বিস্কুট কবে কোথায় প্রথম খাওয়া হয়?
প্রেসকার্ড নিউজ বিনোদন ডেস্ক, ৩১ মে:
বিস্কুট খেতে কে না ভালোবাসেন। ছোটরারা তো বটেই,বড়রাওও সকালের জলখাবারে কিংবা বিকেলে চায়ের সঙ্গে বিস্কুট না হলে চলেই না। অনেক দেশেই বিস্কুটকে বলা হয় কুকিজ।সে যাই বলুন না কেন,কুকি,কুকিজ কিংবা বিস্কুট পছন্দের তালিকায় আছে সবারই।কত শত স্বাদের বিস্কুট পাওয়া যায় এখন।
তবে প্রথম কখন কোথায় বিস্কুট খাওয়া শুরু হয়েছিল জানেন কি? বিস্কুট মূলত ময়দা দিয়ে বিভিন্ন আকারে বেক করা হয়। সাধারণত-এগুলো চিনি,চকলেট,জাম,আদা বা দারুচিনির স্বাদ দিয়ে বানানো হয়। ল্যাটিন শব্দ বিস ও ককটাস থেকে বিস্কুট শব্দটির আগমন ঘটেছে। বিস শব্দের অর্থ দুইবার আর ককটাস শব্দের অর্থ রান্না করা বা বেকড।
এই শুকনো খাবারটি আসলে আবিষ্কার হয়েছিল সময়ের প্রয়োজনেই। প্রাচীনকালে এর উদ্ভব। তখন রোমন,গ্রিক ও মিশরীয় সাম্রাজ্যের বণিক এবং সামরিক কর্মীদের দীর্ঘ সময় সমুদ্রে থাকতে হয়। তাই তাদের এমন একটি জলখাবার প্রয়োজন ছিল,যা পুরো ভ্রমণে প্রয়োজনীয় ক্যালোরির জোগান দেবে।কারণ তাজা খাবার দ্রুত পচে যায় বলে-তাই তাজা খাবার দিয়ে তা সম্ভব ছিল না। তখন ময়দা দিয়ে কম আঁচে রান্না করা রুটি তাদের প্রধান খাবার হয়ে ওঠে। সেই রুটি থেকে ধীরে ধীরে বিস্কুটের উদ্ভাবন হয়। মধ্যযুগে সমুদ্রে বিস্কুট খুব জনপ্রিয় ছিল।
সপ্তম শতাব্দীর আগে বিস্কুটকে মিষ্টি খাবার হিসেবে খাওয়ার আধুনিক ধারণার প্রচলন হয়নি।পরে পারস্যরা বিস্কুট নিয়ে পরীক্ষা-নিরীক্ষা শুরু করে। তারা ময়দার সঙ্গে ডিম,মাখন ও ক্রিম অন্তর্ভুক্ত করতে শুরু করে। এরপর তারা এর সঙ্গে ফল ও মধুর মতো মিষ্টি জিনিস ব্যবহার করে প্রথম কুকিজ তৈরি করে।
দশম শতাব্দীর শেষ দিকে ইউরোপে বিস্কুটের আগমন হয়।প্রচলিত আছে,একজন আর্মেনীয় সন্ন্যাসী মধ্য এশিয়া থেকে ফ্রান্সে ভ্রমণ করেন। তিনি ককাসে যে রেসিপি শিখেছিলেন তা সবার মাঝে বিতরণ করেন।এভাবেই ইউরোপে বিস্কুটের পথচলা শুরু হয়।
এখন অনেক কোম্পানি নানা স্বাদের ও গন্ধের মিশেলে তৈরি করছে। যা রসনা মেটাচ্ছে বিস্কুটপ্রেমীদের। ২৯শে মে বিস্কুট দিবস। এটি যুক্তরাজ্যর জাতীয় দিবস। যারা বিস্কুট খেতে ভালোবাসেন এই দিনটি তাদের জন্য উদযাপনের দিন।
No comments:
Post a Comment