দেশী মুরগি পালনের কিছু টিপস - press card news

Breaking

Post Top Ad

Post Top Ad

Tuesday 14 May 2024

দেশী মুরগি পালনের কিছু টিপস

 


দেশী মুরগি পালনের কিছু টিপস



রিয়া ঘোষ, ১৪ মে : আসুন জেনে নিন দেশী মুরগি পালন এবং বাণিজ্যিক মুরগি পালনের লাভজনক পদ্ধতি ও কৌশল। তবে এসব দেশি মুরগির উৎপাদন দক্ষতা বিদেশি মুরগির তুলনায় কম।  তাদের উৎপাদন খরচও অনেক কম।  এদের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা অনেক বেশি।


  তাদের মাংস ও ডিমের দাম বিদেশি মুরগির চেয়ে দ্বিগুণ, তাই চাহিদা বেশি।  অপুষ্টির কারণে বাচ্চা মুরগির মৃত্যুর হার বেশি এবং উৎপাদন বেশি না।  তাই অল্প বয়সেই বাচ্চা মুরগির মৃত্যুর হার কমাতে পারলে এবং সম্পূরক খাদ্য সরবরাহ করতে পারলে দেশি মুরগি থেকে দ্বিগুণ ডিম ও মাংস উৎপাদন করা সম্ভব।


  

  দেশী মুরগি পালন আয় বৃদ্ধি এবং পারিবারিক পুষ্টি নিশ্চিত করতে উল্লেখযোগ্য অবদান রাখতে পারে।   বিভিন্ন পর্যায়ে সুনির্দিষ্ট লক্ষ্যমাত্রা ও ব্যবস্থা গ্রহণ করে দেশী মুরগির উৎপাদন দ্বিগুণ করা সম্ভব।  দেশি মুরগি থেকে লাভজনক উৎপাদন অর্জনের বিভিন্ন কৌশল নিচে বর্ণনা করা হলো:


  গবেষণায় দেখা গেছে, দেশি মুরগির ডিম উৎপাদন বাড়ানো এবং ৮-১২ সপ্তাহ বয়সে বাজারে বিক্রি করার চেয়ে বেশি লাভজনক।  আপনাকে একবারে ১০ থেকে ১২টি মুরগি পালন করতে হবে। তবে, ১৫ থেকে ১৬ এর বেশি গ্রহণ করা ভাল নয় কারণ এটি অনেক সমস্যার কারণ হতে পারে।



  প্রাথমিকভাবে মুরগিকে কৃমিনাশ করার পর কৃমিমুক্ত করতে হবে।  মুরগির উকুন থাকলে মেরে ফেলতে হবে।  প্রতিটি মুরগিকে প্রতিদিন ৫০ থেকে ৬০ গ্রাম হারে সুষম খাদ্য দিতে হবে।  আজকাল লেয়ার মুরগির জন্য সুষম খাদ্য বাজারে পাওয়া যায়।  এ ছাড়া আধা-বন্ধ পদ্ধতিতে রাখলে বেশি উপকার পাওয়া যায়।



৮ থেকে ১০টি মুরগির জন্য একটি মোরগ দিতে হবে, মুরগির সাথে একটি বড় মোরগও দিতে হবে, তা না হলে ডিম ফুটতে পারবে না।  ডিম পাড়ার সময় মুরগি বের হবে।  তারপর ডিম ফুটতে হবে।  একটি মুরগি একবারে ১৩ থেকে ১৫টি ডিম দিতে পারে।  খামারের ধরন বাঁশ, কাঠ, খাস, বিচি পাতা, তালপাতা ও নারকেল পাতার ব্যবস্থা করে যতটা সম্ভব কম ঘর তৈরি করতে হবে, তবেই লাভ বেশি হতে পারে।


  মুরগির ঘর তৈরির সময় খেয়াল রাখতে হবে যেন তা সঠিক আকারের হয় এবং পর্যাপ্ত আলো ও বাতাস চলাচলের ব্যবস্থা থাকে।  নির্মাণের পর বাড়িটিকে সবচেয়ে নির্জন স্থানে রাখতে হবে।  তারপর বাড়ির মেঝেতে ইট বিছিয়ে দিতে হবে।  তবেই বাড়িটি বেশি দিন টিকে থাকবে।


  হ্যাচিং ডিম সংগ্রহ ও সংরক্ষণ:-


  এটি আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ কাজ।  মুরগি পাড়ার পর ডিম সংগ্রহ করার সময় ডিমের গায়ে পেন্সিল দিয়ে তারিখ লিখে ঠান্ডা জায়গায় রাখুন।  ডিম পাড়ার সাথে সাথে মুরগিগুলো তা দেওয়ার জন্য প্রস্তুত হয়ে যাবে।  গ্রীষ্মকালে ৫ থেকে ৫ দিন এবং শীতকালে ১০ থেকে ১২ দিন পর ডিম ফোটার জন্য নির্বাচন করতে হবে।


No comments:

Post a Comment

Post Top Ad