মাত্র ৩১ বছর বয়সেই সব শেষ! গর্ভাবস্থায় ভয়াবহ মৃত্যু সূর্যবংশম-এর এই অভিনেত্রীর
প্রেসকার্ড নিউজ বিনোদন ডেস্ক, ২২ মে: অমিতাভ বচ্চনের সবচেয়ে জনপ্রিয় ছবি 'সূর্যবংশম' ২৫ বছর পূর্ণ করেছে। এই উপলক্ষে, আজ এই প্রতিবেদনে জেনে নেওয়া যাক এই চলচ্চিত্রের অভিনেত্রী সৌন্দর্য সম্পর্কে, যিনি নিজের মৃত্যু মৃত্যুর আভাস আগেই পেয়েছিলেন।
কল্ট ফিল্ম 'সূর্যবংশম'-এর অভিনেত্রী সৌন্দর্যের সৌন্দর্যে পাগল ছিলেন সবাই। ছবিতে অমিতাভ বচ্চনের স্ত্রীর চরিত্রে অভিনয় করে সৌন্দর্য বেশ জনপ্রিয়তা পান। কিন্তু কে জানত মাত্র ৩১ বছর বয়সে তিনি দুর্ঘটনার শিকার হবেন এবং চিরকালের জন্য শুধু আমাদের স্মৃতিতেই রয়ে যাবেন।
ভারতীয় সিনেমার অন্যতম পছন্দের ছবি হল 'সূর্যবংশম' ১৯৯৯ সালে মুক্তি পায়। এই ছবিটি ২১ মে ২০২৪-এ ২৫ বছর পূর্ণ করেছে। এই ছবিটি প্রেক্ষাগৃহে হিট ছিল না কিন্তু এখন টেলিভিশনে কল্ট স্ট্যাটাস অর্জন করেছে। এটি সোনি ম্যাক্সে এতবার প্রচার করা হয় যে, এটি নিয়ে অনেক মিম তৈরি হয়, যা ছবিটির জনপ্রিয়তা আরও বাড়িয়ে দেয়। ছবিতে প্রধান চরিত্রে অভিনয় করেছেন অমিতাভ বচ্চন ও সৌন্দর্য। আর এই ছবির সেই অভিনেত্রীই বিমান দুর্ঘটনায় মারা যান।
সৌন্দর্য প্রধানত কন্নড়, তামিল, হিন্দি এবং মালায়ালম ছবিতে কাজ করেছেন এবং তার দুর্দান্ত অভিনয় দিয়ে সবার মন জয় করেছেন।
সৌন্দর্য তাঁর চলচ্চিত্র জীবনে ১০০ টিরও বেশি ছবিতে কাজ করেছিলেন। প্রথম সিনেমা থেকেই তাঁর কাছে অফারের লাইন পড়ে যায়। তবে, অমিতাভ বচ্চন অভিনীত ছবি 'সূর্যবংশম'-এ রাধা চরিত্রে অভিনয় করে সৌদর্য অনেক জনপ্রিয়তা অর্জন করেন।
সৌন্দর্য যদিও তাঁর শৈশবে ডাক্তার হওয়ার স্বপ্ন দেখেছিলেন, তবে তাঁর ভাগ্যে ছিল একজন অভিনেত্রী হওয়া। সৌন্দর্য কন্নড় চলচ্চিত্র গন্ধর্ব দিয়ে আত্মপ্রকাশ করেছিলেন এবং এই ছবিটি সুপারহিট প্রমাণিত হয়েছিল। এর মাধ্যমে রাতারাতি দক্ষিণের শীর্ষ অভিনেত্রীও হয়ে ওঠেন সৌন্দর্য। এর পরে, সৌন্দর্যকে আর পিছনে ফিরে তাকাতে হয়নি এবং তাঁর ১০ বছরের ক্যারিয়ারে ১০০ টিরও বেশি ছবিতে কাজ করে দর্শকদের হৃদয়ে রাজত্ব করেছেন।
২০০৩ সালে, সৌন্দর্য তাঁর ছোটবেলার বন্ধু জিএস রঘুকে বিয়ে করে সংসার জীবন শুরু করেন। এরপর চলচ্চিত্র ছেড়ে রাজনীতিতে আসার সিদ্ধান্ত নেন তিনি। ২০০৪ সালে সৌন্দর্য বিজেপিতে যোগ দেন। তিনি দলীয় একটি সমাবেশের জন্য ব্যক্তিগত বিমানে করিমনগর যাচ্ছিলেন। এই সময় তাঁর বিমানটি বিধ্বস্ত হয় এবং মাত্র ৩১ বছর বয়সে সৌন্দর্য-র মৃত্যু হয়।
এই বিমান দুর্ঘটনায় সৌন্দর্যের পাশাপাশি তাঁর ভাই এবং আরও দুইজন মারা যান। সবচেয়ে মর্মান্তিক ব্যাপার হল, মৃত্যুর সময় সৌন্দর্য দুই মাসের অন্তঃসত্ত্বা ছিলেন।
বলা হয় যে, সৌন্দর্যের মৃত্যুর ভবিষ্যদ্বাণী তাঁর শৈশবেই করা হয়ে যায়। একজন জ্যোতিষীর ভবিষ্যদ্বাণীর পর সৌন্দর্যের বাবা-মা এটি এড়াতে বেশ কয়েকটি পূজা-পাঠ করান, যাতে সৌন্দর্যর ওপর থেকে এই সংকট কেটে যায়। কিন্তু ভাগ্যে যা হওয়ার কথা ছিল তাই হয় এবং সৌন্দর্যের পরিণতি হয় মর্মান্তিক।
No comments:
Post a Comment