টাকা দিলেই মিলবে পছন্দমত বউ

প্রদীপ ভট্টাচার্য, ৩রা এপ্রিল, কলকাতা :  টাকা দিলেই মিলবে পছন্দমত বউ

টাকার বিনিময়ে বিক্রি হচ্ছে বউ। কিনতে পারবেন পছন্দমত। টাকা দিলেই মিলছে সুন্দরী বউ। কেমন ভাবে কিনবেন বউ? বউবাজারের নাম শুনেছেন নিশ্চয়ই! হ্যাঁ ঠিকই ধরেছেন, আমার আপনার সবার চেনা বউবাজার। কলকাতার এই বউবাজারে বউ কিনতে পাওয়া না গেলেও বউ হবার যাবতীয় সামগ্রী পাওয়া যায়। যেমন গয়না থেকে শাড়ি, বিয়ের টোপর থেকে তত্ত্ব সবকিছুর সম্ভার। কিন্তু আপনি কি জানেন এই পৃথিবীতে রয়েছে এমন এক বউবাজার, যেখানে টাকা দিলেই পাওয়া যায় পছন্দ মত বউ। রোগা, কালো, বেঁটে, লম্বা, সুন্দরী, কুৎসিত নানারকম বউ পাওয়া যায় এই বাজারে। পছন্দ করে টাকা ফেললেই সেই বউ বাড়িতে নিয়ে আসতে পারবেন। সত্যি সত্যিই রয়েছে এমন বউবাজার। আর এই কুৎসিত বাজার রয়েছে বুলগেরিয়ায়। যেখানে টাকা দিলেই পছন্দমত বউ কিনতে পাওয়া যায়।

বুলগেরিয়ার জাগোর নামের একটি শহরে রয়েছে বউবাজার। সেখান থেকে কেউ মোটা টাকা দিয়ে সুন্দরী বউ কেনেন আবার কেউ সামান্য টাকা দিয়ে কুৎসিত কালো চামড়ার মেয়েদের কিনে আনেন। যে মেয়েটিকে পছন্দ হয় তার সঙ্গে প্রথমে দামাদামি করা হয়। এরপর দামে উভয়পক্ষ রাজি হলেই নির্ধারিত সময়ে নিয়ে যাওয়া হয় বউকে।

সাধারণত মেয়ে পরিবার থেকেই এই দাম ধার্য করা হয়। এমনই অদ্ভুত নিয়ম রয়েছে ওই দেশে। বিয়ের পরে ওই মেয়েটিকে কিনে আনেন স্বামী তারপর তার বাড়িতে এসে স্ত্রীর মর্যাদা পায়। কিন্তু এই বাজার বসানোর পেছনে রয়েছে অন্য এক রকম কারণ। কাউকে ছোটো কিংবা বড় করা নয় বরং দারিদ্রতা দূর করার জন্যই এই ব্যবস্থা। এই বউবাজারে কেবল স্থান পায় গরিব মেয়েরা। অর্থের অভাবে যাদের বিয়ে হচ্ছে না, তারাই আসেন এই বউবাজারে বিক্রি হতে। এরপর তাদের নির্দিষ্ট দাম দিয়ে পছন্দ করে নিয়ে যায় হবু স্বামীর দল। বুলগেরিয়ার এই প্রথা চলে আসছে যুগ যুগ ধরে। এমনকি সরকারের তরফ থেকেও এই বউবাজারকে শিলমোহর দেওয়া হয়েছে।।

বাজার চলতি দামের চেয়ে অনেক কম দামে এখানে পাওয়া যায় বউ। এই বউবাজার থেকে বউ কেনার মধ্যেও রয়েছে হাজার রকমের নিয়ম। যে মেয়েকে পছন্দ করা হয়েছে তাকে নিয়ে যাওয়ার আগে কয়েকটি নিয়ম পালন করতে হয়। প্রথমে সেই মেয়েকে প্রতিশ্রুতি দিতে হয় যে তিনি একজন কুমারী। কারও সঙ্গে শারীরিক সম্পর্কে কখনো লিপ্ত হননি তিনি। তবেই তিনি এই বাজারে আসবার ছাড়পত্র পাবেন। কুমারী মেয়েদের দাম একটু বেশি। এছাড়া পরিবারটিকে অবশ্যই দরিদ্র হতে হবে। যে মেয়েটিকে কেনা হবে তাকে অবশ্যই যোগ্য স্ত্রীর মর্যাদা দিতে হবে। তার পাশে সবসময় থাকতে হবে শ্বশুরবাড়ির পরিবারকে। এমনকি স্বামী তাকে কোনদিন অমর্যাদা করতে পারবেন না। এটা বুলগেরিয়ার একটা প্রচলিত নিয়ম, যা ইতিমধ্যেই তাদের নীতির সঙ্গে ঢুকে গিয়েছে। তাই এই নিয়মে এখন আর বুলগেরিয়ার মানুষ চম:কৃত হন না। বরং দেখেশুনে, বুঝেসুজে প্রছন্দমতো বউ নিয়ে আসে ছেলেরা। মেয়েরাও পছন্দ মত জীবনসঙ্গী নির্বাচন করতে পারেন স্বয়ংবর সবার মতন। এভাবেই ওই দেশের গরীব  মানুষ ও কন্যাদায়গ্রস্ত পিতাদের বোঝা অনেকখানি নামানো হয় ঘাড় থেকে।