"আমি বলেছিলাম যে আমি শীঘ্রই আসব, এসেছি", তিহার ছাড়ার পর বললেন কেজরিওয়াল
প্রেসকার্ড নিউজ ন্যাশনাল ডেস্ক, ১০ মে : দিল্লীর মদ কেলেঙ্কারি মামলায় তিহার জেলে বন্দী দিল্লীর মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়াল সুপ্রিম কোর্ট থেকে বড়সড় স্বস্তি পেয়েছেন। ৪৯ দিন তিহার জেলে থাকার পর, সুপ্রিম কোর্ট শুক্রবার সন্ধ্যায় মুখ্যমন্ত্রী কেজরিওয়ালকে অন্তর্বর্তীকালীন জামিন দিয়েছে এবং এখন তিনি জেলের বাইরে রয়েছেন। বেরিয়ে আসতেই তিনি আপ সমর্থকদের উদ্দেশ্যে বলেন, "আমি বলেছিলাম শীঘ্রই আসব, এসেছি। মুখ্যমন্ত্রীকে স্বাগত জানাতে সেখানে হাজার হাজার কর্মী উপস্থিত ছিলেন।"
জেল থেকে বেরিয়ে আসার পর মুখ্যমন্ত্রী কেজরিওয়াল বলেন, "আপনাদের সবাইকে ধন্যবাদ এবং সুপ্রিম কোর্টকে ধন্যবাদ।" তিনি বলেন, "আদালতের কারণে আজ আমি আপনাদের মাঝে আছি।" মুখ্যমন্ত্রী বলেছেন যে তিনি আগামীকাল (শনিবার) সকাল ১১টায় কনট প্লেসের হনুমান মন্দিরে ঈশ্বরের আশীর্বাদ চাইবেন। এরপর দুপুর ১টায় দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনও করা হবে।
মুখ্যমন্ত্রী কেজরিওয়াল আরও বলেন, "প্রথমে আমি হনুমানজির চরণে পুজো করতে চাই। হনুমানজীর আশীর্বাদে আমি আপনাদের সকলের মাঝে আছি। দেশের কোটি কোটি মানুষ আমাকে আশীর্বাদ করেছেন। আমি সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতিদের ধন্যবাদ জানাতে চাই, যাদের কারণে আমি আজ আপনাদের মাঝে দাঁড়িয়ে আছি। সবাইকে ঐক্যবদ্ধভাবে স্বৈরাচারের হাত থেকে দেশকে বাঁচাতে হবে। আমি আমার শরীর, মন ও ধন নিয়ে লড়াই করছি এবং স্বৈরাচারের বিরুদ্ধে সংগ্রাম করছি।”
জেল থেকে বেরিয়ে অরবিন্দ কেজরিওয়ালকে স্বাগত জানান তার স্ত্রী সুনীতা কেজরিওয়াল। এদিকে, কেজরিওয়াল গাড়িতে বসেন, সেখানে উপস্থিত লোকজনকে হাত নেড়ে সোজা নিজের বাড়িতে চলে যান।
মুখ্যমন্ত্রী জেলের বাইরে উপস্থিত সমর্থকদের স্বৈরাচারের বিরুদ্ধে একসঙ্গে লড়াই করার অনুরোধ করেন। তিনি বলেন, "স্বৈরাচারের হাত থেকে দেশকে বাঁচাতে শরীর, মন, অর্থ দিয়ে লড়াই করছি। এটা আমার একার লড়াই নয়। এই লড়াইয়ে দেশের ১৪০ কোটি মানুষের সমর্থন প্রয়োজন।" এছাড়াও, মুখ্যমন্ত্রী আগামীকাল লোকদের কনট প্লেসের হনুমান মন্দিরে পৌঁছানোর অনুরোধ করেছেন।
জেল থেকে মুক্তি পাওয়ার পর আম আদমি পার্টির নেতারা দিল্লীর মুখ্যমন্ত্রীর বাসভবনে ভিড় জমাতে শুরু করেন। তিহার জেলের গেট থেকেই কেজরিওয়ালের সঙ্গে পাঞ্জাবের মুখ্যমন্ত্রী ভগবন্ত মান। এছাড়াও আপ সাংসদ সঞ্জয় সিংয়ের স্ত্রীও মুখ্যমন্ত্রীর বাসভবনে পৌঁছেছেন।
No comments:
Post a Comment