অড়হর ডাল খাওয়ার সুবিধা ও অসুবিধাগুলো জেনে নিন - press card news

Breaking

Post Top Ad

Post Top Ad

Thursday 2 May 2024

অড়হর ডাল খাওয়ার সুবিধা ও অসুবিধাগুলো জেনে নিন


অড়হর ডাল খাওয়ার সুবিধা ও অসুবিধাগুলো জেনে নিন

প্রেসকার্ড নিউজ,লাইফস্টাইল ডেস্ক,২ মে: ডাক্তাররা প্রায়ই পরামর্শ দেন যে সুস্থ থাকতে হলে প্রতিদিন স্বাস্থ্যকর খাবার খেতে হবে এবং স্বাস্থ্যকর খাবারের সংজ্ঞায় ডাল,ভাত, সবজি, রুটি অন্তর্ভুক্ত রয়েছে।যদিও আমাদের দেশে অনেক ধরনের ডাল তৈরি করা হয়,তবে বেশিরভাগ বাড়িতেই অড়হর ডাল অনেকেই ব্যবহার করেন যা হলুদ ডাল নামেও পরিচিত।এটি খেতে সুস্বাদু।কিন্তু এটি খাওয়ার উপকারিতা জানেন কি?

এই ডাল খেলে অনেক ধরনের সমস্যা ও পুষ্টির ঘাটতি সেরে যায়।অড়হর ডালে ফলিক অ্যাসিড,আয়রন,প্রোটিন, ক্যালসিয়াম,ম্যাগনেসিয়াম,ফসফরাস এবং পটাশিয়াম পাওয়া যায়।এর সাথে জিঙ্ক,কপার,সেলেনিয়াম এবং ম্যাঙ্গানিজের মতো উপাদানও এতে পাওয়া যায়,যার সাহায্যে শরীরের পরিপাকতন্ত্র ঠিক থাকে।এছাড়াও এতে প্রচুর পরিমাণে প্রোটিন পাওয়া যায়,যার সাহায্যে এটি ওজন কমাতেও সাহায্য করে।এই ডাল উচ্চ রক্তচাপ ও ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে।  অড়হর ডাল আপনি নানাভাবে খেতে পারেন,কিন্তু অড়হর ডাল থেকে অনেকেই ক্ষতিগ্রস্থ হন।তাই এই ধরনের লোকদের ডাক্তার বা ডায়েটিশিয়ানের পরামর্শ নিয়েই এই ডাল খাওয়া উচিৎ।

ওজন কমাতে সহায়ক -

অড়হর ডাল খাওয়া দ্রুত ওজন কমাতে সাহায্য করে।অড়হর ডাল প্রোটিন সমৃদ্ধ,যার সাহায্যে পেট অনেকক্ষণ ভরা থাকে এবং শরীরও প্রয়োজনীয় উপাদান পায়।এর সাহায্যে আপনি দ্রুত ওজন কমাতে পারেন।এছাড়া শরীরের কোষের বিকাশের জন্যও প্রোটিন খুবই গুরুত্বপূর্ণ।

রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণ করে -

অড়হর ডালে প্রচুর পরিমাণে পটাসিয়াম পাওয়া যায়,যার সাহায্যে উচ্চ রক্তচাপ কমানো যায়।আপনি যদি উচ্চ রক্তচাপে ভুগছেন তবে আপনার হৃদরোগের ঝুঁকিও থাকতে পারে,তাই আপনি রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণ করতে এই ডাল খেতে পারেন।

পাচনতন্ত্রকে শক্তিশালী করে তোলে -

এই ডালে প্রচুর পরিমাণে ফাইবার পাওয়া যায়,যার সাহায্যে খাবার সহজে হজম হয়।এছাড়া এটি খেলে গ্যাস ও বদহজমের অভিযোগও হয় না।এটি খাবারের সঠিক হজমের পাশাপাশি সারা দিন শরীরকে সক্রিয় রাখে ও এনার্জি সরবরাহ করে।

ডায়াবেটিস কমাতে সহায়ক -

অড়হর ডালে উপস্থিত পটাশিয়াম রক্তে শর্করা কমাতেও কার্যকর।এতে পাওয়া পটাশিয়াম ভাসোডিলেটর হিসেবে কাজ করে,যা রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখতে সাহায্য করে।  তবে ডায়াবেটিসের পাশাপাশি অন্য কোনও সমস্যা থাকলে চিকিৎসকের পরামর্শ নিয়েই এই ডাল খান।

গর্ভাবস্থায় সহায়ক -

গর্ভবতী মহিলারাও অড়হর ডাল খেতে পারেন।অড়হর ডালে ফলিক অ্যাসিড পাওয়া যায়,যা শিশুর বিকাশের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ।এমন পরিস্থিতিতে আপনি আপনার অবস্থা অনুযায়ী এবং ডাক্তারের পরামর্শে অড়হর ডাল খেতে পারেন।

অড়হর ডালে প্রচুর পরিমাণে প্রোটিন পাওয়া যায়।তাই নির্দিষ্ট কিছু রোগে এই ডাল খাওয়া উচিৎ নয়।

ইউরিক অ্যাসিড বেড়ে গেলে অড়হর ডাল খাওয়া উচিৎ নয়।

কিডনি সংক্রান্ত কোনও সমস্যা থাকলে অড়হর ডাল খাওয়া উচিৎ নয়।  

রাতে অড়হর ডাল খাওয়া এড়িয়ে চলুন।কারণ এটি রাতে সঠিকভাবে হজম হয় না।

যদি অড়হর ডাল খাওয়ার পরে কোনো ধরনের অ্যালার্জি অনুভব করেন,তাহলে তা আর খাবেন না।

এছাড়াও,কিছু অ্যামিনো অ্যাসিড এতে পাওয়া যায় না।তাই নিরামিষাশীদের অবশ্যই অড়হর ডালের সাথে রুটি বা ভাত খেতে হবে যাতে তারা প্রচুর পরিমাণে অ্যামিনো অ্যাসিড পেতে পারেন।

অড়হর ডালের ব্যবহার -

আপনি ডাল তৈরি করতে গোটা অড়হর ডাল ব্যবহার করতে পারেন।এই ডাল থেকে আপনি স্বাস্থ্য এবং ফিটনেস দুটোই পাবেন।

খোসা ছাড়া অড়হর ডাল থেকে তড়কা ডাল তৈরি করা যায়।এটি পরিপাকতন্ত্রকে শক্তিশালী করে।

অড়হর ডাল পিষে ঘি'তে ভেজে তারপর এতে চিনি দিয়ে সুস্বাদু পরোটা তৈরি করা যায়।

এছাড়াও অড়হর ডাল সেদ্ধ করে একটি রসালো সবজি তৈরি করা যেতে পারে।

চাল এবং সবজির সাথে মিশিয়ে সুস্বাদু খিচুড়িও তৈরি করা যায়।

বি.দ্র: এখানে দেওয়া তথ্য সাধারণ জ্ঞান ও ঘরোয়া প্রতিকার হিসেবে দেওয়া। প্রেসকার্ড নিউজ এটি নিশ্চিত করে না। কোনও নতুন কিছু শুরুর আগে সংশ্লিষ্ট বিশেষজ্ঞর পরামর্শ অবশ্যই নিন।

No comments:

Post a Comment

Post Top Ad