আসামে বন্যার তাণ্ডব! মৃত ৩৭, আক্রান্ত ৪ লক্ষ মানুষ
প্রেসকার্ড নিউজ ন্যাশনাল ডেস্ক, ২২ জুন: আসামে ভয়াবহ বন্যায় প্রায় ৪ লক্ষ মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন। একজন বরিষ্ঠ আধিকারিক জানিয়েছেন যে, রাজ্যের ৩.৯০ লক্ষেরও বেশি মানুষ বন্যার বিপর্যয়ের মুখোমুখি হচ্ছেন। প্রবল বৃষ্টি ও বন্যার কারণে রাজ্যের অনেক এলাকায় পরিস্থিতি এখনও ভয়াবহ। তিনি বলেন, কোথাও কোথাও বৃষ্টি কম হওয়ায় বন্যা পরিস্থিতির কিছুটা উন্নতি হলেও ১৯টি জেলা এখনও বন্যার কবলে রয়েছে। আধিকারিকরা জানিয়েছেন, এ বছর বন্যা, ভূমিধস এবং টাইফুনে মৃতের সংখ্যা ৩৭ জনে পৌঁছেছে, আর একজন নিখোঁজ রয়েছেন।
কামরূপ, তামুলপুর, হাইলাকান্দি, উদালগুড়ি, হোজাই, ধুবরি, বারপেটা, বিশ্বনাথ, নলবাড়ি এবং বোঙ্গাইগাঁও জেলা বন্যায় সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এছাড়া বাকসা, করিমগঞ্জ, দক্ষিণ সালমারা, গোয়ালপাড়া, দাররাং, বাজালি, নগাঁও, কাছাড় ও কামরুপ মহানগরীতেও জনজীবন বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে। বৃহস্পতিবার বন্যা দুর্গত মানুষের সংখ্যা ৪.০৯ লাখে পৌঁছেছিল, যা এখন সামান্য কমেছে। তবে আক্রান্ত জেলার সংখ্যা এখনও একই রয়েছে। করিমগঞ্জ সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত জেলা, যেখানে ২.৪০ লাখ মানুষ বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন। জানা গেছে, ধরমতুলের কপিলা, বিপি ঘাটের বরাক ও করিমগঞ্জের কুশিয়ারা নদীর জল বিপদ সীমার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।
সংবাদমাধ্যমের প্রতিবেদন অনুযায়ী, আধিকারিকরা বলেছেন, ১,৭১,০০০-এরও বেশি মানুষ বাস্তুচ্যুত হয়েছে। ১৫,১৬০ জন অস্থায়ী ত্রাণ শিবিরে আশ্রয় নিয়েছে। রাজ্য সরকার ১৭টি জেলায় ২৪৫টি ত্রাণ শিবির স্থাপন করেছে। করিমগঞ্জ জেলায় এ ধরণের ক্যাম্প সবচেয়ে বেশি।
উল্লেখ্য, মে মাসের শেষ সপ্তাহে, আসাম ঘূর্ণিঝড় রিমেলের কারণে প্রথম বন্যার মুখোমুখি হয়। বর্ষার আগমনের সাথে সাথে গত সপ্তাহে রাজ্যে বন্যার দ্বিতীয় ঢেউ শুরু হয়। ভারতের আবহাওয়া বিভাগ (IMD) অনুসারে, আসামে ১ থেকে ১৯ জুনের মধ্যে ৪২২.২ মিমি বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে, যা স্বাভাবিকের চেয়ে ৫১ শতাংশ বেশি। শুক্রবার স্বাভাবিকের চেয়ে ৭৪ শতাংশ কম বৃষ্টিপাত রেকর্ড করার পর পরিস্থিতির কিছুটা উন্নতি হয়েছে।
No comments:
Post a Comment