বড়বাজারে বহুতলে বিধ্বংসী আগুন
নিজস্ব সংবাদদাতা, কলকাতা, ২৯ এপ্রিল: কলকাতায় অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় আতঙ্ক। বড়বাজারে নাখোদা মসজিদের পাশে একটি বহুতলে আগুল লাগে। ওই বহুতলের প্লাস্টিক গুদামে আগুন লাগে ভোর ৪.৫০ মিনিট নাগাদ। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছায় দমকলের ১৫ টি ইঞ্জিন। ঘিঞ্জি এলাকায় আগুন লাগায় পাশের অন্তত ৩ টি বহুতলে আগুন ছড়িয়ে পরে। বেশ কিছুটা ক্ষতিগ্রস্ত হয় বহুতলগুলি। বহুতলের বাসিন্দাদের দমকলের আধিকারিকরা নিরাপদ স্থানে সরিয়ে ফেলেন। তবে, ঘিঞ্জি এলাকায় আগুন লাগার ফলে দমকলের আধিকারিকদের বেশ কিছুটা অসুবিধা হয়। প্রায় ২ ঘন্টার প্রচেষ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে ছুটে আসেন দমকলমন্ত্রী সুজিত বসু।
অপরদিকে এই অগ্নিকাণ্ড ঘিরে শুরু হয়েছে রাজনৈতিক চাপানোতোর। ঘটনাস্থলে ছুটে যান কলকাতা উত্তরের বিজেপি প্রার্থী তাপস রায়। তিনি এলাকায় পৌঁছাতেই উত্তেজনা ছড়ায়। গো ব্যাক স্লোগান দেওয়া হয় তাপস রায়কে। বিজেপি প্রার্থী বলেন, 'মানুষ আমাকে ওয়েলকাম করছে তৃণমূলের 'গো ব্যাক' স্লোগানে কী এসে যায়!"
এদিকে আগুন যাতে আরও ছড়িয়ে না পড়ে, তার জন্য যুদ্ধকালীন তৎপরতায় চলে আগুন নেভানোর কাজ। কী কারণে অগ্নিকাণ্ড, তা প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত জানা যায়নি। জানা গিয়েছে ওই গুদামে প্রচুর দাহ্য পদার্থ মজুদ করা ছিল। ঘিঞ্জি এলাকা হওয়ায় আগুন দ্রুত ছড়িয়ে পড়ে। বহুতলের মধ্যে প্লাস্টিকের গুদাম কীভাবে ছিল, তা নিয়ে প্রশ্ন উঠছে।
দমকল মন্ত্রী সুজিত বসু বলেন, 'আগুন নিয়ন্ত্রণে এসেছে গোডাউনে আগুন লেগেছিল, তা থেকে পাশের দুটি বাড়িতে আগুন ছড়িয়ে পড়ে। ভেতরে কেউ আটকে নেই কুলিং প্রসেস চলছে।' তিনি আরও বলেন, 'ঘিঞ্জি এলাকায় গোডাউন রাখা যাবে না বলেছি, সব তো আর উৎখাত করা যায় না। আমরা আমাদের দায়িত্ব পালন করি বলেই দ্রুত নিভেছে আগুন।'
উল্লেখ্য, আগেও বড়বাজারে আগুন লাগার ঘটনা ঘটে। ২০১৮ সালে সেপ্টেম্বর মাসে বাগরি মার্কেটে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে। বহু ক্ষয়ক্ষতি হয় আগুন পুরোপুরি নেভাতে প্রায় চার দিন সময় লেগেছিল। এদিন যে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে তা বাগরি মার্কেটের কাছেই। এছাড়াও চলতি বছর ১৩ এপিল দমদমের একটি বস্তিতে আগুন লাগে। বাংলা নববর্ষের দিন চিনার পার্কের রেস্তোরাঁয় আগুন লেগেছিল।
No comments:
Post a Comment