জানেন কী একাদশীর দিন ভাত কেন খাওয়া হয় না?
প্রেসকার্ড নিউজ লাইফস্টাইল ডেস্ক, ০৩ মে: বছরের প্রতি মাসে দুটি একাদশী আসে। বৈশাখ মাসের কৃষ্ণপক্ষে পড়া একাদশীকে বলা হয় বরুথিনী একাদশী। এই একাদশীকে সমস্ত পাপের বিনাশকারী একাদশী বলে মনে করা হয়।
এই দিনে ভগবান বিষ্ণু ও শ্রীকৃষ্ণের মধুসূদন রূপের পূজা করা হয়। এই দিনে, ভগবান বিষ্ণুর বরাহ অবতারেরও পূজা করা হয়। এবার বরুথিনী একাদশীর উপবাস পালিত হবে ৪ মে শনিবার। একাদশীর দিনটির জন্য কিছু বিশেষ নিয়ম রয়েছে। আসুন জেনে নেওয়া যাক কেন এই দিনে ভাত খাওয়া হয় না।
পৌরাণিক বিশ্বাস অনুসারে, একাদশী উপবাস করলে মোক্ষ লাভ হয়। একাদশীর উপবাসের দিনে অন্ন খাওয়া হয় না। এই দিনে ভুল করেও ভাত খাওয়া উচিৎ নয়। এমনটা বিশ্বাস করা হয় যে, একাদশীর দিন ভাত খাওয়া মাংস খাওয়ার সমতুল্য। এর পেছনে রয়েছে পৌরাণিক বিশ্বাস।
পৌরাণিক কাহিনী অনুসারে, মা ভগবতীর ক্রোধ থেকে পালাতে গিয়ে মহর্ষি মেধা নিজের দেহ ত্যাগ করেছিলেন। এরপর তার শরীরের বিভিন্ন অংশ মাটিতে পুঁতে রাখা হয়। ধারণা করা হয়, সেই কণাগুলো পৃথিবীতে শোষণের ফলেই পৃথিবী থেকে ধান গাছের উৎপত্তি হয়েছে। এ কারণেই ধানকে উদ্ভিদ নয়, জীব হিসেবে বিবেচনা করা হয়।
মনে করা হয় যেদিন মহর্ষি মেধা তাঁর দেহ ত্যাগ করেছিলেন সেই দিনটি ছিল একাদশী। তাই একাদশীর দিন ভাত খাওয়া নিষেধ। এমনটা বিশ্বাস করা হয় যে, একাদশীর দিন ভাত খাওয়া মহর্ষি মেধার রক্ত-মাংস খাওয়ার সমতুল্য। এই দিনে ভাত খাওয়া পাপ এবং পরের জন্মে ব্যক্তি সাপ হয়ে জন্মগ্রহণ করে।
একাদশীর দিনে ভাত না খাওয়ার পেছনে রয়েছে বৈজ্ঞানিক কারণও। এই অনুযায়ী চালে জলের পরিমাণ বেশি এবং জলের ওপর চাঁদের প্রভাব বেশি। ভাত খেলে শরীরে জলের পরিমাণ বেড়ে যায়, যা মনকে বিচলিত করে। মন চঞ্চল হলে ব্রত পালনে বাধা সৃষ্টি করে। তাই একাদশীর দিন ভাত থেকে তৈরি জিনিস খাওয়া বর্জিত বলে মনে করা হয়।
No comments:
Post a Comment