বেলের রস পানের পার্শ্বপ্রতিক্রিয়াগুলো জেনে নিন
প্রেসকার্ড নিউজ,লাইফস্টাইল ডেস্ক,২ মে: গ্রীষ্মকালে লোকেরা তাদের খাদ্যতালিকায় এমন কিছু অন্তর্ভুক্ত করতে পছন্দ করে যা শরীরকে হিটস্ট্রোক এবং তাপ থেকে রক্ষা করে এবং শরীরকে ঠান্ডা রাখে।বেলের শরবতও এই ধরনের জিনিসের অন্তর্ভুক্ত।বেলে বিদ্যমান পুষ্টির কথা যদি বলি তাহলে ট্যানিন,ক্যালসিয়াম,ফসফরাস,রিবোফ্লাভিন, ভিটামিন সি,ফাইবার,প্রোটিন,আয়রন ইত্যাদি খনিজ উপাদান এতে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে।যা স্বাস্থ্যের জন্য আশীর্বাদের চেয়ে কম নয়।গ্রীষ্মে স্বাস্থ্যের জন্য এত উপকারী হওয়া সত্ত্বেও,কিছু লোকের বেলের রস পান করা এড়িয়ে চলা উচিৎ।বেলের রস পান করলে তাদের স্বাস্থ্যের উপকারের পরিবর্তে ক্ষতি হতে পারে।জানা যাক কিভাবে।
ডায়াবেটিস থাকলে -
শুধু কৃত্রিম চিনি নয়,প্রাকৃতিক চিনিও ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য ক্ষতিকর।বেলের রসের অত্যধিক ব্যবহার ডায়াবেটিস রোগীদের অসুবিধা বাড়াতে পারে।বাজারে পাওয়া বেলের জুস তৈরিতে প্রচুর পরিমাণে চিনি ব্যবহার করা হয়,যা ডায়াবেটিস রোগীদের সুগার লেভেল বাড়িয়ে দিতে পারে।
থাইরয়েড থাকলে -
চিকিৎসা ক্ষেত্রে পরিচালিত অনেক গবেষণায় দেখা যায় যে বেলে পাওয়া যৌগ থাইরয়েড ওষুধের প্রভাব কমিয়ে দেয়।তাই যারা থাইরয়েডের ওষুধ খাচ্ছেন তাদের বেলের জুস এড়িয়ে চলাই ভালো।
কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যা থাকলে -
সাধারণত বেলের রস হজম এবং পেটের জন্য ভালো বলে মনে করা হয়।গ্রীষ্মে পেট ঠান্ডা করতে বেলের রস পান করার পরামর্শ দেওয়া হয়।কিন্তু এই জুস অত্যধিক পান করলে পেট সংক্রান্ত নানা সমস্যা হতে পারে।ফলে একজন ব্যক্তি বদহজম, পেট ব্যথা,ফুলে যাওয়া,পেট ফাঁপা, কোষ্ঠকাঠিন্য এবং আমাশয়ের মতো সমস্যার সম্মুখীন হতে পারে।একবারে এক গ্লাসের বেশি বেলের রস পান করা উচিৎ নয়।
উচ্চ রক্তচাপ থাকলে -
উচ্চ রক্তচাপে আক্রান্ত ব্যক্তিদেরও বেলের রস খুব ভেবেচিন্তে পান করা উচিৎ।আপনি যদি ইতিমধ্যেই উচ্চ রক্তচাপের ওষুধ খাচ্ছেন তাহলে বেলের রস পান করা এড়িয়ে চলুন।
কিডনিতে পাথর থাকলে -
আপনার যদি ইতিমধ্যেই কিডনিতে পাথরের অভিযোগ থাকে, তাহলে বেলের রস পান করা এড়িয়ে চলুন বা কম পরিমাণে পান করুন।কারণ এতে প্রচুর পরিমাণে ক্যালসিয়াম পাওয়া যায়,যা কিডনিতে পাথরের সমস্যাকে আরও বাড়িয়ে দিতে পারে।
No comments:
Post a Comment