জেলায় জেলায় রেড অ্যালার্ট, তাপপ্রবাহ থেকে বাঁচতে পরামর্শ জারি হাওয়া অফিসের
নিজস্ব প্রতিবেদন, ০১ মে, কলকাতা : দাবদাহ থেকে স্বস্তি নেই। এবারের গরম গত ৭০ বছরের রেকর্ড ভেঙেছে। আজও কলকাতা শহর ও আশেপাশের এলাকায় একই অবস্থা। সকাল থেকেই সূর্যের তাপে শরীর ঝলসে যাচ্ছে। আলিপুর আবহাওয়া দফতর বলছে, কলকাতা সহ দক্ষিণবঙ্গের বিভিন্ন জেলায় আজও তাপপ্রবাহের অবস্থা বজায় রয়েছে।
আলিপুর আবহাওয়া দফতর জানিয়েছে যে আজ দক্ষিণবঙ্গের বাঁকুড়া, পুরুলিয়া, বীরভূম, ঝাড়গ্রাম, মুর্শিদাবাদ, পশ্চিম মেদিনীপুর, পূর্ব ও পশ্চিম বর্ধমানের কিছু জায়গায় রেড অ্যালার্ট জারি রয়েছে। এছাড়া অন্যান্য জেলার অনেক জায়গায় কমলা সতর্কতা জারি করা হয়েছে। আগামীকাল বাঁকুড়া, পুরুলিয়া, বীরভূম, ঝাড়গ্রাম, মুর্শিদাবাদ, পশ্চিম মেদিনীপুর এবং দুই বর্ধমানের অনেক জায়গায় রেড অ্যালার্ট কার্যকর। এছাড়া অন্যান্য জেলার কিছু জায়গায় কমলা সতর্কতা জারি করা হয়েছে। পরের দিন এবং তার পরের দিন, অর্থাৎ ৩ এবং ৪ তারিখে, পুরুলিয়া, বাঁকুড়া, বীরভূম, ঝাড়গ্রাম, দুই মেদিনীপুর এবং দুই বর্ধমানের কিছু জায়গায় কমলা সতর্কতা জারি করা হচ্ছে। অন্যান্য জেলার কিছু জায়গায় হলুদ সতর্কতা জারি করা হয়েছে।
মঙ্গলবার কলকাতা শহর ও আশেপাশের এলাকার তাপমাত্রা ৪৩ ডিগ্রি সেলসিয়াসে পৌঁছেছে। আলিপুর আবহাওয়া দফতর জানিয়েছে, আজ কলকাতা ও আশেপাশের এলাকায় দিনের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ৪৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস হতে পারে, যা স্বাভাবিকের থেকে ৭.৪ ডিগ্রি বেশি। এ ছাড়া দিনের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ২৯ দশমিক ৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস হতে পারে, যা স্বাভাবিকের চেয়ে ৩ দশমিক ৫ ডিগ্রি বেশি। এমতাবস্থায় তাপমাত্রা বাড়বে কি না তা নিয়ে সংশয় রয়েছে।
দক্ষিণের মতো উত্তরবঙ্গের অনেক জেলাতেও প্রচণ্ড গরম পড়ছে। আবহাওয়া দফতরের পূর্বাভাস অনুযায়ী, আজ উত্তরবঙ্গের মালদা ও দক্ষিণ দিনাজপুরের কিছু অংশে তাপপ্রবাহ বয়ে যেতে পারে। কমলা সতর্কতা কার্যকর।
হাওয়া অফিসের পরামর্শ
আলিপুর আবহাওয়া দফতরও গরম থেকে বাঁচতে এবং সুস্থ থাকার জন্য অনেক পরামর্শ দিচ্ছে। সেক্ষেত্রে, সকাল ১১টা থেকে বিকেল ৪টার মধ্যে সূর্যালোক বা বাইরের ক্রিয়াকলাপগুলিতে দীর্ঘায়িত এক্সপোজার এড়ানোর পরামর্শ দেওয়া হয়। হালকা, হালকা রঙের, ঢিলেঢালা, সুতি কাপড় পরতেও বলা হয়। মাথা ঢেকে রাখার জন্য কাপড়, ক্যাপ বা ছাতা ব্যবহার করারও পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। এ ছাড়া শরীরে জলশূন্যতা এড়াতে পিপাসা না লাগলেও পর্যাপ্ত জল পান করা উচিৎ। এমন পরিস্থিতিতে ওআরএস, ঘরে তৈরি পানীয় যেমন লস্যি, লেবু জল, বাটারমিল্ক ইত্যাদি খাওয়া যেতে পারে। হিট স্ট্রোক, হিট র্যাশ বা হিট ক্র্যাম্পের লক্ষণ সম্পর্কে সচেতন থাকুন। আপনার যদি মাথা ঘোরা, মাথাব্যথা, বমি বমি ভাব, ঘাম, খিঁচুনি, অজ্ঞান হয়ে যাওয়া বা অসুস্থ বোধ হয়, অবিলম্বে আপনার ডাক্তারের সাথে কথা বলুন।
No comments:
Post a Comment