পিগমেন্টেশন দূর করে ত্বককে উজ্জ্বল করে কুমকুমাদি তেলম, জেনে নিন উপকার-ব্যবহার বিধি - press card news

Breaking

Post Top Ad

Post Top Ad

Tuesday 11 June 2024

পিগমেন্টেশন দূর করে ত্বককে উজ্জ্বল করে কুমকুমাদি তেলম, জেনে নিন উপকার-ব্যবহার বিধি


 পিগমেন্টেশন দূর করে ত্বককে উজ্জ্বল করে কুমকুমাদি তেলম, জেনে নিন উপকার-ব্যবহার বিধি



প্রেসকার্ড নিউজ লাইফস্টাইল ডেস্ক, ১১ জুন: নিশ্ছিদ্র ও সুন্দর ত্বকের স্বপ্ন সবাই দেখে, যার জন্য অনেক সময় মানুষ বাজার থেকে অনেক ধরনের সিরাম ও ফেসপ্যাক কিনে নেয়। তবে বেশিরভাগই এই সমস্ত ব্যয়বহুল সৌন্দর্য পণ্যগুলি ব্যক্তির পছন্দসই ফলাফল দিতে ব্যর্থ হয়। আপনিও যদি তাই বিশ্বাস করেন, তাহলে ঐতিহ্যবাহী ওষুধে সমৃদ্ধ কেরালার বিশেষ কুমকুমাদি তৈলম ব্যবহার করে দেখুন। আয়ুর্বেদে, কুমকুমাদি তেল, যার আক্ষরিক অর্থ জাফরান তেল, তার অলৌকিক বৈশিষ্ট্যের জন্য পরিচিত। জাফরান ছাড়াও এই তেল তৈরিতে মঞ্জিষ্ঠা, চন্দন, গোলাপ, বাহেদা, লিকোরিস, মাইরোবালান এবং হলুদের মতো জিনিস ব্যবহার করা হয়, যা ত্বকের সমস্যা দূর করে এবং ত্বককে সোনার মতো উজ্জ্বল করে। আসুন জেনে নিই কুমকুমাদি তেলের উপকারিতা এবং মুখে লাগানোর সঠিক উপায়।


 ব্রণ-

কুমকুমাদি তৈলম বা তেল একটি ঐতিহ্যবাহী আয়ুর্বেদিক ওষুধ। এটি ত্বক সম্পর্কিত অনেক সমস্যা যেমন ব্রণ, রোসেসিয়া, সোরিয়াসিস, একজিমা, দাগ, বলিরেখা এবং বার্ধক্যের লক্ষণ কমায়। কুমকুমাদি তৈলম ব্রণ সৃষ্টিকারী ব্যাকটেরিয়ার বৃদ্ধি রোধ করে, ত্বকে প্রদাহ কমায় এবং ক্ষত নিরাময়কে ত্বরান্বিত করে।


পুষ্টিগুণে ভরপুর-

কুমকামাদি তৈলম পুষ্টিগুণে ভরপুর। এটিতে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট, অ্যান্টি-হাইপারপিগমেন্টেশন, ময়েশ্চারাইজার, ডিমুলসেন্ট, অ্যান্টিব্যাকটেরিয়াল, অ্যান্টি-ইনফ্লেমেটরি, অ্যান্টি-মাইক্রোবিয়াল, অ্যান্টি-প্রুরিটিক এবং প্রাকৃতিক সানস্ক্রিনের বৈশিষ্ট্য রয়েছে। এই সমস্ত বৈশিষ্ট্য সূর্য, ধুলোবালি এবং দূষণের কারণে ত্বকের ক্ষতি থেকে রক্ষা করতে সাহায্য করে।


 বার্ধক্যজনিত প্রভাব প্রতিরোধ করে-

কুমকুমাদি তেল ত্বকের হারিয়ে যাওয়া প্রাকৃতিক আভা ফিরিয়ে আনতে সাহায্য করে এবং ত্বকের কোষকে ক্ষতির হাত থেকে রক্ষা করে। শুধু তাই নয়, এই জাদুকরী তেল বার্ধক্যের লক্ষণ রোধ করে ত্বককে দীর্ঘ সময়ের জন্য তরুণ দেখাতেও সাহায্য করে।


 হাইপারপিগমেন্টেশন দূর করে-    

কুমকুমাদি তৈলম সূর্যের রশ্মির কারণে হওয়া ট্যানিং দূর করতে সাহায্য করে। এটি এক ধরণের ভেষজ চিকিৎসা, যা প্রতিটি ত্বকের জন্য ব্যবহার করা যেতে পারে। এই তেলের বিশেষত্ব হল এটি সম্পূর্ণ নিরাপদ এবং প্রাকৃতিক। আপনার যদি ত্বকের পিগমেন্টেশনের সমস্যা থাকে তবে কুমকুমাদি তেল এই সমস্যাটি কাটিয়ে উঠতে একটি কার্যকর উপায়। তেলে উপস্থিত অ্যান্টিসেপটিক বৈশিষ্ট্য ত্বকের উন্নতিতে সাহায্য করে। মুখে পুরনো বা সদ্য কোনও দাগ থাকলে এই তেল দিয়ে মুখে মালিশ করলে কয়েক দিনের মধ্যে সেই দাগ চলে যাবে।


ত্বককে উজ্জ্বল করে তোলে-

কুমকুমাদি তৈলম ত্বকের উজ্জ্বলতা বাড়াতে ব্যবহার করা যেতে পারে। দেশে হাজার হাজার বছর ধরে, প্রত্যেকেই ত্বককে উজ্জ্বল এবং স্বাস্থ্যকর করতে এর বৈশিষ্ট্যগুলি গ্রহণ করেছে। এই তেলটি বাদাম তেলের সঙ্গে সমান পরিমাণে মিশিয়ে লাগালে তাৎক্ষণিক ফল পাওয়া যায়।


 কীভাবে মুখে কুমকুমাদি তেল ব্যবহার করবেন?

আপনি চাইলে কুমকুমাদির তেল সরাসরি মুখে লাগাতে পারেন। এজন্য প্রথমে মুখ ভালো করে ধুয়ে তারপর শুকিয়ে নিন। এর পরে, আপনার আঙ্গুলে কয়েক ফোঁটা তেল নিয়ে ৫-১০ মিনিটের জন্য আপনার মুখে ম্যাসাজ করুন। এবার মুখে তেল লাগিয়ে রাখুন ২ ঘন্টা। নির্ধারিত সময়ের পর মুখ ধুয়ে ফেলুন।

No comments:

Post a Comment

Post Top Ad