এড়িয়ে চলুন ফ্রোজেন ফুড
প্রেসকার্ড নিউজ,লাইফস্টাইল ডেস্ক,১৩ মার্চ: বর্তমান সময়ে মানুষের যখন সময় নেই,তখন হিমায়িত খাবারের প্রবণতা বেড়েছে।জিনিসটি হল হিমায়িত খাবার রান্না এবং খাওয়ার সময় বাঁচায়,তবে সেগুলি স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকারকও হতে পারে।যেমন- আজকাল আমরা হিমায়িত শাক-সবজি, হিমায়িত মটর এবং হিমায়িত পকোড়া খাচ্ছি, কিন্তু এগুলো স্বাস্থ্যের জন্য নানাভাবে ক্ষতিকর হতে পারে।অতএব,যখনই আপনি হিমায়িত খাবার কিনবেন,প্যাকেটের কিছু জিনিস দেখে নিন।তবে তার আগে জেনে নেওয়া যাক হিমায়িত খাবার কী এবং তা খাওয়ার অসুবিধাগুলি কী কী।
হিমায়িত খাদ্য কি?
হিমায়িত খাবার আসলে এমন খাবার যা সারা বছর প্রাকৃতিকভাবে পাওয়া যায় না।এই খাবারগুলি অত্যন্ত ঠান্ডা তাপমাত্রায় সংরক্ষণ করা হয়।যেমন- ব্রকলি এবং মটর জাতীয় সবজি।খাওয়ার জন্য প্রস্তুত খাবার,যেমন- ফেটা কারি,পনির কারি,সরিষা মশলা কারি এবং আলু চিপস ইত্যাদি।
হিমায়িত খাবার কেন ক্ষতিকারক হতে পারে?
হিমায়িত খাবারে প্রচুর প্রিজারভেটিভ ব্যবহার করা হয়।এতে ব্লু-১ এবং রেড-৩-এর মতো রাসায়নিক ব্যবহার করা হয়েছে,যা গ্যাস ও অ্যাসিডিটির কারণ হতে পারে।
এগুলিতে সোডিয়াম এবং চিনির মতো জিনিস উচ্চ পরিমাণে রয়েছে যা স্থূলতা বাড়ায় এবং শরীরে প্রদাহও হতে পারে।
এসব খাবারে পুষ্টির অভাব দেখা যায় এবং এগুলো খেলে পেটে ইনফেকশনও হতে পারে।
কেনার সময় প্যাকেটে এই জিনিসগুলি পড়ুন -
স্যাচুরেটেড ফ্যাটের পরিমাণ কী আছে।কারণ যত বেশি চর্বি, তত বেশি চিনি বাড়বে এবং স্থূলতা বাড়াতে পারে।
চিনি ও লবণের পরিমাণ পরীক্ষা করুন।
বিশেষ করে মেয়াদ উত্তীর্ণের তারিখ সাবধানে পড়ুন।
সস যুক্ত খাবার এড়িয়ে চলুন।
এছাড়া যখনই আপনি হিমায়িত খাবার ব্যবহার করবেন, সাধারণ তাপমাত্রায় ৩০ মিনিট বাইরে রাখুন।প্রথমে গরম জলে মটর ও ব্রকলির মতো সবজি ভিজিয়ে তারপর প্রস্তুত করুন। মনে রাখবেন আপনি যতটুকু ব্যবহার করতে চান শুধু ততটুকুই বাইরে রাখুন।
No comments:
Post a Comment