গ্যাস সিলিন্ডার থেকে বিপত্তি! আগুনের গ্ৰাসে গোটা বাড়ি
দেবনাথ মোদক, বাঁকুড়া, ১৩ মার্চ: গ্যাস সিলিন্ডার থেকে বিপত্তি, পুড়ে ছাই মাটির বাড়ি। এছাড়াও শেষ তিল তিল করে জমানো নগদ অর্থ থেকে আসবাবপত্র ও বাড়ির জিনিসপত্র। এক নিমেষেই সব ছারখার। জানা গিয়েছে, রান্নার গ্যাসের ট্যাংকের রেগুলেটরের কাছে হঠাৎ আগুন লেগে এই মর্মান্তিক ঘটনাটি ঘটেছে মঙ্গলবার সন্ধ্যা প্রায় সাতটা নাগাদ বাঁকুড়ার রাইপুর ব্লকের ধানাড়া গ্রামে।
ধানাড়া গ্রামের বাসিন্দা ধনঞ্জয় গুলির স্ত্রী, প্রায় দুই বছরের শিশু কন্যাকে কোলে নিয়ে তার জন্য চাউমিন তৈরী করছিলেন, হঠাৎ রান্নার গ্যাসের ট্যাংকের রেগুলেটরের কাছে দপ করে জ্বলে ওঠে আগুন, নিমেষে ছড়িয়ে পড়ে সেই আগুন। কোনও রকমে বাচ্চাকে কোলে নিয়ে সেখান থেকে বেরিয়ে আসেন, তবে ততক্ষণে আগুন গ্রাস করে নেয় পুরো বাড়ি। ঘটনার কথা জানাজানি হতেই এলাকায় ব্যপক চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়ে। সেই সময় বাড়িতে অন্য কোনও সদস্য ছিলেন না।
ধনঞ্জয়ের বাবা আদিত্য গুলি চিকিৎসার জন্য বাইরে গিয়ে ছিলেন, আদিত্য বাবুর স্ত্রী স্থানীয় দোকানে জিনিস আনতে গিয়েছিলেন, আর বাড়িত অন্য দুই পুরুষ সদস্য ধনঞ্জয় এবং ঈশ্বর মাঠে ট্রাক্টরে আলুর বস্তা লোড করার কাজ করছিলেন, খবর পেয়ে তারা ছুটে আসেন বাড়িতে। প্রাথমিক ভাবে স্থানীয়রা আগুন নেভানোর কাজ করেন, খবর দেওয়া হয় দমকলে ও পুলিশকে। ততক্ষণে টিনের চাল দেওয়া পুরো মাটির বাড়ি আগুনের গ্রাসে। প্রায় ৪০ মিনিট পর ঘটনাস্থলে আসে দমকলের একটি ইঞ্জিন। আগুনের নেভানোর কাজ শুরু করে। তবে আগুনে পুড়ে ছাই ঘরের আসবাব পত্র, জামা কাপড় সহ সমস্ত জিনিসপত্র, এমনকি তিল তিল করে জমানো প্রায় প্রায় ৫০ হাজার নগদ টাকা।
নগদ টাকা পুড়ে যাওয়ায় শোকাহত হয়ে অজ্ঞান হয়ে পড়েন ধনঞ্জয় গুলির ছোট ভাই ঈশ্বর গুলি। তাকে ভর্তি করা রাইপুর গ্রামীণ হাসপাতালে। তবে জীবনহানির কোনও ঘটনা ঘটেনি বলেই জানা গিয়েছে। এছাড়াও পুড়ে গেছে কৃষি কাজের জন্য সেচের মেশিন, বাড়ির সদস্যদের জামা কাপড়, থেকে বিভিন্ন প্রয়োজনীয় কাগজ পত্র থেকে চাল ডাল সহ মজুত খাবার।
গতকাল তারা স্থানীয় ধানাড়া প্রাথমিক বিদ্যালয়ে কোন রকমে রাত কাটান, আপাতত আশ্রয় সেখানেই, এক জামা কাপড়েই কাটাতে হচ্ছে তাদের। কী খাবেন, কী পরবেন, কোথায় থাকবেন? সেটাই চিন্তার। পরিবার থেকে গ্রামবাসী সকলের একটাই দাবী, এগিয়ে আসুক প্রশাসন।
No comments:
Post a Comment