রাজকোটে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ড! গেমিং জোনে ঝলসে মৃত্যু ২০ জনের, বাড়তে পারে মৃতের সংখ্যা

রাজকোটে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ড! গেমিং জোনে ঝলসে মৃত্যু ২০ জনের, বাড়তে পারে মৃতের সংখ্যা 

প্রেসকার্ড নিউজ ন্যাশনাল ডেস্ক, ২৫ মে: গুজরাটের রাজকোটে একটি গেমিং জোনে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ড। এতে ২০ জনের ঝলসে মৃত্যু হয়েছে বলে জানা গিয়েছে। এর পাশাপাশি আহত হয়েছেন একাধিক জন। শনিবার (২৫ মে) দুপুরে এই ঘটনাটি ঘটেছে এবং রাজকোট পুলিশ কমিশনার বলেছেন যে, আগুনের কারণ কী তা আমরা তদন্ত করছি। সেই সঙ্গে তিনি বলেন, শহরের সব গেমিং জোন বন্ধের বার্তা দেওয়া হয়েছে। মৃতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। মৃতদের মধ্যে শিশুও রয়েছে। ঘটনাস্থলে ফায়ার ব্রিগেডের বেশ কয়েকটি গাড়ি পাঠানো হয়েছে এবং আগুন নেভানোর চেষ্টা অব্যাহত রয়েছে। এ ব্যাপারে পুলিশ বলছে, আগুন নেভানো হলেই পরিস্থিতি পরিষ্কার হবে। ঘটনার পর মুখ্যমন্ত্রী ভূপেন্দ্র প্যাটেলও প্রশাসনকে উদ্ধার ও ত্রাণ কাজ চালিয়ে আহতদের চিকিৎসার ব্যবস্থা করার নির্দেশ দিয়েছেন।

দেহগুলো এতটাই পুড়ে গেছে যে শনাক্ত করা কঠিন হয়ে পড়েছে। সংবাদ সংস্থা আইএএনএস জানিয়েছে, গেম জোনের মালিককে গ্রেফতার করা হয়েছে। গেম জোনের মালিকদের নাম প্রকাশ করা হয়েছে। যুবরাজ সিং সোলাঙ্কি, মনবিজয় সিং সোলাঙ্কি গেম জোনের মালিক, প্রকাশ জৈন এবং রাহুল রাঠোর গেম জোনের ম্যানেজার।

এই দুর্ঘটনায় ১০ জনেরও বেশি মানুষকে বাঁচানো হয়েছে। গেম জোনে এখনও মানুষ আটকে থাকার সম্ভাবনা রয়েছে। আগুনে পুরো গেম জোন পুড়ে গেছে। উপস্থিত ছিলেন পুলিশ কমিশনার রাজীব ভার্গব ও কালেক্টর আনন্দ প্যাটেল। মৃতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।

ঘটনাটি ঘটেছে কালাবাদ রোডের টিআরপি গেমিং জোনে। আগুন লাগার পর ধোঁয়ার কুণ্ডলী ৫ কিলোমিটার দূর পর্যন্ত দৃশ্যমান হয়। আগুন লাগার খবর পেয়ে ফায়ার সার্ভিসের দল ঘটনাস্থলে পৌঁছে আগুন নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা করে। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছায় পুলিশ। 

 

কী বললেন মুখ্যমন্ত্রী ভূপেন্দ্র প্যাটেল?

গুজরাটের মুখ্যমন্ত্রী ভূপেন্দ্র প্যাটেল 'এক্স'-এ বলেছেন, "রাজকোটের গেম জোনে আগুন লাগার ঘটনায়, মিউনিসিপ্যাল কর্পোরেশন এবং প্রশাসনকে অবিলম্বে উদ্ধার ও ত্রাণ কাজের জন্য নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। আহতদের চিকিৎসা ব্যবস্থাকে অগ্ৰাধিকার দেওয়ার নির্দেশও দেওয়া হয়েছে।"

 কী বললেন ফায়ার স্টেশন অফিসার?

ফায়ার স্টেশনের আধিকারিক আর এ জোবান বলেন, "আমরা সঠিক সংখ্যা সম্পর্কে কিছু বলতে পারছি না। আমরা দুই দিক থেকে দেহ নামিয়ে আনছি। তল্লাশি অভিযান চলছে।"