অস্থির মন, প্রচুর ঘাম! প্যানিক ডিজঅর্ডার নয় তো?
প্রেসকার্ড নিউজ লাইফস্টাইল ডেস্ক, ০২ মে: আজকাল কাজের চাপ, খারাপ জীবনযাত্রার কারণে মানসিক স্বাস্থ্য নানাভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। প্যানিক ডিসঅর্ডার বা প্যানিক অ্যাটাকও এক ধরনের মানসিক স্বাস্থ্য সমস্যা। এতে একজন ব্যক্তি ভিন্নভাবে চিন্তা করতে থাকেন। তিনি অনেক ভয় এবং অস্থিরতা অনুভব করেন। প্যানিক অ্যাটাকের কারণে হার্টবিট বেড়ে যায়, শরীরে অতিরিক্ত ঘাম হয় এবং কাঁপুনি দেখা দেয়। শুধু তাই নয়, প্যানিক ডিজঅর্ডারে শ্বাস নিতেও অসুবিধা হয়। এমন পরিস্থিতিতে আসুন জেনে নেওয়া যাক এই সমস্যাটি কতটা বিপজ্জনক হতে পারে, এর লক্ষণগুলি কী কী এবং কীভাবে এর চিকিৎসা করা যেতে পারে-
প্যানিক ডিসঅর্ডারের কারণগুলি কী কী
স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞদের মতে, যাদের সন্দেহ, রাগ এবং কথায় কথায় নার্ভাসনেসের মতো অবস্থা রয়েছে তারা প্রায়ই মানসিক স্বাস্থ্য সমস্যা প্যানিক ডিসঅর্ডারের ঝুঁকিতে থাকেন। এছাড়াও যারা খুব বেশি ক্যাফেইন এবং অ্যালকোহল পান করেন তাদেরও এই সমস্যা হয়। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, রক্তে শর্করার মাত্রা কম থাকায় প্যানিক ডিজঅর্ডার হওয়ার আশঙ্কা থাকে। কিছু লোকের মধ্যে, থাইরয়েড গ্রন্থির অতিরিক্ত সক্রিয়তা এবং হার্টের সমস্যার কারণেও প্যানিক ডিসঅর্ডার দেখা যায়।
প্যানিক ডিসঅর্ডারের লক্ষণগুলি কী কী?
১. প্যানিক ডিসঅর্ডারের ক্ষেত্রে অতিরিক্ত ঘাম হয়।
২. শ্বাসরোধ অনুভূত হয় এবং শরীরে কাঁপুনি শুরু হয়।
৩. শ্বাসকষ্ট শুরু হয়।
৪. বুকে ও পেটে প্রচণ্ড ব্যথা ও অস্থিরতা অনুভূত হয়।
৫. হঠাৎ মাথা ঘোরা এবং অজ্ঞান হয়ে যাওয়া।
৬. নিজের ওপর নিয়ন্ত্রণের অভাব, অদ্ভুত চিন্তাভাবনা।
৭. সব সময় মরার ভয়ে থাকা।
কীভাবে প্যানিক ডিসঅর্ডার এড়ানো যায় এবং এর চিকিত্সা
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, প্যানিক ডিসঅর্ডার বা প্যানিক অ্যাটাক এড়াতে প্রতিদিন ব্যায়াম ও মেডিটেশন করা বাধ্যতামূলক। এটি মানসিক এবং শারীরিক স্বাস্থ্যের উন্নতি করে। একটি স্বাস্থ্যকর ডায়েট অনুসরণ করুন এবং চা, কফি বা অ্যালকোহল থেকে দূরে থাকুন। প্রতিদিন ভালো ঘুমান এবং গভীর রাত পর্যন্ত জেগে থাকা এড়িয়ে চলুন। আপনি যদি নার্ভাস বোধ করেন তবে ধীরে ধীরে শ্বাস নিন, আপনার মন থেকে নেতিবাচক চিন্তাগুলি দূর করুন। যদি আপনি স্বস্তি না পান এবং সমস্যা আরও তীব্র হয় তবে অবিলম্বে একজন মনোরোগ বিশেষজ্ঞের কাছে যান।
No comments:
Post a Comment