শিশুদের কখন-কতটা ডিম খাওয়ানো উচিৎ?
প্রেসকার্ড নিউজ, লাইফস্টাইল ডেস্ক, ২৬ এপ্রিল: ডিম শিশুদের জন্য একটি সুপারফুড হিসাবে বিবেচিত হয়,যা তাদের একটি প্যাকেজে প্রোটিন,খনিজ এবং অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ উপাদানগুলির মতো প্রয়োজনীয় পুষ্টি সরবরাহ করে।অনেক সুবিধা থাকা সত্ত্বেও পিতামাতারা প্রায়শই তাদের শিশুদের ডায়েটে ডিম অন্তর্ভুক্ত করার উপযুক্ত সময় এবং পরিমাণ সম্পর্কে চিন্তিত হন।আসুন এই প্রশ্নটি গভীরভাবে বিবেচনা করা যাক।
কখন শিশুদের ডিম খাওয়াবেন?
একটি শিশুর ডায়েটে ডিম অন্তর্ভুক্ত করা সাধারণত ছয় মাস বয়স থেকে শুরু করা উচিৎ।এই পর্যায়ে,তাদের সর্বোত্তম বৃদ্ধি এবং বিকাশের জন্য অতিরিক্ত পুষ্টি প্রয়োজন।ডিমে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে প্রোটিন ও খনিজ উপাদান যা শিশুদের স্বাস্থ্যের জন্য উপকারী।
দৈনিক কত ডিম খাওয়াবেন?
আপনার শিশুর বয়স যখন ছয় মাস হবে,আপনি তার খাদ্যতালিকায় ডিম অন্তর্ভুক্ত করা শুরু করতে পারেন।তবে শুরুতে অর্ধেক ডিম দিয়ে শুরু করা জরুরি।ধীরে ধীরে নতুন খাবার প্রবর্তন করুন এবং অ্যালার্জির লক্ষণগুলি পর্যবেক্ষণ করুন।আপনার সন্তানের বৃদ্ধির সাথে সাথে আপনি ধীরে ধীরে ডোজ বাড়াতে পারেন।যখন তারা এক বছর বয়সে পৌঁছায়, প্রতিদিন একটি সম্পূর্ণ ডিম উপযুক্ত।এটি কেবল তাদের বিকাশে সহায়তা করে না,তাদের হাড়কেও শক্তিশালী করে।
ডিমের উপকারিতা -
ডিম প্রোটিন সমৃদ্ধ,যা শিশুদের শক্তিশালী পেশী তৈরির জন্য অপরিহার্য।উপরন্তু,এতে ভিটামিন এ,ডি এবং ই রয়েছে,যা হাড় এবং চোখের স্বাস্থ্য উভয়ই অবদান রাখে।
ডিমের কোন অংশ খাওয়াবেন?
প্রথমবার শিশুদের ডিম দেওয়ার সময়,কুসুম দিয়ে শুরু করুন। যখন তারা ডিম পছন্দ করতে শুরু করবে,আপনি ধীরে ধীরে তাদের পুরো ডিম দিতে পারেন।
ডিম খাওয়ানোর সময় সতর্কতা -
কিছু শিশুর ডিম থেকে অ্যালার্জি হতে পারে।তাই অল্প পরিমাণে শুরু করা গুরুত্বপূর্ণ।কোনও ধরনের অ্যালার্জির লক্ষণ দেখা দিলে অবিলম্বে চিকিৎসকের সঙ্গে যোগাযোগ করুন।শিশুদের সবসময় তাজা ডিম খাওয়ান।তাদের ডিম বা অন্য কোনও খাবার দেওয়া এড়িয়ে চলুন যা অনেক দিন ধরে সংরক্ষণ করা হয়েছে।এই সতর্কতাগুলি অনুসরণ করে আপনি আপনার সন্তানের জন্য একটি পুষ্টিকর খাদ্য প্রস্তুত করতে পারেন।
ডিম একটি শিশুর খাদ্যের একটি মূল্যবান সংযোজন,যা তাদের বিকাশ এবং বৃদ্ধির জন্য প্রয়োজনীয় পুষ্টি সরবরাহ করে।সঠিক সময়ে এবং উপযুক্ত পরিমাণে ডিম খাওয়ানোর মাধ্যমে,পিতামাতারা তাদের সন্তানের সার্বিক স্বাস্থ্য এবং সুস্থতায় উল্লেখযোগ্য অবদান রাখতে পারেন।
বি.দ্র: এখানে দেওয়া তথ্য সাধারণ জ্ঞান ও ঘরোয়া প্রতিকার হিসেবে দেওয়া। প্রেসকার্ড নিউজ এটি নিশ্চিত করে না। কোনও নতুন কিছু শুরুর আগে সংশ্লিষ্ট বিশেষজ্ঞর পরামর্শ অবশ্যই নিন।
No comments:
Post a Comment