রামেশ্বরম ক্যাফে বিস্ফোরণের পিছনে ISIS সংযোগ! টার্গেট ছিলেন হিন্দু নেতারা
প্রেসকার্ড নিউজ ন্যাশনাল ডেস্ক, ১৪ মার্চ : বেঙ্গালুরুর রামেশ্বরম ক্যাফে বোমা বিস্ফোরণ মামলায় একটি বড় তথ্য সামনে এসেছে। আইএসআইএসের সঙ্গে ক্যাফে বিস্ফোরণে অভিযুক্ত হামলাকারীর যোগসূত্র প্রকাশ্যে এসেছে। পুলিশের তদন্তে জানা গেছে, হিন্দু নেতারা সন্ত্রাসী সংগঠনের টার্গেট ছিলেন। চার বছর আগেও বিস্ফোরণের চেষ্টা হয়েছিল, কিন্তু লক্ষ্যবস্তু মিস হয়েছিল। বিস্ফোরণ মামলায় এক অভিযুক্তকে গ্রেফতার করা হয়েছে। এ মামলায় আব্দুল মতিন, মুসাফির হোসেন ও সৈয়দ আলী এখনো পলাতক। তিনি বেঙ্গালুরুতে বিস্ফোরণ ঘটিয়েছেন বলে সন্দেহ করছে পুলিশ ও এনআইএ।
পুলিশ তথ্য পেয়েছে যে শান্তি বিঘ্নিত করার উদ্দেশ্যে এবং বেঙ্গালুরুতে আতঙ্কিত করার ষড়যন্ত্রের অংশ হিসাবে বোমা বিস্ফোরণটি চালানো হয়েছিল। হিন্দু নেতাদের লক্ষ্য করে বিস্ফোরণ ঘটানো হয়েছে বলে সন্দেহ করা হচ্ছে। চার বছর আগে সুদ্দাগুন্টেপল্যায় তিনজনের বিরুদ্ধে মামলা করেছিল পুলিশ।
বেঙ্গালুরুর রামেশ্বরম ক্যাফেতে বিস্ফোরণের অভিযুক্ত হামলাকারীকে এখনও খুঁজে পাওয়া যায়নি, তবে একের পর এক ক্লুস প্রকাশ করা হচ্ছে এবং তিনি কোন দিকে ভ্রমণ করেছিলেন সে সম্পর্কে তথ্য পাওয়া গেছে। বিশেষ করে যে ব্যক্তি বোমা বিস্ফোরণ ঘটিয়েছিল তার সম্পর্কে গোপন তথ্য পেয়েছিল এনআইএ। অভিযুক্তের সঙ্গে তার যোগাযোগ ছিল।
এনআইএ গতকাল ভোর ৪টায় বেল্লারিতে প্রবেশ করে। আটক করা হয় ট্যাংক বুন্দু রোডের বাসিন্দা শাব্বির। তাকে বেঙ্গালুরুতে এনে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। তোরাগাল্লুর কাছে একটি স্বনামধন্য প্রাইভেট কোম্পানিতে কর্মরত শাব্বির ওই সন্ত্রাসীর সঙ্গে যোগাযোগ করতেন বলে জানা গেছে।
সন্দেহ করা হচ্ছে আরও তিনজন হামলাকারীকে সাহায্য করেছে। এনআইএ সৈয়দ আলি, মাস্টারমাইন্ড আবদুল মতিন এবং মুজাফফর হুসেনের খোঁজ করেছে। সৈয়দ আলী হলেন একজন প্রযুক্তিবিদ যিনি ডার্ক ওয়েবের মাধ্যমে কাঁচামাল সংগ্রহ করে বোমাটি তৈরি করেছিলেন বলে সন্দেহ করা হচ্ছে। বিস্ফোরণের দিন মুজাফফর বেঙ্গালুরুতে ছিলেন।
অন্যদিকে, রামেশ্বরম ক্যাফে বোমা বিস্ফোরণ মামলা আরও গভীর হচ্ছে। NIA অফিসারদের একটি দল ইতিমধ্যেই বেল্লারিতে রয়েছে এবং হামলাকারীর গতিবিধির উপর নজর রাখছে।
No comments:
Post a Comment