সঙ্গীর সঙ্গে তর্ক হলে দশ মিনিটে স্বাভাবিক হন এইভাবে সম্পর্ক হবে চিরস্থায়ী

 

সঙ্গীর সঙ্গে তর্ক হলে দশ মিনিটে স্বাভাবিক হন এইভাবে সম্পর্ক হবে চিরস্থায়ী 

প্রেসকার্ড নিউজ লাইফস্টাইল ডেস্ক, ১৬ মার্চ: স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে ঝগড়া সাধারণ ঘটনা। ভিন্ন প্রকৃতি ও পরিবেশে বেড়ে ওঠা দুজন মানুষের একসঙ্গে বসবাস করা সহজ নয়। কিন্তু পারস্পরিক বোঝাপড়া ও ভালোবাসার ভিত্তিতেই এ সম্পর্ক চলতে পারে। যদি আপনার সঙ্গীর সাথে কোনও বিষয় নিয়ে তর্ক হয়, তার পর আপনার কী করা উচিৎ? আপনার পরবর্তী ১০-২০ মিনিটের মধ্যে নিজেকে শান্ত করার চেষ্টা করা উচিৎ। এছাড়াও এই কাজগুলো করুন, যাতে সম্পর্কের মধ্যে টানাপোড়েন ও অশান্তি না হয় এবং সম্পর্কটি আজীবন অটুট থাকে, যেমন -

গভীর শ্বাস নিন

একজন ব্যক্তি প্রায়ই ঝগড়া বা তর্কের পরে আবেগপ্রবণ হয়ে পড়েন এবং আবেগের বশবর্তী হয়ে প্রায়ই ভুল চিন্তা করে। এমন পরিস্থিতিতে প্রথমেই গভীর নিঃশ্বাস নিন। নিজেকে তর্ক থেকে দূরে রাখুন এবং অন্য ব্যক্তিকে কিছুটা জায়গা দিন। এটি উভয়কেই তাদের মনকে শিথিল করার এবং চিন্তা করার সুযোগ দেবে।

 মস্তিষ্ক অন্য দিকে দিন

তর্কের পরে, আপনার মস্তিষ্ককে এমন জায়গায় কেন্দ্রীভূত করুন যেখানে আপনি স্বস্তি বোধ করেন। একটু হাঁটার জন্য যান বা গভীর শ্বাস নিন। কিছু প্রিয় কাজ করুন। যেকোনও উপায়ে আপনার মনকে শান্ত ও শিথিল করার চেষ্টা করুন।

 সামনের মানুষটিকে বুঝুন

একটি তর্কের পরে, একজন ব্যক্তির আবেগ প্রায়ই তাকে ন্যায্যতা দেয়। তবে আপনার নিজের দৃষ্টিকোণ থেকে নয় বরং অন্য ব্যক্তির দৃষ্টিকোণ থেকে যা সঠিক তা নিয়ে ভাবুন। বোঝার চেষ্টা করুন তর্ক ও ঝগড়ার কারণ কী, যাতে ভবিষ্যতে এ ধরনের বিতর্ক এড়ানো যায়।

 লিখুন

 একটি ডায়েরিতে আপনার আবেগ এবং চিন্তা লিখুন। এটি করার ফলে আপনার চিন্তাভাবনায় স্পষ্টতা আসে এবং আপনি ঠিক কী চান তা বুঝতে সক্ষম হবেন।

সম্পূর্ণ সততার সাথে কথা বলুন

যেকোনও সম্পর্কের জন্য যোগাযোগ খুবই গুরুত্বপূর্ণ। বিশেষ করে যোগাযোগ একটি কার্যকর এবং ইতিবাচক পদ্ধতিতে সম্পন্ন করা হয়। অতএব, তর্কের পরে, সম্পূর্ণ সততা এবং শান্তভাবে কথা বলুন। কাউকে দোষারোপ না করে আপনার মতামত প্রকাশ করুন এবং ভুল শব্দ ব্যবহার করবেন না।

ক্ষমা চাইতে এবং ক্ষমা করতে শিখুন

ক্ষমা চাইলে আপনি সম্পর্কের ক্ষেত্রে ছোট হয়ে যাবেন না। এর পাশাপাশি অন্য ব্যক্তিকে যে কোনও ভুলের জন্য ক্ষমা করাও বড় মনের পরিচয়।