সিলিয়াক ডিজিজের লক্ষণগুলো জেনে নিন - press card news

Breaking

Post Top Ad

Post Top Ad

Monday 25 March 2024

সিলিয়াক ডিজিজের লক্ষণগুলো জেনে নিন


সিলিয়াক ডিজিজের লক্ষণগুলো জেনে নিন

প্রেসকার্ড নিউজ,লাইফস্টাইল ডেস্ক,২৫ মার্চ: পেট সংক্রান্ত অনেক রোগ আছে।কিন্তু কিছু রোগ আছে যেগুলোর লক্ষণগুলো এতই ছোট যে ধরা পড়ে না,কিন্তু ধীরে ধীরে শরীর ফাঁপা হয়ে যেতে থাকে।এগুলোর মধ্যে একটি হল সিলিয়াক ডিজিজ।

এটি পেটের রোগ।বেশিরভাগ মানুষ হয়তো Celiac এর নামও শোনেননি,কিন্তু এই রোগটি এতটাই বিপজ্জনক যে,এটি শরীরকে অবশ করে দিতে শুরু করে।সিলিয়াক রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা ব্যাঘাতের কারণে হয়।গ্লুটেন যুক্ত জিনিস খাওয়ার ফলে অনেক সমস্যা হয়।গ্যাস,বদহজম, ডায়রিয়া,কোষ্ঠকাঠিন্যের মতো সমস্যা সব সময় লেগেই থাকে।সমস্যা হল সিলিয়াক ডিজিজে খাবার ঠিকমতো হজম হয় না,যার কারণে শরীর খাবার থেকে পুষ্টি পায় না।পুষ্টিগুণ না পাওয়া গেলে শরীর বেশিদিন বাঁচবে না।এই কারণেই সিলিয়াক রোগ শরীরকে ধ্বংস করতে শুরু করে।

সিলিয়াক রোগ কী?

মায়ো ক্লিনিকের মতে,সিলিয়াক রোগটি জিনের ত্রুটির কারণে হয়।এই রোগে সমস্যা বাড়ে যখন আমরা গ্লুটেন যুক্ত জিনিস, যেমন-গম,বার্লি ইত্যাদি থেকে তৈরি জিনিস খাই।এতে ক্ষুদ্রান্ত্রের দেয়াল ক্ষতিগ্রস্ত হতে থাকে।তার মানে অন্ত্রের দেয়াল স্ক্র্যাচ হতে শুরু করে।অন্ত্রের প্রাচীরের আস্তরণ সরাসরি মস্তিষ্কের সাথে সম্পর্কিত।খারাপ আস্তরণের কারণে,আপনি যখন কিছু খান তখন তা থেকে পুষ্টি নিষ্কাশন করা হবে না।এমন অবস্থায় শরীর কোনও পুষ্টি পাবে না এবং পুষ্টির অভাবে শরীর দুর্বল হয়ে পড়বে ও ওজন দ্রুত কমে যাবে।এটি শিশুদের মধ্যে উপস্থিত থাকলে তাদের বিকাশ বাধাগ্রস্ত হবে।

সিলিয়াক রোগের লক্ষণগুলি কী কী?

সিলিয়াক রোগ ছোটখাটো লক্ষণ দেখায়।এতে প্রায়ই পেট খারাপ হতে পারে।ডায়রিয়ার কারণে আপনি খুব দুর্বল হয়ে পড়বেন।পেটে সব সময় গ্যাস তৈরি হবে এবং সব সময় পেট ফুলে আছে বলে মনে হবে।মাঝে মাঝে পেট ব্যাথাও হতে পারে।  মাঝে মাঝে মনে হবে বমি হবে।কিছু লোক পেট খারাপের পরিবর্তে কোষ্ঠকাঠিন্যের অভিযোগ করবে।এই সব মানুষের ওজন দ্রুত কমতে শুরু করবে।

এটা কী ক্ষতি করবে?

যখন কিছু পুষ্টি খাবার থেকে পাওয়া যায় না,তখন রক্তশূন্যতা দেখা দেয়।এতে রক্তশূন্যতা হবে।হাড়ের ঘনত্ব কমতে শুরু করবে।অর্থাৎ হাড়ের শক্তি দ্রুত কমতে শুরু করবে।ত্বকে ফুসকুড়ি দেখা দেবে।মুখে ফোস্কা পড়তে শুরু করবে।সবসময় মাথাব্যথা এবং ক্লান্তি থাকবে।লিভার দুর্বল হতে শুরু করবে এবং জয়েন্টগুলোতে সবসময় ব্যথা থাকবে।

চিকিৎসা কী?

প্রাথমিক পর্যায়ে একজন ডাক্তারের সাথে পরামর্শ করা গুরুত্বপূর্ণ।প্রাথমিক অবস্থায় চিকিৎসকের পরামর্শ না নিলে অন্যান্য সমস্যা বাড়বে যা মারাত্মক হতে পারে।

No comments:

Post a Comment

Post Top Ad