‘পুলিশের সঙ্গে কথা বলবেন না’, রাজভবনের কর্মীদের কড়া নির্দেশ রাজ্যপালের
নিজস্ব প্রতিবেদন, ০৬ মে, কলকাতা : রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোসের বিরুদ্ধে রাজভবনের এক অস্থায়ী মহিলা কর্মচারী শ্লীলতাহানির অভিযোগ এনেছেন। এই বিষয়ে সিট গঠন করেছে কলকাতা পুলিশ। এরই মধ্যে রাজ্যপাল একটি নির্দেশ দিয়েছেন, যার জেরে রাজনীতি তুঙ্গে উঠেছে। রাজ্যসভার প্রাক্তন তৃণমূল সাংসদ ড. শান্তনু সেন রাষ্ট্রপতির কাছে আবেদন করেছেন যে মহিলা অভিযোগ করেছেন তাকে সাহায্য করার জন্য।
এই বিষয়ে রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস রাজভবনের কর্মীদের নির্দেশ দিয়েছেন কলকাতা পুলিশের সিট তদন্ত নিয়ে কোনও পুলিশ কর্মীদের সঙ্গে কথা না বলতে। এসবি, আইবি বা কলকাতা পুলিশকে রাজভবনে ঢুকতে দেওয়া উচিৎ নয়।
রাজ্যপালের এই নির্দেশের পর রাজ্যসভার প্রাক্তন তৃণমূল সাংসদ ডঃ শান্তনু সেন বলেছেন যে রাজ্যপাল এবং রাষ্ট্রপতির কিছু সাংবিধানিক অধিকার রয়েছে। কিন্তু, সেটা চেয়ারের জন্য, ব্যক্তির জন্য নয়। তিনি যখন অফিসে থাকবেন না তখনই ব্যবস্থা নেওয়া হবে। একজন নারী হওয়ায় ভারতের রাষ্ট্রপতির উচিৎ একজন নারীকে ন্যায়বিচার পেতে সাহায্য করা।
ভিকটিম তার অভিযোগে বলেছেন, তাকে দুবার শ্লীলতাহানি করা হয়েছে। কিন্তু, রাজ্যপালের বিরুদ্ধে তাৎক্ষণিক কোনও ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে না। প্রকৃতপক্ষে, রাজ্যপালের পদে সাংবিধানিক অনাক্রম্যতা রয়েছে, যার কারণে বোসকে অফিসে থাকাকালীন ফৌজদারি অভিযোগের মুখোমুখি হতে হবে না। এই ক্ষমতা সংবিধানের ৩৬১ অনুচ্ছেদে উল্লেখ করা হয়েছে।
অনুচ্ছেদ ৩৬১(২) বলে, রাষ্ট্রপতি বা রাজ্যপালের কার্যকালের সময় তার বিরুদ্ধে কোনও আদালতে কোনও ফৌজদারি কার্যধারা চালু বা অব্যাহত রাখা যাবে না। রাষ্ট্রপতি বা কোনও রাজ্যের রাজ্যপালকে গ্রেপ্তার বা কারাদণ্ডের জন্য কোনও প্রক্রিয়া তাঁর মেয়াদে কোনও আদালত জারি করবে না। এ কারণেই রাজ্যপাল বোসের মামলায় তদন্ত শুরু হলেও কোনও মামলা হয়নি।
No comments:
Post a Comment