গ্রীষ্মকালে হওয়া অনেক রোগ প্রতিরোধ করে কাঁচা আম
প্রেসকার্ড নিউজ,লাইফস্টাইল ডেস্ক,২ এপ্রিল: গ্রীষ্মের মরসুম এলেই খুশি হয়ে উঠতে শুরু করেন আমপ্রেমীরা।ফলের রাজা মানুষকে সারা বছর অধীর আগ্রহে অপেক্ষা করায়,তবেই আমের স্বাদ পাওয়া যায়।এপ্রিলের মরসুমে প্রচুর পরিমাণে কাঁচা আম পাওয়া যায়।পাকা আম না আসা পর্যন্ত মানুষ কাঁচা আম খেতে শুরু করে।বৃষ্টি,ঝড় ও শিলাবৃষ্টির পর প্রচুর পরিমাণে কাঁচা আম পড়ে যায়।এই কাঁচা আম খেতে খুবই সুস্বাদু।নাম শুনলেই মুখে জল চলে আসে। আম পান্না,আমের চাটনি এবং লউঞ্জি তৈরি হয় কাঁচা আম থেকে।কাঁচা আম স্বাস্থ্যের জন্যও অত্যন্ত উপকারী প্রমাণিত হয়।জেনে নিন কাঁচা আম খেলে কী কী উপকার পাওয়া যায়।
কাঁচা আম অনেক পুষ্টির ভান্ডার।এটি ভিটামিন এ,ভিটামিন সি, ভিটামিন ই,ক্যালসিয়াম,আয়রন,ফাইবার,ম্যাগনেসিয়াম এবং ফসফরাসের মতো পুষ্টিতে ভরপুর।কাঁচা আম গরমে হিট স্ট্রোক থেকে রক্ষা করতে এবং রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে সাহায্য করে।
রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায় -
কাঁচা আম খেলে শরীরে ভিটামিন সি পাওয়া যায়।এটি ইমিউন সিস্টেমকে শক্তিশালী করে এবং শরীরকে রোগ থেকে দূরে রাখে।রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা শক্তিশালী করতে কাঁচা আম খাওয়া উচিৎ।এর মাধ্যমে গ্রীষ্মকালে হওয়া অনেক রোগ প্রতিরোধ করা যায়।
হজমশক্তির উন্নতি ঘটায় -
যারা কাঁচা আম খান তাদের হজমের সমস্যা কম হয়।কাঁচা আম খেলে প্রচুর ফাইবার পাওয়া যায়।যার কারণে কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যা চলে যায়।কাঁচা আমের পাল্পে গ্যাস্ট্রোপ্রোটেকটিভ প্রভাব রয়েছে যা অ্যাসিডিটির সমস্যাও কমায়।কাঁচা আম খেলে বদহজম ও গ্যাস থেকে মুক্তি পাওয়া যায়।
হিট স্ট্রোক থেকে রক্ষা করে -
হিট স্ট্রোকের প্রভাব থেকে রক্ষা পেতে কাঁচা আমের পানীয় খুবই উপকারী।কাঁচা আম খেলে হিট স্ট্রোকের ঝুঁকি কমে। এটি শরীরকে হাইড্রেটেড রাখে এবং শীতলতা বজায় রাখে। তাই গরমে কাঁচা আম অবশ্যই খাওয়া উচিৎ।
হাড় মজবুত করে -
কাঁচা আমে ক্যালসিয়াম পাওয়া যায়।যার কারণে হাড় মজবুত হয়।তাই গরমকালে খাদ্যতালিকায় কাঁচা আম রাখুন।শিশুদের আমের পান্না বা চাটনিও খাওয়াতে পারেন।
রক্তে শর্করা নিয়ন্ত্রণ করে-
NCBI (ন্যাশনাল সেন্টার ফর বায়োটেকনোলজি ইনফরমেশন) এর একটি প্রতিবেদনে বলা হয়েছে যে কাঁচা আমে অ্যান্টি-ডায়াবেটিক প্রভাব দেখা গেছে।যার ফলে রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখা যায়।অর্থাৎ কাঁচা আম খাওয়া ডায়াবেটিস রোগীদের জন্যও উপকারী।তবে এই বিষয়ে অবশ্যই একবার চিকিৎসকের পরামর্শ নিন।
বি.দ্র: এখানে দেওয়া তথ্য সাধারণ জ্ঞান ও ঘরোয়া প্রতিকার হিসেবে দেওয়া। প্রেসকার্ড নিউজ এটি নিশ্চিত করে না। কোনও নতুন কিছু শুরুর আগে সংশ্লিষ্ট বিশেষজ্ঞর পরামর্শ অবশ্যই নিন।
No comments:
Post a Comment