বাংলায় ইন্ডিয়া জোটে সংঘর্ষ! বামেদের ইস্তেহারে বিজেপি-তৃণমূলকে আক্রমণ - press card news

Breaking

Post Top Ad

Post Top Ad

Thursday 18 April 2024

বাংলায় ইন্ডিয়া জোটে সংঘর্ষ! বামেদের ইস্তেহারে বিজেপি-তৃণমূলকে আক্রমণ



বাংলায় ইন্ডিয়া জোটে সংঘর্ষ! বামেদের ইস্তেহারে বিজেপি-তৃণমূলকে আক্রমণ



নিজস্ব প্রতিবেদন, ১৮ এপ্রিল, কলকাতা : লোকসভা নির্বাচনের প্রথম পর্বের কয়েক ঘন্টা আগে রাজ্যে লোকসভা নির্বাচনের ইস্তেহার প্রকাশ করেছে বাম। ইস্তেহারে অভিযোগ করা হয়েছে যে প্রতিশ্রুতি দিলেও কেন্দ্র কিছু ক্ষেত্রে তা পূরণ করতে পারেনি।  এ ছাড়া ওই রাজ্যের শাসক দলের বিরুদ্ধে দুর্নীতির বহু অভিযোগ উঠেছে।  যদিও বাম এবং তৃণমূল ইন্ডিয়া জোটের উপাদান দল, তবে পশ্চিমবঙ্গে, ইন্ডিয়া অ্যালায়েন্সের দুটি দল কংগ্রেস এবং বাম একসাথে রয়েছে, তবে তাদের প্রতিযোগিতা বিজেপি এবং তৃণমূলের সাথে।



 বাম দলগুলির ইস্তেহারে বলা হয়েছে যে কেন্দ্রের বিজেপি সরকার প্রতিটি ক্ষেত্রে - কৃষি, স্বাস্থ্য, শিক্ষা, চাকরি - কতটা প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল এবং সেগুলি পূরণে তারা কতটা সফল হয়েছে?  কেন বিজেপি-তৃণমূলকে ভোট দেবেন না বামেদের ইস্তেহারে বিস্তারিত উল্লেখ রয়েছে।  তৃণমূলের ইস্তেহারকে নিশানা করলেন বামফ্রন্ট চেয়ারম্যান বিমান বসু।




 বাম জানিয়েছে, বিজেপি সরকার সংসদে বিরোধীদের কণ্ঠস্বর দমন করছে।  দুই দিনে ১৪৬ জন সাংসদকে সাসপেন্ড করা হয়েছে।  আলোচনা ছাড়াই জোর করে বিল পাস করা হচ্ছে।  এমনকি বাজেট দিকও একই।  বামেদের দাবী, বাজেটের ৭৯ শতাংশ আলোচনা ছাড়াই পাস হচ্ছে।



এই রাজ্যের শাসক দল শুরু থেকেই ইডি-সিবিআই-এনআইএর মতো কেন্দ্রীয় সংস্থার ব্যবহার নিয়ে অভিযোগ করে আসছে।  বামপন্থীরাও তাদের ইস্তেহারে একই কথা উল্লেখ করেছে।  বামপন্থীদেরও দাবী, কেন্দ্রীয় সংস্থাকে বিজেপি সরকার রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে ব্যবহার করছে।  এমনকি কমিশনকে পক্ষপাতদুষ্ট বলেও উল্লেখ করা হয়েছে।



 বামেদের অভিযোগ, অর্থের জোরে নির্বাচিত বিরোধী সরকারকেও ভাঙছে কেন্দ্রীয় সরকার।  উল্লেখ্য, শুরু থেকেই এই অভিযোগ তুলেছে তৃণমূল।  সম্প্রতি এনআইএ অভিযানের বিরুদ্ধে নির্বাচন কমিশন অফিসের সামনে ধর্নায় বসেছে তৃণমূলের একটি প্রতিনিধি দলও।


 

ইস্তেহার প্রকাশের পর বামফ্রন্টের সভাপতি বিমান বসু রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সম্পর্কে বলেন, 'মুখ্যমন্ত্রী বিভিন্ন বিষয়ে কথা বললেও তিনি ১৯৮৯-৯৯ সালে বিজেপি নেতৃত্বাধীন সরকারে কেন্দ্রীয় রেলমন্ত্রী ছিলেন।  আমি তা বলছি না।  তারা যাদেরকে বহিরাগত বলে তাদের পাশে থাকার সিদ্ধান্ত নিয়েছে।  তপন সিকদার দমদমে, জুলু মজুমদার কৃষ্ণনগরে জিতে আইনমন্ত্রী হয়েছেন।  পরে এই মুখ্যমন্ত্রী কয়লামন্ত্রী হন।  বিজেপিকে কটাক্ষ করেন তিনি।  এখানে আরএসএসের বিকাশ তার হাত ধরেই হয়েছে।  ইস্তেহারে তৃণমূল দাবী করেছে, ইন্ডিয়া জোট ক্ষমতায় এলে তারাই হবে নির্ণায়ক।'


No comments:

Post a Comment

Post Top Ad