কুণালের অপসারণে সরব বিজেপি! পাশে পেলেন কাদের?
নিজস্ব প্রতিবেদন, ০১ মে, কলকাতা : লোকসভা নির্বাচনকে কেন্দ্র করে বাংলার রাজনীতি যখন তুঙ্গে, তখন ফের আলোচনায় এলেন কুণাল ঘোষ। কুণাল জানান, বুধবার বিকেলে তৃণমূল হঠাৎ করেই তাকে রাজ্য সাধারণ সম্পাদকের পদ থেকে সরিয়ে দেয় এবং তিনিও দলের সিদ্ধান্তে অবাক হয়েছেন। রাজ্যের বিরোধী নেতারাও কুণালকে সরানোর জন্য মোর্চা খুলেছেন।
বুধবার সকালে কুণালকে একই মঞ্চে দেখা গিয়েছিল তৃণমূল ছেড়ে আসা তাপস রায়ের সঙ্গে। সেখানেও তার মুখ থেকে তাপসের প্রশংসা শুনতে পাওয়া যায়। এর পর কুণালকে দলের পদ থেকে সরানোর প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে বলে শোনা যাচ্ছে। পুরো ঘটনার কথা খুলে বললেন তাপস। শিষ্টাচার বোধ নিয়ে প্রশ্ন তোলার পাশাপাশি সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায়কেও কড়া আক্রমণ করেন তিনি। তাপসের কথায়, "এটা তাদের অভ্যন্তরীণ ব্যাপার। কিন্তু এর মানে কি তৃণমূল স্তরে সভ্যতা বা গণতন্ত্রের কোনও জায়গা নেই? এর পরে, তারা কি বিয়ে, সামাজিক জমায়েতে যাওয়ার আগে তালিকাটিও পরীক্ষা করে দেখবে? যখন ছেলেটি ( কুণাল) দুই মাস জেলে ছিল, সেই সময়ে সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায় প্রতিদিন বসে হাসতেন, উত্তর কলকাতায় দলের কী অবস্থা হবে তা তিনি নিশ্চয়ই ভুলতেন না।"
বিজেপি সাংসদ দিলীপ ঘোষ বলেন, "দেব কেন মিঠুনের সঙ্গে কথা বলে, কেন তাঁর প্রশংসা করলেন, সেদিন কুণালবাবু প্রশ্ন করছিলেন। আজ আমিও তার ওপর রেগে গিয়েছিলাম! প্রতিদিন কেউ না কেউ দল বদলান।
তার সঙ্গে বসে কেউ গল্প করলে তাড়িয়ে দেবেন? তৃণমূলের মতো দলকে নিষিদ্ধ করা উচিৎ। নইলে এই অমানবিকতা বন্ধ হবে না।"
বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি সুকান্ত মজুমদারের কথায়, "তৃণমূল কতটা রাজনৈতিকভাবে অসহিষ্ণু তার সবচেয়ে বড় উদাহরণ এই ঘটনা। একটি অরাজনৈতিক অনুষ্ঠানে দুই দলের লোকজনই উপস্থিত ছিলেন। সেখানে যদি কারও প্রশংসা করা হয়, তাহলে দেবাও চলে যান। আমার এলাকায় ও আমার প্রশংসা হয়। এটা রাজনৈতিক অসহিষ্ণুতার চরম লক্ষণ।"
No comments:
Post a Comment