শিশুকে এসিতে ঘুম পাড়ানো কি নিরাপদ?
প্রেসকার্ড নিউজ,লাইফস্টাইল ডেস্ক,২৮ এপ্রিল: এই বছর মার্চ মাস যেতেই শুরু হয়েছে গরম।গরমে সবাই অস্থির।গরম ও আর্দ্রতা থেকে মুক্তি পেতে সবাই চায় কুলার বা এসি-তে থাকতে।এসি বা ঠাণ্ডা বাতাস আমাদের অনেকাংশে স্বস্তি দেয়।কিন্তু এই বাতাস কি নবজাতক বা ছোট শিশুদের জন্য নিরাপদ?অভিভাবকরা প্রায়শই এই বিষয়টি নিয়ে চিন্তিত থাকেন।স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞ ডাঃ রীমা পান্ডের মতে,আপনি শিশুকে এসি বা ঠাণ্ডা বাতাসে ঘুমাতে দিতে পারেন,তবে এই সময়ে আপনাকে কিছু বিষয় মাথায় রাখতে হবে।আসুন জেনে নেই শিশুর এসি বা কুলারে ঘুমানোর সময় কী কী বিষয় মাথায় রাখতে হবে।
আপনি যদি আপনার শিশুকে এসি বা কুলারে ঘুমাতে দেন তবে সবসময় খেয়াল রাখবেন সরাসরি বাতাস যেন আপনার শিশুর ওপর না পড়ে।শিশুদের প্রতিরোধ ক্ষমতা দুর্বল,তাই হালকা ঠাণ্ডাও শিশুকে ঠাণ্ডা ও জ্বরে ভোগাতে পারে।সময় সময় আপনার সন্তানের শরীর স্পর্শ করতে থাকুন,যাতে আপনি জানতে পারেন শিশুর জ্বর এসেছে কি না।
আপনি যদি শিশুকে একটি এসি রুম থেকে অন্য ঘরে নিয়ে যাচ্ছেন তাহলে অবিলম্বে তা করবেন না।প্রথমে এসি বন্ধ করুন এবং শরীরকে ঘরের তাপমাত্রায় আনুন,তারপর তাকে অন্য ঘরে নিয়ে যান।
শিশুকে দীর্ঘ সময়ের জন্য ঠাণ্ডা তাপমাত্রায় রাখবেন না।কারণ এতে হাইপোথার্মিয়ার ঝুঁকি রয়েছে।আপনি যদি আপনার সন্তানকে এসি রুমে ঘুমাতে দেন,তাহলে এসির তাপমাত্রা ২৩ থেকে ২৬-এর মধ্যে রাখুন।এর চেয়ে কম তাপমাত্রা থাকলে শিশু অসুস্থ হতে পারে।
এয়ার কন্ডিশনার শিশুর জন্য নিরাপদ তখনই যখন আপনি শিশুকে এসি বা কুলারে ঘুমালে ভালোভাবে ঢেকে রাখেন। ঠাণ্ডাজনিত কারণে শিশুর কাঁপুনি হচ্ছে কিনা তা পরীক্ষা করতে থাকুন।
এয়ার কন্ডিশনারে ঘুমানো শিশুর ত্বক শুষ্ক হয়ে যেতে পারে।এতে ত্বক সংক্রান্ত রোগ হতে পারে।এমন পরিস্থিতিতে, ডাক্তারের পরামর্শ অনুযায়ী আপনার শিশুকে সময়ে সময়ে ময়েশ্চারাইজার লাগাতে হবে।তাকে বুকের দুধ পান করাতে থাকুন।এটি তাকে হাইড্রেটেড রাখবে।
একই সময়ে,আপনার শিশু যদি অসুস্থ বা প্রি-ম্যাচিউর হয়, তাহলে অবশ্যই তাকে এসি বা ঠাণ্ডা বাতাসে ঘুম পাড়ানোর আগে চিকিৎসকের পরামর্শ নিন।
বি.দ্র: এখানে দেওয়া তথ্য সাধারণ জ্ঞান ও ঘরোয়া প্রতিকার হিসেবে দেওয়া। প্রেসকার্ড নিউজ এটি নিশ্চিত করে না। কোনও নতুন কিছু শুরুর আগে সংশ্লিষ্ট বিশেষজ্ঞর পরামর্শ অবশ্যই নিন।
No comments:
Post a Comment