যেই লাইব্রেরিতে ঢুকলে পা রাখা যায় দুই দেশে - press card news

Breaking

Post Top Ad

Post Top Ad

Tuesday 28 May 2024

যেই লাইব্রেরিতে ঢুকলে পা রাখা যায় দুই দেশে



যেই লাইব্রেরিতে ঢুকলে পা রাখা যায় দুই দেশে 


প্রেসকার্ড নিউজ বিনোদন ডেস্ক, ২৮ মে: পৃথিবীতে এমন একটা লাইব্রেরি আছে যেটা ঠিক দুটি দেশের মাঝে। আর মজার বিষয় হল লাইব্রেরীতে ঢুকলে আপনি দুটি দেশের মাঝে পা রাখতে পারবেন। আরে হ্যাঁ ঠিকই শুনেছেন হাসবেন লাইব্রেরী মানে একটা মজার বিষয় ।আর পাঁচটা লাইব্রেরির সঙ্গে এমনিতে কোনো তফাৎ নেই কানাডার হাসকেল লাইব্রেরির। ভিতরে প্রায় কুড়ি হাজার বইয়ের সম্ভার। এদিক-ওদিক ছড়িয়ে আছে কয়েকটা পড়ার টেবিল, সোফা। বই পড়ে কাটিয়ে দেওয়া যায় সারাটা দিন। ব্যতিক্রম বলতে শুধু চোখে পড়বে একটাই জিনিস। লাইব্রেরির মাঝখান দিয়ে তেরচাভাবে আঁকা আছে একটি দাগ। পরিচিত পাঠকরা খুব একটা মাথাব্যথা করে না এই নিয়ে। তবে বিদেশি পর্যটক এসে একটু অবাক হতেই পারে। পুরো ইতিহাস জেনে বড়োজোর একটা ছবি তুলে নিয়ে যায়। নয়তো আর সব কিছুই অত্যন্ত সাদামাটা হাসকেল লাইব্রেরির। 


কী সেই ইতিহাস? মাঝখানের এই দাগ আসলে আমেরিকা-কানাডার সীমান্ত। অর্থাৎ দুই দেশের মাঝখানে গড়ে উঠেছে এই লাইব্রেরি। স্বাভাবিকভাবেই প্রশ্ন ওঠে, সীমান্ত তৈরির দায়িত্বে থাকা মানুষদের উদ্দেশ্য নিয়ে। ঠিক কী ভেবে তাঁরা তৈরি করেছিল এরকম সীমান্তরেখা? যদিও আমেরিকার ভার্মন্ট ও কানাডার কিউবেকের মধ্যেকার সীমানা তৈরি হয় আঠারো শতকে। সে অর্থে কোনো কাঁটাতারের বেড়া ছিল না দু’দেশের মধ্যে। এদেশ থেকে ওদেশে যাতায়াত করা ছিল অত্যন্ত স্বাভাবিক ব্যাপার। এমনকি কানাডার লোকেরা চিকিৎসার জন্য আসত ভার্মন্টের হাসপাতালে। তবুও সীমান্ত মানেই বিভেদ। সেই দূরত্ব ঘোচানোর জন্যই ১৯০৫ সালে কানাডার হাসকেল পরিবার তৈরি করে গ্রন্থাগারটি। মূল উদ্যোক্তা মার্থা স্টুয়ার্ট হাসকেল ও তাঁর পুত্র হোরেস স্টুয়ার্ট হাসকেল। উদ্দেশ্য ছিল বই দিয়ে রুখে দেওয়া হবে রাষ্ট্রচিহ্নিত গণ্ডিকে।


ঠিক তখনই যেন সার্থক হয়ে ওঠে হাসকেল পরিবারের উদ্দেশ্য। একমাত্র লাইব্রেরি আর অপেরাটিই মাথা তুলে দাঁড়িয়ে থাকে সম্প্রীতির চিহ্ন হিসেবে। উভয় দেশের ঐতিহাসিক স্থান হিসেবে চিহ্নিত হওয়ায় কোনো কাঁটাতার বসানো যায়নি এর মধ্যে। আমেরিকার পুলিশ সর্বদা নজরে রাখলেও গতিবিধি নিয়ন্ত্রণের অধিকার নেই। ফলে বইয়ের সূত্রে দেখাসাক্ষাৎ হয় মানুষের মধ্যে। শিল্প-সাহিত্য নিয়ে জমে ওঠে আড্ডা। মাঝখানে একটা কালো সীমান্তরেখা শুয়ে থাকে হতভম্ব হয়ে। তার পক্ষে জানা সম্ভব নয় যে, বইয়ের কোনো দেশকাল হয় না। মানচিত্র দিয়ে আলাদা করা যায় না সাহিত্য-সংস্কৃতিকে।

No comments:

Post a Comment

Post Top Ad