ভোটের আগেই খুন তৃণমূল কর্মী! তীব্র চাঞ্চল্য
নিজস্ব সংবাদদাতা, নদিয়া, ১৬ মার্চ: লোকসভা নির্বাচনের দিনক্ষণ এখনও ঘোষণা হয়নি, তার আগেই রাজ্যজুড়ে শুরু হয়ে গিয়েছে প্রচার। এই আবহেই এবার তৃণমূল কর্মীকে খুনের অভিযোগ। ঘটনায় তীব্র চাঞ্চল্য নদিয়ার ঘানারপাড়া থানা এলাকার মোক্তারপুর গ্রামে। মৃত ওই তৃণমূল কর্মীর নাম সাইদুল শেখ। অভিযোগের তির কংগ্রেস আশ্রিত দুষ্কৃতীদের দিকে। যদিও সমস্ত অভিযোগ অস্বীকার করেছে কংগ্রেস। ঘটনার তদন্তে থানারপাড়া থানার পুলিশ। ঘটনা প্রসঙ্গে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার গ্রামীণ উত্তম ঘোষ জানান, রাজনৈতিক নয়, জমি সংক্রান্ত বিষয়েই এই খুন বলে প্রাথমিকভাবে মনে করা হচ্ছে। ঘটনায় এখনও পর্যন্ত ৩ জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
জানা গিয়েছে, সাইদুলকে তাঁর বাড়ির অদূরেই ধারাল অস্ত্র দিয়ে কোপায় দুষ্কৃতীরা। ঘটনাস্থলে লুটিয়ে পড়েন তিনি। রক্তাক্ত অস্থায় তাঁকে উদ্ধার করে নতিভাঙ্গা গ্রামীণ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত বলে ঘোষণা করেন। দুষ্কৃতীদের খোঁজে গোটা এলাকাজুড়ে শুরু হয়েছে তল্লাশি। ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ।
স্থানীয় ও পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, অন্যান্য দিনের মতো শুক্রবারও কাজে গিয়েছিলেন সাইদুল। কিন্তু নির্দিষ্ট সময় পেরিয়ে যাওয়ার পরেও তিনি না ফেরায় বাড়ির লোকেরা তাঁকে ফোন করতে থাকেন। কিন্তু তাঁর সঙ্গে যোগাযোগ করা যায়নি। পরে পরিবারের সদস্যরা সাইদুলকে খুঁজতে বের হলে দেখে বাড়ির অদূরেই রক্তাক্ত অবস্থায় সাইদুলকে পড়ে আছেন। পরিবারের সদস্যদের দাবী, সাইদুলের সারা শরীর ক্ষতবিক্ষত ছিল। এরপর তাঁকে তড়িঘড়ি উদ্ধার করে স্থানীয় নতিডাঙ্গা গ্রামীণ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসকরা সাইদুলকে মৃত বলে ঘোষণা করেন।
উল্লেখ্য, সাইদুল এলাকায় সক্রিয় তৃণমূল কর্মী হিসেবেই পরিচিত। এই ঘটনায় পরিবার, কংগ্রেস আশ্রীত দুষ্কৃতীদের বিরুদ্ধে অভিযোগের আঙুল তুলেছে। দুষ্কৃতীদের অবিলম্বে গ্রেফতারের দাবী জানান স্থানীয় তৃণমূল নেতৃত্বও। যদিও এই ঘটনার সঙ্গে কোনওরকম যোগ থাকার কথা অস্বীকার করেছে কংগ্রেস। পাল্টা কংগ্রেস নেতৃত্বের দাবী, পুরনো কোনও শত্রুতার জেরেই ওই তৃণমূল কর্মী খুন হয়ে থাকতে পারেন। এর সঙ্গে রাজনীতির কোনও যোগ নেই।
প্রসঙ্গত, লোকসভা নির্বাচন প্রায় দোরগোড়ায়। আজ, শনিবার বেলা তিনটায় ভোটের নির্ঘণ্ট প্রকাশ করতে চলেছে জাতীয় নির্বাচন কমিশন। তার আগেই এই ধরনের ঘটনাকে ঘিরে রীতিমতো চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে গোটা এলাকায়।
No comments:
Post a Comment