নজিরবিহীন! বিধানসভা ধরে ধরে পঞ্চায়েত নির্বাচনের হিংসার তথ্য চাইল কমিশন
কলকাতা: আসন্ন লোকসভা নির্বাচন যতটা সম্ভব রাজনৈতিক হিংসামুক্ত রাখতে নজিরবিহীন পদক্ষেপ করতে চলেছে জাতীয় নির্বাচন কমিশন। তারই কিছুটা ইঙ্গিত মিলল বুধবার। চিফ ইলেক্টোরাল অফিস তথা সিইও দফতর থেকে সব জেলাগুলিকে এদিন নোটিশ পাঠানো হয়েছে, যাতে বলা হয়েছে, পঞ্চায়েত ভোটে বিধানসভা আসন ধরে ধরে যেখানে যত হিংসার ঘটনা ঘটেছে, সে ব্যাপারে বিস্তারিত পরিসংখ্যান ও তথ্য নির্বাচন কমিশনকে পাঠাতে হবে। বৃহস্পতিবার দুপুর তিনটের মধ্যে এই রিপোর্ট দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে বলেই কমিশন সূত্রে খবর।
২০২৩ সালের পঞ্চায়েত নির্বাচনে রাজ্য নির্বাচন কমিশনের ভূমিকা নিয়ে কলকাতা হাইকোর্টে বারবার প্রশ্ন উঠেছিল। ভোটের দিন বিক্ষিপ্ত ভাবে ব্যালট লুটের ঘটনা ঘটেছে। কোথাও কোথাও স্থানীয় মানুষ ভোট দিতে পারেনি বলেও অভিযোগ ওঠে। এদিন কমিশন জেলা নির্বাচন আধিকারিকদের স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছে, কোন কোন বুথে ভোট গ্রহণে বাধা দেওয়া হয়েছে, তা সে ব্যালট লুটের জন্য হোক বা পেশীশক্তি প্রয়োগের কারণে, সেই সব বুথের বিস্তারিত তথ্য কমিশনকে দিতে হবে।
জেলা নির্বাচন আধিকারিকদের কমিশন আরও জানিয়েছে, পঞ্চায়েত ভোটে জাতীয় দলের পোলিং এজেন্ট যে যে বুথে ছিল না বা তাঁদের থাকতে দেওয়া হয়নি, এমন সব বুথের তালিকাও দিতে হবে।
পর্যবেক্ষকদের মতে, এর অর্থ একবারেই পরিষ্কার। ভোট অবাধ ও সুষ্ঠু করার জন্য যথাসম্ভব চেষ্টা করছে কমিশন। এই নির্দেশের পর ধরে নেওয়া যেতে পারে, পঞ্চায়েত ভোটে যে সব এলাকায় বেশি হিংসার ঘটনা ঘটেছিল সেখানে কেন্দ্রীয় বাহিনীর মোতায়েন বেশি হবে। ওই সব বুথে সব রাজনৈতিক দলের এজেন্ট যাতে থাকতে পারেন তাও কমিশন সুনিশ্চিত করবে।
২০১৮ সালে বাংলায় পঞ্চায়েত নির্বাচনে লাগামহীন সন্ত্রাসের ঘটনা ঘটেছিল। পাঁচ বছর পর ২০২৩ সালেও হিংসার ধারা অব্যাহত থাকে। তবে তা আগের পঞ্চায়েতের তুলনায় কম ছিল। ২০১৮ সালের পঞ্চায়েত নির্বাচনের তুলনায় অনেক কম আসনে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় জিতেছিল রাজ্যের শাসক দল। এছাড়া বাম ও বিজেপি আগের তুলনায় কয়েকগুণ বেশি প্রার্থী দিতে সফল হয়েছিল।
No comments:
Post a Comment