"আমি রেমাল নিয়ে উদ্বিগ্ন", উত্তর-পূর্ব রাজ্যগুলিকে সাহায্যের আশ্বাস অমিত শাহের
প্রেসকার্ড নিউজ ন্যাশনাল ডেস্ক, ৩১ মে : রেমাল ঝড় উত্তর-পূর্ব রাজ্যগুলিতে ব্যাপক ধ্বংসযজ্ঞ চালিয়েছে। এসব রাজ্যে রেমাল হাজার হাজার মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এই প্রাকৃতিক দুর্যোগে মৃতের সংখ্যা বাড়ছে। পরিস্থিতির পরিপ্রেক্ষিতে গুরুতর উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। সোশ্যাল মিডিয়া এক্স-এ এ বিষয়ে একটি পোস্ট লিখেছেন তিনি। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী লিখেছেন- "আসাম, ত্রিপুরা, মণিপুর, মেঘালয় এবং মিজোরামে ঘূর্ণিঝড় রেমালের কারণে সৃষ্ট প্রাকৃতিক দুর্যোগ নিয়ে আমি খুবই উদ্বিগ্ন।" তিনি এখানকার পরিস্থিতি সম্পর্কে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে জানাতেও বলেছেন।
উত্তর-পূর্ব রাজ্যগুলিতে ঘূর্ণিঝড় রেমালের কারণে ক্রমবর্ধমান পরিস্থিতি সম্পর্কে অমিত শাহ বলেছেন যে তিনি এই রাজ্যগুলিতে ক্ষতিগ্রস্থদের সম্পর্কে তথ্য সংগ্রহ করছেন। তিনি ঝড় ক্ষতিগ্রস্ত রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীদের সঙ্গেও কথা বলেছেন এবং সম্ভাব্য সব ধরনের সাহায্যের আশ্বাস দিয়েছেন। অমিত শাহ বলেছেন, "যারা তাদের প্রিয়জনকে হারিয়েছেন তাদের প্রতি আমাদের সমবেদনা। আমরা আহতদের দ্রুত আরোগ্য কামনা করছি।"
তথ্য অনুযায়ী, আসামে রেমাল ঝড়ে ২ লাখের বেশি মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। রাজ্যের ৯টি জেলায় বন্যা পরিস্থিতি বিরাজ করছে। আসাম ছাড়াও মণিপুর, মেঘালয় এবং মিজোরামেও পরিস্থিতি খারাপ। ২৮ মে থেকে আসামে বন্যা ও বৃষ্টি পরিস্থিতির অবনতি হয়েছে। রাজ্যে এখনও পর্যন্ত ৬ জনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে। ভারি বর্ষণের কারণে মণিপুরের ইম্ফল উপত্যকায় ৩ জনের মৃত্যু হয়েছে। ইম্ফলের একটা বড় অংশ জলে ভরে গেছে। এখানে ২৪ হাজারের বেশি বাড়ি ভেঙে ফেলেছে।
আসাম ও মণিপুরের অনেক নদীতে জলাবদ্ধতা রয়েছে। ব্রহ্মপুত্র ও বরাক নদীর জল বিপদসীমার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। আসামের অনেক জেলায় বরাক নদীর জল ঢুকতে শুরু করেছে। এই রাজ্যগুলির মুখ্যমন্ত্রীদের সঙ্গে কথা বলে এখানকার পরিস্থিতি খতিয়ে দেখেছেন অমিত শাহ। সরকার বলেছে যে তারা পরিস্থিতির উপর নজর রাখছে।
ঘূর্ণিঝড় রেমালের কারণে যারা প্রাণ হারিয়েছে তাদের পরিবারকে মিজোরাম সরকার ৪ লাখ টাকা ক্ষতিপূরণ ঘোষণা করেছে। মেঘালয়ে রেমালে শত শত ঘরবাড়ি বিধ্বস্ত হয়েছে এবং অনেক জলাশয় তলিয়ে গেছে। ঘূর্ণিঝড় রেমাল উত্তর-পূর্ব রাজ্যগুলিতে রেল নেটওয়ার্কেরও ব্যাপক ক্ষতি করেছে। তবে আবহাওয়া দফতর বলছে, রেমাল ঝড়ের প্রভাব ধীরে ধীরে কমতে চলেছে।
No comments:
Post a Comment