আয়ুর্বেদিক ওষুধ বাবলা শুঁটি
প্রেসকার্ড নিউজ,লাইফস্টাইল ডেস্ক,৭ জুন: বাবলা শুঁটির গুঁড়ো বানানোর পর তা এক ধরনের আয়ুর্বেদিক ওষুধে পরিণত হয়।অনেকে বাবলা শুঁটি পিষে রোগী এবং আয়ুর্বেদিক হাসপাতালে বিক্রি করে এবং এর থেকে ভালো পরিমাণ অর্থ উপার্জন করে।আজ আমরা বাবলা শুঁটির পাঁচটি অনন্য উপকারিতা সম্পর্কে বলব।
রাজস্থানের গ্রামাঞ্চলে বাবলা গাছ সহজেই দেখা যায়। আয়ুর্বেদের দৃষ্টিকোণ থেকে বাবলাকে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ গাছ হিসেবে বিবেচনা করা হয়।এর পাতা,ছাল,আঠা,ফুল ও শুঁটি সবই কোনও না কোনও রোগ সারাতে কাজ করে।বাবলা গাছে গজানো লম্বা বীজের মতো শুঁটি অনেক রোগের ওষুধ হিসেবে কাজ করে।মাথা ব্যথা ও হাঁটুর ব্যথা নিরাময়ের ওষুধ বাবলা থেকে তৈরি হয়।এছাড়া আরও অনেক ধরনের আয়ুর্বেদিক ওষুধও এটি থেকে তৈরি হয়।
বাবলা শুঁটি এই পাঁচটি রোগে কার্যকরী:
হাঁটু ব্যথা -
বয়স্কদের মধ্যে হাঁটু ব্যথা সাধারণ।বেশির ভাগ বয়স্ক মানুষের এই সমস্যা হয়।কিন্তু যৌবনে যদি হাঁটু ব্যথার সমস্যা দেখা দেয় তাহলে চিন্তার বিষয়।যদি আপনারও এই সমস্যা থাকে,তাহলে আপনি যদি বাবলা শুঁটির গুঁড়ো গরম জলে মিশিয়ে প্রতিদিন পান করেন তাহলে হাড় সজীব হবে এবং ধীরে ধীরে হাঁটুর ব্যথার সমস্যা চলে যাবে।এছাড়া বাতের রোগীদের জন্যও এটি উপকারী হতে পারে।
মহিলাদের জন্য উপকারী -
মহিলারা আজকাল তাদের খাদ্যাভ্যাসের কারণে নানা ধরনের সমস্যার সম্মুখীন হচ্ছেন।সাদা স্রাব একটি প্রধান সমস্যা। এখন এই সমস্যাটি বেশ সাধারণ হয়ে উঠেছে।এই রোগের সমাধান লুকিয়ে আছে বাবলা শুঁটির মধ্যে।প্রতিদিন দুধের সাথে বাবলা শুঁটির গুঁড়ো খেলে সাদা স্রাবের সমস্যা ধীরে ধীরে দূর হয়।এছাড়া ঋতুস্রাব সংক্রান্ত সমস্যাও দূর হয়।
রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ে -
যদি কেউ কিছু সময়ের ব্যবধানে বারবার অসুস্থ হয়ে পড়ে,তবে তার সমাধানও লুকিয়ে আছে বাবলা শুঁটিতে।যদি একজন ব্যক্তি প্রতি ৩০ দিনে একবার অসুস্থ হয়ে পড়েন এবং তারপর সুস্থ হয়ে ওঠেন,তবে এর কারণ দুর্বল প্রতিরোধ ক্ষমতা। প্রতিদিন দুধের সাথে বাবলা শুঁটির গুঁড়ো মিশিয়ে পান করলে মানুষের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা শক্তিশালী হয়।কোনও ব্যক্তি যদি কোনও আয়ুর্বেদিক চিকিৎসকের তত্ত্বাবধানে এই পাউডারটি একটানা এক মাস ব্যবহার করেন,তাহলে তিনি খুব কমই অসুস্থ হয়ে পড়বেন।
ডায়রিয়ার সমস্যা চলে যাবে -
ডায়রিয়া ও পাতলা পায়খানার ওষুধ এটি।বাবলা শুঁটি ডায়রিয়ার মতো রোগও সারায়।ডায়রিয়া হলে কেউ যদি দিনে দুবার বাবলা শুঁটির গুঁড়ো উষ্ণ জলের সাথে মিশিয়ে পান করেন তবে এই সমস্যা ধীরে ধীরে চলে যায়।
ফুসফুস থেকে কফ চলে যায় -
আয়ুর্বেদিক চিকিৎসকদের মতে,বাবলা শুঁটি ব্যবহারে ফুসফুসে কফ জমার মতো সমস্যা দূর হয়।অতিরিক্ত কাশি হলে চিকিৎসকরা রোগীদের বাবলা শুঁটির গুঁড়ো দিয়ে থাকেন।এটি ক্রমাগত খেলে কিছু দিন পর ফুসফুসে কফ গঠনের মতো সমস্যা ধীরে ধীরে দূর হতে থাকে।
আয়ুর্বেদিক পরামর্শদাতা ঈশ্বর চন্দ জানান,ডায়াবেটিস রোগীরা বাবলা শুঁটির গুঁড়ো জলের সঙ্গে খেতে পারেন।কারও হাতের হাড় ভেঙে গেলে আর উপশম না হলে সকালে ও সন্ধ্যায় খাওয়ার আগে গরুর দুধের সঙ্গে খেতে পারেন।খাবারের পর এর গুঁড়ো খেলে হাড়ের সজীবতা আসবে এবং ব্যথা থেকে মুক্তি মিলবে।এছাড়া মুখের ঘা হলে বাবলা পাতা ও শুঁটি সেদ্ধ করে গার্গল করলে মুখের ঘা দূর হয়।
বি.দ্র: এখানে দেওয়া তথ্য সাধারণ জ্ঞান ও ঘরোয়া প্রতিকার হিসেবে দেওয়া। প্রেসকার্ড নিউজ এটি নিশ্চিত করে না। কোনও নতুন কিছু শুরুর আগে সংশ্লিষ্ট বিশেষজ্ঞর পরামর্শ অবশ্যই নিন।
No comments:
Post a Comment