ভেড়ার রোগ-চিকিৎসা পদ্ধতি
রিয়া ঘোষ, ০২ মে: ভেড়া পালন ভারতে একটি প্রধান ব্যবসা। ভেড়া চাষ ছাগল পালনের মতই। এ ব্যবসায় খরচ কম এবং আয় বেশি হলেও অনেক সময় রোগে আক্রান্ত হয়ে পশু মারা যাওয়ায় পশু মালিকরা নানা চ্যালেঞ্জের সম্মুখীন হন। এটি পশমের উৎপাদনকে প্রভাবিত করে এবং ভেড়া চাষীদের ব্যাপক অর্থনৈতিক ক্ষতি করে।
ব্রুসেলোসিস
ব্রুসেলোসিস একটি জুনোটিক রোগ, অর্থাৎ একটি ভাইরাস বা ব্যাকটেরিয়া যা প্রাণী ও মানুষ উভয়কেই সংক্রমিত করে এবং উভয়ের মধ্যে সংক্রমণ ছড়ায়। এটি 'ভূমধ্যসাগরীয় জ্বর' বা 'মাল্টা জ্বর' নামেও পরিচিত। ব্রুসেলোসিস সাধারণত গবাদি পশু, গরু, শূকর, ছাগল, ভেড়া এবং কুকুর দ্বারা ছড়ায়।
প্রতিরোধ - আক্রান্ত পশুদের টিকা দিতে হবে।
চর্মরোগ
এ রোগে অন্যান্য প্রাণীর মতো ভেড়াও মাছি, উকুন পরজীবী দ্বারা আক্রান্ত হয়। এ কারণে ভেড়ার চামড়ায় অনেক রোগ দেখা দেয়, যার কারণে পশুর শরীর চুলকায় এবং ভেড়া বারবার অন্যান্য প্রাণী ও পাথর দিয়ে তার শরীরে আঁচড় দেয়।
প্রতিরোধ- প্রথমে ভেড়ার চামড়া পশু চিকিৎসকের দ্বারা পরীক্ষা করান। আক্রান্ত প্রাণীটিকে অন্যান্য প্রাণী থেকে আলাদা করুন। পশুকে অন্তত দুবার কীটনাশক দিয়ে স্নান করান।
গোলকৃমি
এই কৃমিগুলো লম্বা এবং সাদা রঙের হয় প্রধানত ভেড়ার অন্ত্রে। তারা ভেড়ার অন্ত্র আক্রমণ করে যার ফলে পশুর শরীর দুর্বল হয়ে পড়ে। পশুর ডায়রিয়া হয়, পশমের উৎপাদন কমে যায়, পশু খাওয়া-দাওয়া বন্ধ করে দেয়।
প্রতিরোধ - ভেটেরিনারি ডাক্তারের পরামর্শে বছরে অন্তত তিনবার ভেড়ার কৃমিনাশ করা নিশ্চিত করুন।
No comments:
Post a Comment