পানীয় জলের সঙ্কট, ভোট বয়কটের ডাক - press card news

Breaking

Post Top Ad

Post Top Ad

Wednesday 13 March 2024

পানীয় জলের সঙ্কট, ভোট বয়কটের ডাক

 


পানীয় জলের সঙ্কট, ভোট বয়কটের ডাক


নিজস্ব সংবাদদাতা, মালদা, ১৩ মার্চ: পবিত্র রমজানের মধ্যেই ঊর্ধ্বমুখী তাপমাত্রা, পরিশ্রুত পানীয় জলের অভাবে ব্যাপক জলকষ্টে এলাকাবাসী, সমস্যা সমাধান না হলে বন্যা-ত্রাণ দুর্নীতির আঁতুর ঘরে লোকসভার আগে ভোট বয়কটের ডাক, একে অপরের প্রতি অভিযোগের আঙুল তুলছে শাসক-বিরোধীরা। রাজনীতির যাঁতাকলে বঞ্চিত মানুষের স্বার্থ।


শুরু হয়েছে পবিত্র রমজান মাস। সাথে বাড়ছে তাপমাত্রা। কিন্তু এলাকায় একটি মাত্র নলকূপ। সেই নলকূপই ভরসা প্রায় পঞ্চাশটি পরিবারের। আবার সেই নলকূপ থেকেও মেলে আয়রন যুক্ত জল। পরিশ্রুত পানীয় জলের অভাবে তীব্র জলসংকটে ক্ষোভ এলাকায়। লোকসভার প্রাক্কালে ভোট বয়কটের ডাক। 'বন্যা-ত্রাণ দুর্নীতির আঁতুর ঘরে থমকে উন্নয়ন এবং নাগরিক পরিষেবা। শাসকদলকে তীব্র আক্রমণ বিরোধীদের। তৃণমূলের মুখেই সংখ্যালঘু প্রেম। সংখ্যালঘু অধ্যুষিত এলাকায় রমজান মাসেও জলকষ্ট', তোপ কংগ্রেসের। 


মালদা জেলার হরিশ্চন্দ্রপুর ১ নম্বর ব্লকের অন্তর্গত বড়ুই গ্রাম পঞ্চায়েতের পেমা গ্রামে তীব্র জল সংকটের এই ছবি সামনে এসেছে। পুকুরের জলেই রান্না, বাসন ধোয়া, স্নান থেকে শুরু হচ্ছে সব কাজ। নলকুপের জল পানের জন্য ব্যবহার হলেও তা আয়রন যুক্ত। সাথে মেলে না পর্যাপ্ত পানীয় জল। কারণ একটি নলকূপের উপরেই পঞ্চাশটি পরিবারের তিন শতাধিক মানুষ নির্ভরশীল। বর্তমানে বড়ুই গ্রাম পঞ্চায়েত রয়েছে কংগ্রেস-সিপিএম জোটের দখলে।জোট নেতৃত্বের দাবী, এর আগের পাঁচ বছর এই পঞ্চায়েত ছিল তৃণমূলের দখলে। সেই সময় শুধু লাগাম ছাড়া দুর্নীতি হয়েছে, যার ফলে মানুষের কোন রকম উন্নয়ন হয়নি। বন্যা-ত্রাণ নিয়ে কোটি কোটি টাকা দুর্নীতির অভিযোগে হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিল কংগ্রেস। গ্রেফতার হয়েছিল তৎকালীন তৃণমূলের পঞ্চায়েত প্রধান। তাই এই পঞ্চায়েত ভোটে এখানকার মানুষ জোটকে ক্ষমতায় এনেছে। যত দ্রুত সম্ভব তারা কাজ করবে। 


সাথে কংগ্রেসের কটাক্ষ, 'তৃণমূল মুখে সংখ্যালঘু প্রেমের কথা বলে। কিন্তু তাদের জন্য কোনও কাজ করেনি। রমজানের মধ্যেও তাই জলকষ্ট।' যদিও পাল্টা তৃণমূলের দাবী, ওই বুথে আগে দীর্ঘ কুড়ি বছর কংগ্রেসের সদস্য ছিলেন। তৃণমূলের আগে কংগ্রেস দীর্ঘদিন ওই পঞ্চায়েতেও ক্ষমতায় ছিল। কিন্তু গ্রামে পানীয় জলের সমস্যার সুরাহা করেননি।


অন্যদিকে বিজেপির নিশানায় তৃণমূল এবং কংগ্রেস দুই দলই। কিন্তু রাজনৈতিক এই তরজায় থমকে উন্নয়ন। এলাকার মানুষের দাবী ভোটের আগে সাবমার্সিবল পাম্প না হলে তারা লোকসভায় ভোট দেবেন না।


হরিশ্চন্দ্রপুর ১ নম্বর ব্লকের সমষ্টি উন্নয়ন আধিকারিক সৌমেন মন্ডলের বক্তব্য, যেখানে জলের সমস্যা হয়েছে খুব দ্রুত সেখানে জলের ব্যবস্থা করা হবে।

No comments:

Post a Comment

Post Top Ad