গলায় ব্যথা?উপেক্ষা করবেন না,হতে পারে ইসোফেজিয়াল ক্যান্সার - press card news

Breaking

Post Top Ad

Post Top Ad

Monday 18 March 2024

গলায় ব্যথা?উপেক্ষা করবেন না,হতে পারে ইসোফেজিয়াল ক্যান্সার


গলায় ব্যথা?উপেক্ষা করবেন না,হতে পারে ইসোফেজিয়াল ক্যান্সার

প্রেসকার্ড নিউজ,লাইফস্টাইল ডেস্ক,১৮ মার্চ: ভারতে প্রতি বছর ক্যান্সারের ঘটনা বাড়ছে।এটি এমন একটি রোগ যাতে রোগীর বেঁচে থাকার সম্ভাবনা কম থাকে।শরীরের যেকোনও অংশে ক্যান্সার হতে পারে।খাবারের নালীতেও ক্যান্সার হয়।একে ইসোফেজিয়াল ক্যান্সার বলা হয়।সাধারণ ভাষায় একে গলার ক্যান্সারও বলা হয়।বেশিরভাগ মানুষ এই ক্যান্সারের উপসর্গ উপেক্ষা করে।এই কারণে শেষ পর্যায়ে এটি প্রকাশ্যে আসে।এমন পরিস্থিতিতে,এই ক্যান্সারের লক্ষণগুলি চিহ্নিত করা এবং সময়মতো চিকিৎসা করা গুরুত্বপূর্ণ।

চিকিৎসকদের মতে,যাদের গলায় ঘন ঘন ইনফেকশন হয় তাদের খাদ্যনালীর ক্যান্সার হওয়ার ঝুঁকি সবচেয়ে বেশি।যদি কোনও ব্যক্তির খাবার গিলতে সমস্যা হয় এবং ঘন ঘন কাশি হয় তবে এটি উপেক্ষা করা উচিৎ নয়।এগুলি খাদ্যনালীর ক্যান্সারের লক্ষণ হতে পারে।

খাদ্যনালীর ক্যান্সার কেন হয়?

ম্যাক্স হাসপাতালের অঙ্কোলজিস্ট ডাঃ রোহিত কাপুর ব্যাখ্যা করেছেন যে,যখন গলার চারপাশের কোষগুলি অনিয়ন্ত্রিত গতিতে বৃদ্ধি পেতে শুরু করে,তখন তা ক্যান্সারে পরিণত হয়।  খাবারের নল মুখ দিয়ে পাকস্থলীতে যায়।এই ক্যান্সার শুধুমাত্র এই টিউবে বিকশিত হয় এবং গলার আশেপাশে এটি হওয়ার ঝুঁকি বেশি থাকে।যখন ক্যান্সার হয়,তখন এটি খাবারের পাইপ ব্লক করতে শুরু করে,যার কারণে রোগীর খাবার গিলতে অসুবিধা হয়।এই ক্যান্সারের শুরুতে গলায় ব্যথা এবং খাবার গিলতে অসুবিধা হলেও বেশিরভাগ মানুষই এসব উপসর্গ উপেক্ষা করেন।এই কারণেই খাদ্যনালীর ক্যান্সার বেশিরভাগ ক্ষেত্রে অগ্রসর পর্যায়ে উপস্থিত হয়।

ঝুঁকির মধ্যে কারা?

যারা অ্যাসিড রিফ্লাক্সে ভোগেন এবং যারা ধূমপান করেন তাদের খাদ্যনালীর ক্যান্সার হওয়ার ঝুঁকি বেশি থাকে।এটাও দেখা গেছে যে যারা খুব বেশি গরম জল বা তরল পান করেন তাদেরও খাদ্যনালীর ক্যান্সার হতে পারে।এমতাবস্থায় এসব অভ্যাস পরিহার করা উচিৎ।তামাক এবং অ্যালকোহলও খাদ্যনালী ক্যান্সারের প্রধান ঝুঁকির কারণ।এগুলো থেকেও নিজেকে রক্ষা করুন।

কিভাবে রক্ষা পাওয়া যায় -

আপনি যদি গলায় ব্যথা,খাবার গিলতে অসুবিধা এবং কণ্ঠস্বর পরিবর্তনের সম্মুখীন হন,তাহলে এগুলোকে অবহেলা করা উচিৎ নয়।এই পরিস্থিতিতে আপনার অবিলম্বে ডাক্তারের সাথে পরামর্শ করা উচিৎ।বিলম্বের কারণে রোগটি মারাত্মক আকার ধারণ করতে পারে।এছাড়া তামাক বর্জন করা এবং খাদ্যাভ্যাসের যত্ন নেওয়াও জরুরি।

No comments:

Post a Comment

Post Top Ad