বুথে যেতে বাধা! বিক্ষোভের মুখে হিরণ-অগ্নিমিত্রা
নিজস্ব প্রতিবেদন, ২৫ মে, কলকাতা : লোকসভা নির্বাচনের ষষ্ঠ দফায় শনিবার ৮টি আসনে ভোট হচ্ছে। আজ কাঁথি, ঘাটাল, ঝাড়গ্রাম, মেদিনীপুর, পুরুলিয়া, বাঁকুড়া ও বিষ্ণুপুর সংসদীয় আসনে ভোট হচ্ছে। এদিকে ঘাটালের বিজেপি প্রার্থী হিরণ চট্টোপাধ্যায়কে কেশপুরে বুথে যেতে বাধা দেন তৃণমূল কংগ্রেস সমর্থকরা। তৃণমূল সমর্থকরা রাস্তায় শুয়ে পড়ে এবং কেন্দ্রীয় বাহিনী তাকে ঘিরে ফেলায় বিজেপি প্রার্থীর গাড়ি চলতে বাধা দেয়। তৃণমূল সমর্থকরা ঘিরে ফেলেন তাঁর কনভয়। ১০০ দিনের বকেয়া চাকরির দাবীতে বিক্ষোভরত তৃণমূল সমর্থকরা।
এই ঘটনার খবর পেয়ে সিএপিএফ আধিকারিকরা রাজ্য পুলিশের সহায়তায় বাহিনী নিয়ে সেখানে পৌঁছান। তৃণমূল সমর্থকরা জানিয়েছেন, তাঁরা তাঁকে ভোটকেন্দ্রে যেতে দেবেন না। আন্দোলনকারীরা খড়ের গাদায় আগুন দেওয়ার পর হরিণের কাফেলাকে পিছু হটতে হয়। হিরণের অভিযোগ, কেশপুর দ্বিতীয় পাকিস্তানে পরিণত হয়েছে। সেখানে কোনও রাজ্য পুলিশের কর্মী নেই বলে অভিযোগ করেন তিনি। তিনি বলেন যে রাজ্য পুলিশ বিশৃঙ্খল পরিস্থিতিতে শাসক দলকে সহায়তা করছে কারণ রাস্তায় অবরোধ অপসারণ করতে কোনও পুলিশ সদস্যকে দেখা যায়নি।
হিরণ চট্টোপাধ্যায় এবং রাজ্য পুলিশ কর্মীদের মধ্যে একটি উত্তপ্ত তর্কও হয়েছিল। অন্যদিকে তৃণমূল সমর্থকদের অভিযোগ, বিজেপি প্রার্থীরা ঝামেলা তৈরি করছে। হিরণ চট্টোপাধ্যায় অভিযোগ করেন, তৃণমূল সমর্থকরা ভোটারদের ভোটকেন্দ্রে যেতে বাধা দিচ্ছে। বিজেপি সমর্থকরা তৃণমূল সমর্থকদের ওপর হামলা চালায় বলে অভিযোগ তৃণমূলের। তৃণমূল ট্যুইটারে বলেছে, 'মুখ্যমন্ত্রী বারবার বলেছেন বিজেপি কীভাবে ইভিএমে কারচুপি করে ভোট কারচুপির চেষ্টা করছে। আজ বাঁকুড়ার রঘুনাথপুরে ৫টি ইভিএমে বিজেপির ট্যাগ পাওয়া গেছে। নির্বাচন কমিশনের উচিৎ অবিলম্বে বিষয়টি খতিয়ে দেখে সংশোধনমূলক ব্যবস্থা নেওয়া।'
এদিকে মেদিনীপুরে বিজেপি প্রার্থী অগ্নিমিত্রা পালকে ভোটকেন্দ্রে যেতে বাধা দিয়েছে পুলিশ। তিনি অভিযোগ করেন যে পুলিশ তৃণমূল সমর্থকদের নির্দেশে কাজ করছে। তিনি অভিযোগ করেছেন যে একাধিক আবেদন সত্ত্বেও কেন্দ্রীয় বাহিনীও সঠিকভাবে কাজ করছে না। তিনি রাজ্য পুলিশকে ভোটের দিন বুথ থেকে পোলিং এজেন্টদের তাড়িয়ে দেওয়ার জন্য দলের বেশ কয়েকজন পোলিং এজেন্টকে গ্রেপ্তার করার এবং ক্ষমতাসীন দলের বিরুদ্ধে অভিযোগ করেছেন। তিনি বলেন, 'তৃণমূল আমাদের পোলিং এজেন্টকে সরিয়ে দিয়েছে। তৃণমূলের লোকজন তাকে অপহরণ করে নিয়ে যায়। এ বিষয়ে খবর পেয়ে আমি সেখানে পৌঁছাই। দেখলাম সে এখানে কাঁদছে। ওকে ভিতরে নিয়ে গিয়ে বসিয়ে দিলাম।'
No comments:
Post a Comment