"অনুব্রত গ্রেফতার হলেও গরু পাচার বন্ধ হয়নি", বীরভূমে দাঁড়িয়ে কেষ্ট-র সমর্থনে অভিষেক
নিজস্ব প্রতিবেদন, ০৩ এপ্রিল, কলকাতা : পার্থ চট্টোপাধ্যায়কে ছেড়ে গেলেও তৃণমূল বরাবরই অনুব্রত মণ্ডলের পাশে দাঁড়িয়েছে, যিনি গরু চোরাচালান মামলায় জেল খেটেছেন। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নিজেই সাহসের সাথে পাবলিক প্ল্যাটফর্ম থেকে সমর্থনে তার আওয়াজ তুলেছিলেন। নির্বাচনী প্রচারণায় অনুব্রতের সমর্থনে এগিয়ে আসেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ও। তিনি দাবী করেছেন যে অনুব্রত জেলে রয়েছেন কারণ তিনি বিজেপিতে যোগ দেননি। অনুব্রত গ্রেফতার হলেও গরু পাচার বন্ধ হয়নি।
লোকসভা নির্বাচনে অনুব্রতহীন বীরভূমে কঠিন পরীক্ষার সম্মুখীন হচ্ছে তৃণমূল। বুধবার সেখানে পৌঁছান অভিষেক। তারাপীঠে দলের সাংগঠনিক সভায়ও অংশ নেন তিনি। আর সেখানে দাঁড়িয়ে অনুব্রতর সমর্থনে মুখ খুললেন তিনি। অভিষেক বলেন, "অনুব্রত মণ্ডল যদি বিজেপিতে যোগ দিতেন, তাহলেই ধোয়া তুলসিপাতা হয়ে যেতেন। তিনি জেলে আছেন কারণ তিনি বিজেপিতে যোগ দেননি। অজিত পাওয়ার, শুভেন্দু অধিকারী, হিমন্ত বিশ্ব শর্মা, নারায়ণ রানে বিজেপিতে যোগ দিয়েছেন, অনুব্রত গেলে তিনিও ধোয়া তুলসিপাতা হতেন।"
অনুব্রতকে জেলে রাখা হয়েছে, তার অনুপস্থিতিতেও কী ভাবে গরু পাচার চলছে, তা নিয়ে প্রশ্ন তোলেন অভিষেক। তিনি বলেন, "অনুব্রতকে গরু পাচারের মামলায় গ্রেপ্তার করা হয়েছে। অনুব্রত কয়েক মাস ধরে জেলে রয়েছে। তারপরও গরু চোরাচালান চলছে। ১০ দিন আগে উত্তরপ্রদেশ ও বিহার থেকে মেমারিতে গরু আসছিল। পশ্চিমবঙ্গের পুলিশ ধরেছে। অথচ বিজেপির একজনকেও ধরলে, হাইকোর্ট স্থগিতাদেশ দেবে। উত্তরপ্রদেশ ও বিহার সরকারে তৃণমূলের কোনও প্রতিনিধি নেই? উত্তরপ্রদেশে একক ভাবে, বিহারে জোটে, দুই রাজ্যেই বিজেপি সরকার। কিন্তু যোগী বা নীতীশকে কতবার ডাকা হয়েছে? এটাই বিজেপির ওয়াশিং মেশিন।”
১৩ মে বোলপুর এবং বীরভূম লোকসভা কেন্দ্রে চতুর্থ দফার ভোটের আগে বীরভূমে তৃণমূলের সাংগঠনিক বৈঠক ছিল আজ। স্থানীয় একটি হোটেলে বীরভূম জেলা তৃণমূল নেতৃত্বের সঙ্গে রুদ্ধদ্বার বৈঠক করেন অভিষেক। সেখানে দলীয় নেতৃত্বকে কড়া বার্তাও দেন তিনি। অভিষেক বলেন যে লোকসভায় ফলাফল খারাপ হলে সংশ্লিষ্ট জায়গার দায়িত্বশীল নেতাদের সরিয়ে দেওয়া উচিৎ।
No comments:
Post a Comment