'রেমাল' আতঙ্কে ঘুম উড়েছে সুন্দরবনবাসীর! ফুঁসছে সমুদ্র, পর্যটকদের হোটেল ছাড়ার নির্দেশ - press card news

Breaking

Post Top Ad

Post Top Ad

Sunday 26 May 2024

'রেমাল' আতঙ্কে ঘুম উড়েছে সুন্দরবনবাসীর! ফুঁসছে সমুদ্র, পর্যটকদের হোটেল ছাড়ার নির্দেশ


'রেমাল' আতঙ্কে ঘুম উড়েছে সুন্দরবনবাসীর! ফুঁসছে সমুদ্র, পর্যটকদের হোটেল ছাড়ার নির্দেশ 



দক্ষিণ ২৪ পরগনা: শক্তি বাড়িয়ে দ্রুত গতিতে ধেয়ে আসছে ঘূর্ণিঝড় রেমাল। আর মাত্র কয়েক ঘন্টা পরই আছড়ে পড়বে নয়া এই ঘূর্ণিঝড়। ফলত চিন্তায় ঘুম উড়েছে সুন্দরবনবাসীর। তাঁদের কথায়, 'আবার একটা ঝড়, আবার ক্ষয়ক্ষতি!'


এদিকে ঘূর্ণিঝড় মোকাবিলায় উপকূলবর্তী জেলাগুলিতে রেড অ্যালার্ট জারি করা হয়েছে প্রশাসনের তরফে। বিশেষত, দুই চব্বিশ পরগনার সমুদ্র উপকূলবর্তী বাংলাদেশ সীমান্ত লাগোয়া এলাকায়। হাওয়া অফিসের পূর্বাভাস অনুযায়ী, সাগরদ্বীপ ও বাংলাদেশের খেপুপাড়ার মাঝে সুন্দরবন এলাকায় স্থলভাগে আছড়ে পড়বে 'রেমাল'। অতীতে আমফান, আয়লা, বুলবুল-এর মত ঘূর্ণিঝড় চোখের সামনে দেখেছেন সুন্দরবনবাসী। প্রচুর ক্ষয়ক্ষতিও হয়েছে। বাড়ি ভেঙে পড়েছে , নদীর বাঁধ ভেঙে গ্রামের পর গ্রামে চাষের জমিতে ঢুকেছে নোনা জল। দিনের পর দিন গ্রাম ছেড়ে থাকতে হয়েছে বিধ্বস্ত এলাকার মানুষজনকে।


অভিযোগ, এখনও আগের ক্ষতিপূরণ পাননি অনেকে। তারই মাঝে আবারও একটি ঘূর্ণিঝড়। ফলে চিন্তায় ঘুম উড়েছে সুন্দরবনবাসীর। প্রশাসন অবশ্য জানিয়েছে, বিপর্যয় মোকাবিলায় সব ধরনের ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। 


বঙ্গোপসাগরে তৈরি হয়ে গিয়েছে ঘূর্ণিঝড় ‘রেমাল’। রাতে ধীরে ধীরে তা উপকূলের দিকে এগিয়েছে। তেমনই জানিয়েছে আলিপুর আবহাওয়া দফতর। রবিবার মধ্যরাতে বাংলাদেশ এবং বঙ্গের সংলগ্ন উপকূলে আছড়ে পড়তে চলেছে ‘রেমাল’। এর ফলে দক্ষিণবঙ্গের জেলাগুলিতে সোমবার এবং মঙ্গলবার লাল সতর্কতা জারি করেছে হাওয়া অফিস। 


রবিবার সকাল থেকে উত্তাল বঙ্গোপসাগর দক্ষিণ চব্বিশ পরগনার একাধিক উপকূল তীরবর্তী এলাকায় শুরু হয়েছে প্রবল জলোচ্ছ্বাস। প্রবল জলোচ্ছ্বাস ও প্রাকৃতিক দুর্যোগের কারণে কাকদ্বীপ থেকে কচুবেড়িয়া পর্যন্ত ভেসেল পরিষেবা বন্ধ রাখা হয়েছে। পাশাপাশি নামখানাতেও ফেরি চলাচল বন্ধ রাখা হয়েছে। ব্লক প্রশাসনের পক্ষ থেকে চলছে মাইকিং।

 

অপরদিকে দিঘা শঙ্করপুর হোটেলিয়ার্স অ্যাসোসিয়েশন ও নিউ দিঘা হোটেলিয়ার্স অ্যাসোসিয়েশন পক্ষ থেকে সমস্ত পর্যটকদের হোটেল ছাড়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।


দিঘা শঙ্করপুর হোটেলিয়ার্স অ্যাসোসিয়েশন সম্পাদক বিপ্রদাস চক্রবর্তী জানান, দিঘা শঙ্করপুর উন্নয়ন পর্ষদের পক্ষ থেকে তাদের কাছে নির্দেশ দেওয়া হয়, যেসব হোটেলে পর্যটকরা রয়েছে তাদের অতি শীঘ্রই হোটেল ছেড়ে দিঘা থেকে চলে যেতে হবে। ওল্ড দিঘা ও নিউ দিঘার হোটেল কর্তৃপক্ষ ইতিমধ্যেই পর্যটকদের প্রশাসনের এই নির্দেশের কথা জানিয়ে দিয়েছে।


প্রশাসনের তরফে জানানো হয়েছে, কোনও রকম ঝুঁকি তারা নেবেন না, তাই আগেভাগেই কড়া হাতে প্রশাসনিক পদক্ষেপ করা হয়েছে।

No comments:

Post a Comment

Post Top Ad