৬. চিংড়ির 'খোলস' নরম হয়ে গেলে।
৭. যদি হাত-পা বা মাথা পচে যায়।
৮. চিংড়ির খোসা এবং মাথায় সাদা দাগ থাকলে।
৯. যদি চিংড়ি হঠাৎ বা ধীরে ধীরে মারা যায়।
প্রতিরোধমূলক ব্যবস্থা
১. চিংড়ি ঘেরের আকার কমিয়ে দিন।
২. ঘেরে একটি পৃথক নার্সারি প্রদান করুন।
৩. প্রতি একরে ৩-৪ হাজার বীজ মজুদ রাখুন।
৪. একটি পৃথক বন্ধ নার্সারিতে ২-৩ সপ্তাহের জন্য ভাজা বৃদ্ধি করুন।
৫. পালনের পরে, চাষের এলাকায় ড্রেন কেটে ফেলুন।
৬. প্রস্তুতির সময় মাঝারি পরিমাণে চুন (১ কেজি প্রতি শতাংশ) যোগ করুন।
৭. চাষের সময় জল পরিবর্তন করার পর প্রতি শতাংশে ৫০-১০০ গ্রাম কার্বনেট অফ লাইম দিয়ে শোধন করুন।
৮. ঘেরে জলের গভীরতা কমপক্ষে ৩-৪ ফুট রাখুন।
৯. প্রতি ১৫ দিন বা মাসে, ঘের থেকে নোংরা জল বের করুন এবং তাজা জল যোগ করুন।
১০. দৈত্য মাছ, কাঁকড়া এবং অন্যান্য ক্রাস্টেসিয়ান নিয়ন্ত্রণ করুন।
১১. খামারের পুকুর আগাছা মুক্ত রাখুন।
১২. বাঁশের বেত এবং গাছের শুকনো ডাল দিয়ে আশ্রয় দিন।
১৩. কোন সমস্যা লক্ষ্য করলে নিকটস্থ মৎস্য আধিকারিকের সাথে পরামর্শ করুন।
No comments:
Post a Comment