গ্রীষ্মে কি কিডনি স্টোনের সমস্যা বৃদ্ধি পায়? - press card news

Breaking

Post Top Ad

Post Top Ad

Monday 6 May 2024

গ্রীষ্মে কি কিডনি স্টোনের সমস্যা বৃদ্ধি পায়?


গ্রীষ্মে কি কিডনি স্টোনের সমস্যা বৃদ্ধি পায়?

প্রেসকার্ড নিউজ,লাইফস্টাইল ডেস্ক,৬ মে: এটা বিশ্বাস করা হয় যে গ্রীষ্মকাল কিডনির পাথর রোগীদের জন্য চ্যালেঞ্জিং।এই মরসুমে কিডনিতে পাথরের ব্যথা শুরু হতে পারে।শুধু তাই নয়,যাদের পাথর নেই তারাও গ্রীষ্মে হাইড্রেটেড না থাকলে এই সমস্যায় পড়তে পারেন।

আমাদের শরীরের দ্রবীভূত খনিজগুলো যখন প্রস্রাবের মাধ্যমে বের হতে পারে না,তখন সেগুলো কিডনিতে জমতে শুরু করে।  এই কারণে কিডনিতে পাথর তৈরি হয়।কিডনিতে পাথরের সমস্যা আজকাল খুব সাধারণ হয়ে উঠেছে এবং সব বয়সের মানুষেরই কিডনিতে পাথর হতে দেখা যায়।

অনেক সময় কিডনির পাথর প্রস্রাবের মাধ্যমে নিজে থেকেই বেরিয়ে আসে,আবার কিছু কিছু ক্ষেত্রে অস্ত্রোপচারের মাধ্যমে অপসারণ করতে হয়।কিডনিতে পাথরের রোগীদের গ্রীষ্মে বিশেষ যত্ন নেওয়া উচিৎ।কারণ এই ঋতুতে পাথরের ব্যথা শুরু হতে পারে।এছাড়া গ্রীষ্মের মরসুমে কিডনিতে পাথর হওয়ার ঝুঁকি বেশি থাকে।আপনি ডাক্তারের কাছ থেকে জানতে পারবেন এটি কী কারণে হয় এবং কীভাবে এটি এড়ানো যায়।

দিল্লির মিনিমাল অ্যাকসেস স্মার্ট সার্জারি হাসপাতালের (MASSH) ইউরোলজি বিভাগের প্রধান ডাঃ অঙ্কিত গোয়েল বলেছেন যে গরমের সময় কিডনিতে পাথরের সমস্যা বেড়ে যায়।কারণ গরম আবহাওয়ায় আমাদের শরীর বেশি ঘামতে শুরু করে এবং জলের ঘাটতি হয়।ডিহাইড্রেশনের পরিস্থিতিতে কিডনিতে পাথরের ব্যথা শুরু হতে পারে।গ্রীষ্মকালে কিডনিতে পাথর হওয়ার ঝুঁকিও বেশি থাকে,কারণ এই মরসুমে পর্যাপ্ত জল পান না করার কারণে প্রস্রাব বেশি ঘনীভূত হয়।ফলে লবণ এবং খনিজগুলি স্ফটিক হয়ে যেতে শুরু করে,যা পাথরের রূপ নেয়।  বিশেষ করে যারা কম জল পান করেন তাদের গ্রীষ্মে কিডনিতে পাথর হওয়ার ঝুঁকি বেশি থাকে।

ডাঃ অঙ্কিত গোয়েল জানান যে গ্রীষ্মে কিডনিতে পাথর এড়াতে মানুষের প্রতিদিন ২.৫ থেকে ৩ লিটার জল পান করা উচিৎ।  লবণ খাওয়া কমাতে হবে এবং স্বাস্থ্যকর খাবার গ্রহণ করতে হবে।খাদ্যতালিকায় সুষম পরিমাণে ক্যালসিয়াম এবং অক্সালেট সমৃদ্ধ খাবার,যেমন- শুকনো ফল অন্তর্ভুক্ত করুন।  তবে এগুলোর অতিরিক্ত ব্যবহার ক্ষতিকর হতে পারে।আপনি যদি বাইরে কাজ করেন তবে ৩ থেকে ৪ লিটার জল পান করুন।এছাড়া নিয়মিত ব্যায়াম করুন।এটি আপনার সামগ্রিক স্বাস্থ্যকে উপকৃত করবে এবং কিডনিতে পাথর এড়াতেও সাহায্য করবে।আপনার যদি ইতিমধ্যেই কিডনিতে পাথরের সমস্যা থাকে,তবে সময়ে সময়ে ইউরোলজিস্টের কাছে যান এবং পরীক্ষা করুন।ডাক্তারের পরামর্শ মেনে চলুন এবং শরীরকে হাইড্রেটেড রাখুন।এতে আপনার সমস্যা নিয়ন্ত্রণে থাকবে।

No comments:

Post a Comment

Post Top Ad