সতর্ক থাকুন এন্ডোমেট্রিওসিস থেকে
প্রেসকার্ড নিউজ,লাইফস্টাইল ডেস্ক,২৫ মে: সম্প্রতি, বলিউড অভিনেত্রী এবং শিল্পা শেঠির বোন শমিতা শেঠির এন্ডোমেট্রিওসিস সার্জারি করা হয়েছে।শমিতা নিজেই তার সোশ্যাল মিডিয়া অ্যাকাউন্টে একটি ভিডিও শেয়ার করেছেন এবং এই রোগ সম্পর্কে মানুষকে জানিয়েছেন।তিনি মহিলাদের জরায়ুর এই রোগ সম্পর্কে সতর্ক ও সচেতন হওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন।
আমাদের দেশে,প্রায় ৪.২ কোটি মহিলা এন্ডোমেট্রিওসিস রোগে ভুগছেন।তবে তারা এই রোগটি সময়মতো শনাক্ত করতে সক্ষম হন না।কারণ তারা যাকে সাধারণ ব্যথা, রক্তপাত বা ক্র্যাম্প বলে উপেক্ষা করেন,তা পরবর্তীতে এন্ডোমেট্রিওসিসের সমস্যা হতে পারে
এন্ডোমেট্রিওসিস কী?
এন্ডোমেট্রিওসিস মহিলাদের জরায়ু সংক্রান্ত একটি রোগ। জরায়ুর আস্তরণকে বলা হয় এন্ডোমেট্রিয়াম।পিরিয়ডের সময় প্রতি মাসে রক্তক্ষরণের আকারে এন্ডোমেট্রিয়াম নিজেই মহিলাদের শরীর থেকে বেরিয়ে আসে।কিন্তু যখন এই এন্ডোমেট্রিয়ামটি ডিম্বাশয়,অন্ত্র এবং শ্রোণী গহ্বরের মতো এমন জায়গায় বৃদ্ধি পায়,তখন এখান থেকে রক্তপাতের কারণটি ভিতরে থাকে যা টিউবেই জমা হয়,যা জরায়ু সংক্রান্ত সমস্যা তৈরি করতে পারে এবং গর্ভাবস্থায় মহিলাদেরও সমস্যা হতে পারে।
এন্ডোমেট্রিওসিসের সাধারণ লক্ষণ -
এন্ডোমেট্রিওসিসের সাধারণ উপসর্গ সম্পর্কে বললে,এর মধ্যে রয়েছে শ্রোণী ব্যথা,যা সাধারণত কোমরের কাছে নাভির নিচে হয়।এছাড়া পিরিয়ড বা ডিম্বস্ফোটনের সময় অসহ্য ব্যথা,যৌন মিলনের সময়ও হালকা বা তীব্র ব্যথা, প্রস্রাব করতে অসুবিধা, পিরিয়ডের সময় ভারী রক্তপাত অন্তর্ভুক্ত।শুধু তাই নয়, এন্ডোমেট্রিওসিসে আক্রান্ত মহিলারাও ক্রমাগত ক্লান্ত ও দুর্বল বোধ করেন।
এন্ডোমেট্রিওসিসের সম্ভাব্য চিকিৎসা -
এন্ডোমেট্রিওসিস কীভাবে চিকিৎসা করা যায় তার জন্য ডাক্তার দ্বারা নির্ধারিত ওষুধ গ্রহণ করা যেতে পারে।হরমোনাল থেরাপি খুবই কার্যকর।এছাড়া এন্ডোমেট্রিওসিসের অবস্থা বেড়ে গেলে ল্যাপারোস্কোপি সার্জারির মাধ্যমেও নিরাময় করা যায়।এছাড়াও মহিলাদের একটি স্বাস্থ্যকর জীবনযাপন করা উচিৎ,যাতে সুষম খাদ্য,ব্যায়াম,চাপমুক্ত জীবনধারা গ্রহণ করা উচিৎ,যাতে তারা এন্ডোমেট্রিওসিস থেকে নিজেদের রক্ষা করতে পারে।
৪৯% মহিলা এন্ডোমেট্রিওসিসে ভোগেন -
ভিডিওর ক্যাপশনে অভিনেত্রী লিখেছেন,'আপনি কি জানেন প্রায় ৪০ শতাংশ মহিলা এন্ডোমেট্রিওসিসে আক্রান্ত? আমাদের মধ্যে বেশিরভাগ মহিলাই এই রোগ সম্পর্কে জানেন না।'যার কাছে চিকিৎসা করিয়েছেন শমিতা সেই ডাক্তারকে ধন্যবাদ জানিয়েছেন।
No comments:
Post a Comment