রাস্তার মাস্টার বিশ্বসেরা ১০ শিক্ষকের তালিকায়, গ্লোবাল অ্যাওয়ার্ড দেবে ইউনেস্কো - press card news

Breaking

Post Top Ad

Post Top Ad

Monday 27 May 2024

রাস্তার মাস্টার বিশ্বসেরা ১০ শিক্ষকের তালিকায়, গ্লোবাল অ্যাওয়ার্ড দেবে ইউনেস্কো




রাস্তার মাস্টার বিশ্বসেরা ১০ শিক্ষকের তালিকায়, গ্লোবাল অ্যাওয়ার্ড দেবে ইউনেস্কো


প্রেসকার্ড নিউজ বিনোদন ডেস্ক, ২৭মে: প্রথাগত শিক্ষা শুধু নয় আদিবাসী সমাজের শিশুদের জীবনের পাঠ দিচ্ছেন রোজ। বাংলার এই মাস্টারমশাইকেই বিশ্বের সেরা দশজন শিক্ষকের তালিকায় স্থান দিল ইউনেস্কো।



পাকা চার দেওয়ালের মধ্যে নয়, খোলা রাস্তাতেই রোজ বসে তাঁর স্কুল। পায়ের তলার মাটি ও খোলা আকাশের নীচেই খুদে শিক্ষার্থীর পড়া মুখস্থ করার আওয়াজে মুখরিত হয়ে ওঠে চারপাশ। প্রথাগত শিক্ষা শুধু নয় আদিবাসী সমাজের শিশুদের জীবনের পাঠ দিচ্ছেন রোজ। বাংলার এই মাস্টারমশাইকেই বিশ্বের সেরা দশজন শিক্ষকের তালিকায় স্থান দিল ইউনেস্কো। একমাত্র ভারতীয় হিসেবে তিনি ইউনেস্কোর গ্লোবাল টিচার অ্যাওয়ার্ড পেতে চলেছেন।


তিনি দীপনারায়ণ নায়েক। স্থানীয় ছেলেপুলে আর তাদের বাবামায়েদের কাছে যিনি পরিচিত রাস্তার মাস্টার নামে। গত ৮ নভেম্বর প্যারিসে ইউনেস্কোর জেনারেল অ্যাসেম্বলিতে ঘোষিত হয় বিশ্বের সেরা শিক্ষকের নাম। সেখানে দশজনের তালিকায় মনোনীত হয়েছেন শিক্ষক দীপনারায়ণ নায়েক।


রাস্তাতেই তাঁর স্কুল, তাই তিনি রাস্তার মাস্টারমশাই জামুড়িয়ার আদিবাসী অধ্যুষিত তিলকামাঝি গ্রামের আদিবাসী ছেলেমেয়েদের নিয়ে রোজ বসে তাঁর রাস্তার স্কুল। বাড়ির নিকোনো দেওয়ালে রঙ করিয়ে সেখানেই তৈরি হয়েছে ব্ল্যাকবোর্ড। রাস্তায় আসন পেতে বসেই অক্ষর চিনছে পড়ুয়ারা। দেওয়ালে দেওয়ালে লেখা বর্ণমালা। বাড়ির বাইরে পা রাখলে শুধু খেলাধূলা নয়, পড়াশোনাও আকর্ষণ করছে তাদের। গোটা গ্রামই যেন এক পাঠশালা। 


নিজের শৈশব কেটেছে চরম অর্থকষ্টে। বাবা ওষুধের দোকানের কম বেতনের কর্মী ছিলেন। বইপত্র কিনে দেওয়ার সামর্থ্য ছিল না পরিবারের। তাই কষ্ট করে পড়াশোনা করেছেন। তাই গ্রামের হতদরিদ্র বাচ্চাগুলোর পড়াশোনা চালিয়ে যেতে চান তিনি।


 শিক্ষকতার পাশাপাশি রাস্তাতেও আদিবাসী গ্রামের বাচ্চাদের পড়ান তিনি। বড় স্কুলে পড়াশোনা করার সামর্থ নেই যে শিশুদের, তাদের জন্য স্কুলকে পথেই নিয়ে এসেছেন মাস্টারমশাই। মাস্টার দীপনারায়ণ বলেছেন, গোড়ায় একজন, দুজন ছেলেমেয়ে নিয়ে শুরু হয়েছিল পথচলা। এরপর ধীরে ধীরে ৭ জন, ১১ জন করে বাড়তে বাড়তে এখন স্কুলে পড়ুয়ার সংখ্যা শতাধিক। নতুন ছাত্রছাত্রীরা আসছে। তাদের পড়াশোনা করতে খুবই উৎসাহী।

No comments:

Post a Comment

Post Top Ad