তৃষ্ণার অনুভূতির সাথে শরীরে দেখা এই লক্ষণগুলি ডিহাইড্রেশনের লক্ষণ
প্রেসকার্ড নিউজ লাইফস্টাইল ডেস্ক, ২৮ মার্চ: গ্রীষ্ম শুরু হয়েছে। এই ঋতুতে শরীরে জলের পরিমাণের দিকে বিশেষ খেয়াল রাখতে হবে। জলের অভাব শরীরে ইলেক্ট্রোলাইটের ভারসাম্য নষ্ট করে, যার কারণে নানা সমস্যা দেখা দিতে থাকে। ইলেক্ট্রোলাইট ভারসাম্য বজায় রাখা রক্তের পিএইচ স্বাভাবিক রাখে। এটি হৃদস্পন্দন এবং রক্তে তরল স্তরের ভারসাম্য বজায় রাখে এবং পেশী, স্নায়ু ও হৃদয়ে বার্তা পাঠাতে সহায়তা করে। তাই শরীরে জৃ খুবই গুরুত্বপূর্ণ। আমরা যখন তৃষ্ণার্ত বোধ করি, তখন আমরা বুঝতে পারি যে শরীরের জলের প্রয়োজন এবং শরীর জলশূন্য। কিন্তু তৃষ্ণা অনুভব করা ছাড়াও যদি এই লক্ষণগুলো দেখা যায়, তাহলে বুঝুন শরীর ডিহাইড্রেটেড এবং শরীরে পর্যাপ্ত পরিমাণে হাইড্রেশন প্রয়োজন। ডিহাইড্রেশন নির্দেশ করে কী কী উপসর্গ, জেনে নেওয়া যাক -
মাসল ক্র্যাম্প
জলের অভাবে ইলেক্ট্রোলাইটের ভারসাম্য নষ্ট হয়ে যায়। ফলে পেশী বার্তা গ্রহণ করে না এবং ব্যথা শুরু হয়।
শুকনো ঠোঁট, শুকনো মুখ
মুখের চারপাশে এবং মুখের মধ্যে শুষ্কতা অনুভূত হয়, অথবা ঠোঁট খুব শুষ্ক হয়ে যাচ্ছে, তাহলে খাদ্যতালিকায় তরল খাবারের পরিমাণ বাড়ান, যাতে শরীরের স্বাভাবিক কাজকর্মে কোনও বাধা না পড়ে।
ত্বকের শুষ্কতা
ত্বকে অতিরিক্ত শুষ্কতা থাকলে, তা শরীরে জলের ঘাটতি হওয়ার লক্ষণ।
মাথাব্যথা
ইলেক্ট্রোলাইটের অভাব স্নায়ু কোষে সঠিকভাবে বার্তা প্রেরণে অসুবিধা সৃষ্টি করে, যার কারণে মাথাব্যথার সমস্যা শুরু হয়। মাথাব্যথা হলে সঙ্গে সঙ্গে জল বা তরল পান করলে ব্যথার সমস্যা কমে যায়।
কোষ্ঠকাঠিন্য
জলের অভাব খাদ্য শোষণেও বাধা দেয়, যার কারণে খাবার ঠিকমতো হজম হয় না এবং কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যা শুরু হয়।
শরীরে কঠোরতা
সারা শরীরে শক্ততা অনুভব করাও জলশূন্যতার লক্ষণ।
প্রস্রাবের রঙ
প্রস্রাবের রঙ দেখে শরীরে জলের অভাব অনুমান করা যায়। প্রস্রাবের রং হলুদ বা গাঢ় হলুদ হওয়া শরীরে জলের অভাব হওয়ার লক্ষণ।
তৃষ্ণা
সবচেয়ে বড় লক্ষণ হল তৃষ্ণা অনুভব করা।
কখন জল পান করা ভালো?
শারীরিক পরিশ্রম, জিম, ব্যায়াম করার দুই ঘন্টা আগে পর্যাপ্ত পরিমাণ জল পান করুন। ওয়েবএমডি রিপোর্ট অনুসারে, প্রতি ২০ মিনিটের শারীরিক পরিশ্রমের পরে ৪-৬ আউন্স জল পান করার চেষ্টা করুন। এছাড়াও, ব্যায়ামের পরে অবশ্যই জল পান করুন।
No comments:
Post a Comment